নিজস্ব প্রতিবেদক : এসআই মোঃ মোমিনুল ইসলাম পিপিএম (নিরস্ত্র) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকার পুথাই গ্রামের কুখ্যাত ভূমিদস্য, একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি শাহ্আলমকে গ্রেপ্তার করে থানা নিবাসীর মনে পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনলেন।
উল্লেখ্য এলাকায় সুদখোর মহাজন হিসেবে সুপরিচিত শাহআলম বাস্তবেই এতোটাই দাপুটে যে সে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট নিয়েই এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন! তার অদৃশ্য হাতের তেলেসমাতি এতোটাই প্রভাব বিস্তার করতে পারে যে সে ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে এমনকি থানায়ও আসা-যাওয়া করতেন! সে থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা, বিভিন্ন তদবির বানিজ্য করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করতে পারতেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত মানুষজন দাবি জানান।
শুধু তাই নয়, জনৈক মানিক মিয়া নামক এক ব্যক্তির জমিজমা জবরদখলবাদ দীর্ঘদিন ধরে কব্জা করে রাখার অভিযোগে শাহআলমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলে সেই মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হবার পরেও ক্ষমতাধর, এলাকার ত্রাস শাহআলম অনৈতিক প্রতিশোধ নিতে নিরিহ মানিকের বিরুদ্ধে পুনরায় একটি গরু চুরির মনগড়া অভিযোগ আনলে থানা পুলিশ সেই অভিযোগের তদন্ত করে তা মিথ্যা বলে প্রমাণ পাওয়ার পরেও বাধ্য হয় মানিককে আদালতের এফআইআর ভুক্ত আসামি বানাতে!
এভাবেই বছরের পর বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় চলছিল শাহআলম নামক বিতর্কিত চরিত্রের প্রকাশ্যে রাহাজানি। সবাই তাকে ভয় পায় কারণ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হবার পরেও সে গ্ৰেফতার হয়না, থানা পুলিশের সাথে তার দহরমমহরম, তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করতে থানায় গেলে অভিযোগ দায়ের করার আগেই সেই খবর পেয়ে যায় শাহআলম এবং শুরু করে দেয় তার একশন!
এমতাবস্থায় শাহআলমের কারণে অতিষ্ট থানা নিবাসী পুলিশের প্রতি একেবারেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন, বিশেষ করে এলাকার লোকজন যখন জানতে পারেন যে শাহআলম হয়রানি মূলক উদ্দেশ্য নিয়ে মানিক মিয়াকে গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার পরে পুলিশ তদন্ত করে তা একটা উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট অভিযোগ বলে প্রমাণ পাবার পরেও মানিককে এফআইআর ভুক্ত আসামি করেছে! এনিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার ওসিসহ মানিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা গরু চুরির মামলার রেকর্ডিং ও তদন্তকারী পুলিশের কার্যকলাপ অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়!
দেশে চলমান উত্থানপতন, তিন হাজারেরও বেশী পুলিশ সদস্যদের হত্যার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানা পুলিশের কার্যকলাপের কারণে পুলিশের কান্ডজ্ঞান নিয়েও জনমনে সন্দেহ জাগে!
ঠিক এমন একটা পরিস্থিতিতে এসআই মোঃ মোমিনুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শাহআলমকে গতকাল গ্ৰেফতার করেছেন, -এই খবরটা তড়িৎ গতিতে সারা এলাকায় ছড়িয়ে পরার সাথে সাথেই এলাকার সকলের মুখে একটা স্বস্তির হাসি ফুটে উঠে, একই সাথে পুলিশের প্রতি পুনরায় আস্থা ফিরে পাওয়াও শুরু হয়। এছাড়াও শাহআলমের মতো একজন টাকাওয়ালা সমাজবিরোধী বলে চিহ্নিত অপরাধী মানসিকতার লোককে এসআই মোঃ মোমিনুল ইসলাম গ্ৰেফতার করেছেন জেনে একাধিক লোক তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার উন্নতির জন্য দোয়া করেন ওই এলাকার একাধিক মুরুব্বিরা।