FB IMG 1736767083260

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিশুদের পাঠ্যবই ছাপানো নিয়েও চলছে চরম অনিয়ম। জানা গেছে অনিয়মের দায়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ প্রেসে ছাপানো হচ্ছে পাঠ্যবই। এ ছাড়া নিম্ন মানের কাগজ ও কালি দিয়ে বই ছাপাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) শর্তভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত আরেকটি ছাপাখানা। কেবল তাই-ই নয়, চুক্তি না মেনে আরেক ছাপাখানা তো পাঠ্যবই না ছাপিয়ে বাণিজ্যিক কাজ করছে।

প্রতিবেদক জানান, সরেজমিনে রাজধানীর ডেমরার এক ছাপাখানায় গিয়ে দেখা যায়, পাঠ্যপুস্তকের বদলে চলছে বাণিজ্যিক কাজ। গত বুধবারের (৮ জানুয়ারি) ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে ওই এলাকার প্রায় সব ছাপাখানা ঘুরে দেখা হয়।

এছাড়াও তারা জানান, এক পর্যায়ে প্রমা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্সের প্রিন্ট রুমের সবশেষ ব্লকে ভিডিও ফুটেজে থাকা মলাটের স্তূপ দেখা যায়। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। পরে ফুটেজ দেখালে স্বীকার করেন।

ওদিকে এনসিটিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, পাঠ্যবই ছাড়া এখন আর কোনো কাজ করার কথা না প্রেসটির। তারপরও অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য খাতার মলাট কীভাবে ছাপানো হচ্ছে? নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার মোঃ মহসিনের দাবি করেন যে তার অগোচরে কাজটি করেছেন বাঁধাই মেশিনের ইনচার্জ।

তিনি বলেন, ‘বাঁধাই মেশিনের ইনচার্জ আমাদেরকে না জানিয়ে রাতে কিছু কাগজ ছেপেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে চাকরিচ্যুত করেছি।’

এছাড়াও অন্যান্য ছাপাখানা ঘুরে দেখা যায়, নিম্ন মানের কালি ও কাগজ ব্যবহার করে ছাপানো হচ্ছে পাঠ্যবই। নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২২ সালে সোমা প্রিন্টিং প্রেসকে সতর্ক করে স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা নিয়েছিল এনসিটিবি। এবার এই ছাপাখানাতে মানহীন কাগজের মিশ্রণের বিষয়টি হাতেনাতে ধরিয়ে দিলে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সোমা প্রিন্টিং প্রেসের ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এটা কী রকম অভিযোগ, সেটা জানি না। তবে আমরা সর্বোচ্চ ভালোটা দেয়ার চেষ্টা করি।’

উল্লেখ্য যে বইয়ের বদলে নোট ও গাইড বই ছাপানোয় মেসার্স টাঙ্গাইল প্রিন্টার্সকে ২০২৩ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য দরপত্র গ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করে এনসিটিবি। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানেও চলছে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *