নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমি বিপ্লব’, অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের জীবনসংগ্রাম নিয়ে লেখা অকপটে স্বীকারোক্তি মূলক বইটি এবার ২১শের বই মেলায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, চিরকাল স্পষ্টভাষী, এবং টালিগঞ্জের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় এবারের বইমেলায় প্রকাশ করতে চলেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘আমি বিপ্লব’। বরাবরই অকপট স্বভাবের জন্য আলোচিত এই অভিনেতা জানিয়েছেন, “যা লিখেছি, তার সবই সত্যি। হয়তো এই বইয়ের পর আরও কিছু মানুষ আমাকে অপছন্দ করবে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
অভিনয়ের শুরু ও যাত্রা
১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই জন্ম বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল ছোটবেলা থেকেই। ১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায়, বিশেষত ভিলেন চরিত্রে।
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেই সময়ের সিনেমার ‘খলনায়ক’— এমন এক চরিত্র, যাঁকে দেখলেই দর্শকদের রাগে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করত! তাঁর চোখের চাহনি, সংলাপ বলার ভঙ্গি, ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুরতা— সবকিছুই তাঁকে বাংলা সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলনায়ক করে তুলেছিল।
কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি ঠিক উল্টো। একবার এক মা তাঁর সন্তানের সামনে বিপ্লবকে দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিলেন— “দুষ্টুমি করলে ওমনি নিয়ে যাব!” এটা শুনে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। কারণ, বাস্তব জীবনে তিনি নরম হৃদয়ের, সহজ-সরল মানুষ।
থিয়েটার ও রাজনীতি
সিনেমার পাশাপাশি থিয়েটার তাঁর সবচেয়ে ভালোবাসার জায়গা। আজও তিনি নাটকের মঞ্চে কাজ করেন নিয়মিত। অভিনয়ের পাশাপাশি একসময় কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী ছিলেন, ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও এখন রাজনীতির মঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।