ফেসবুক ভয়েস : আর কতোকাল ধামাচাপাই হবে আমাদের জীবনের মানে!? গত ৫৩ বছর ধরে যারাই ক্ষমতার মসনদে বসেছেন তারাই ধামাচাপা, সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে জনগণের সামনে পেশ করেছেন। ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশে এবার কেরানীগঞ্জে যে ব্যাংক ডাকাতির অপচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেও ওই ধামাচাপার কোন বিকল্প মেলেনি!
৩টি 9mm পিস্তল কি করে দেশীয় খেলনার পিস্তল হয়ে গেল? ছবির এইগুলোকে কোন এঙ্গেল থেকে খেলনা পিস্তল বলা যায়!?
এছাড়াও ডাকাত ৩জন ফোন ছিল ৪টি। উদ্ধারকৃত চতুর্থ ফোনটির মালিক কে? আর কেনই বা এই নাটক? প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, “দেখলাম তো ৪জন ছিল, তাহলে ১জন কি করে গায়েব হয়ে গেল!?
এছাড়াও সেদিন যখন ডাকাতের কথা শুনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উক্ত ব্যাংকটিকে ঘেরাও করে তখন তাদের চারপাশ ঘিরেই বিএনপি নেতাকর্মীরাও ছিলেন। এমনকি তাদের মধ্যে একজন মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিয়েছেন, “ডাকাতের খবর শুনে আমাদের নেত্রী নিপুন রায়ের নেতৃত্বে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।”
উল্লেখ্য অধুনার আলোচিত ঘটনা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের জিম্মি করে ডাকাতি চেষ্টা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শাখার এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটিও করেন।
মামলায় আত্মসমর্পণ করা তিনজন- লিয়ন মোল্লা ওরফে নিরব (২২) ও অপর দুজন কিশোরকে (১৬) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। লিয়ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কবির মোল্লার ছেলে। অপর দুই কিশোরের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলী খালপাড় এলাকায়। লিয়ন পেশায় গাড়িচালক। বাকি দুজনের একজন একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আরেকজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলায় আত্মসমর্পণ করা তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দস্যুতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে সবাইকে হতাশ করেছে এ ঘটনা ও তার সমাপ্তি ঘোষণা। জনমনে প্রশ্ন, “দু’জন কিশোরকে নিয়ে একজন সদ্য যুবক (২২) একটা আস্ত ব্যাংক ডাকাতির জন্য ঝাঁপিয়ে পরলো এবং তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশ থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঝাঁকে ঝাঁকে উপস্থিত হয়ে এতো সময় নিয়ে এতো চেষ্টা তদবির চালাতে হোলো!? তাহলে প্রফেশনাল ব্যাংক ডাকাতের দল হলে তারা কি করতো?
এদিকে রহস্যজনক কারণে এখনও ওই এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা নিয়ে কারো মুখ খোলা তো দূরের কথা, কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলেই মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, যেন ভুত দেখেছে! এড়িয়ে যায় প্রশ্ন! রহস্য কি?
এ এক মারাত্মক সংকেত! প্রশ্ন হচ্ছে, কারা এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে এই নোংরা খেলা শুরু করেছে? আর কতোদিন ধামাচাপাই হবে বাঙালী জীবনের একমাত্র সমাধান!?