ফেসবুক ভয়েস : সাধারণ মানুষকে অসহায় আর বোকা মনে করে আনাপ-সানাপ কথা বলার হিম্মত কে কোথা থেকে পায় তা জানি না তবে ষষ্ঠইন্দ্র বলে, “অভিভাবকহীনতায় বড়ো হয় যারা এবং যাদের হারাবার কিছু থাকে না তারা সয়ংক্রিয়ভাবে মানসিক রোগী হয়ে যায়, তারা মানসিক অসুস্থতার কারণে যা না তাই ভাবতে পারে, বলতে পারে আর এথেকে মুক্তি পেতে হলে মানসিক চিকিৎসা করানো ছাড়া কোনো বিকল্প নাই।
যাই হোক, “কে না বোঝে যে এতোশত নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে সচিবালয়ের আগুন লাগিয়েছে প্রফেশনাল লোকজন, যেমন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও হত্যাকাণ্ড, টঙ্গী ইজতেমাকে কেন্দ্র করে হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি যারা করেছে। এক্ষেত্রে একজন মুখ্যসচিবের নাম যদি কেউ বলে তবে তাকেই ধরে নিয়ে গিয়ে মানসিক অসুস্থতার পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ইন্টেলিজেন্সের ইন্টারোগেশন করা উচিৎ নয় কেনো? এই মর্মে যে তুমি কেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছো।” এই কথাগুলো আমার নয়, আমাদের এলাকার একজন শিক্ষিত ও বয়োজ্যেষ্ঠ মুদির দোকানদারের।
উল্লেখ্য, সেদিন আগুন কিন্তু শুধু সচিবালয়েই নয় সচিবালয়ের নিকটস্থ একটি বাসভবনেও লাগানো হয়েছে! যা দোকানদার মিডিয়া ধামাচাপা দিয়েছে, যেনো এদেশে এখন বেশ্যার সন্তানরাই সাংবাদিকতার দায়দায়িত্ব পালন করে! আর ধামাচাপা এবং নয়-ছয় তথ্য প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করাই যেনো তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য! এদিকে এদেশ থেকে তো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা উবেই গেছে! ওদিকে এদেশের মানুষ এখন প্রবাসী মেন্টালিস্টদের নাম রেখেছেন ‘সাংবাদিক’! লজ্জায় মর তথাকথিত শিক্ষিতদের মানসিক যোগ্যতা দেখে, ছিঃ…
সবাই জানেন হয়তো, ইতিহাসে এই প্রথম এদেশে চলছে প্রফেশনাল কিলিং মিশন আর ধ্বংসযজ্ঞ! যে বিষয়ে কোথায় কেউ মুখ খুলে না খুন হয়ে যাবেন, ঘরবাড়িতে আগুন দিবে অদৃশ্য হয়ে ঘুরে বেড়ানো পিচাশ শ্রেণীর ট্রেইন্ড অমানুষের বাচ্চারা সেই ভয়ে! অথচ এইসব নাশকতার উপর ভিত্তি করেই এদেশেই কিছু মানুষ স্বপ্নবিলাসে সময় কাটাচ্ছেন আর অমানুষদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন যাকে প্রকাশ্যে বেহায়াপনা বলা হয়।
তবে সাধারণ মানুষ হাল ছাড়েননি, তাদের মতে, পাকিস্তান তার সবকিছু নিয়ে পারে নাই আর এখন তো থাকার মধ্যে আছে লাখ চারেক যুদ্ধশিশুদের জেনারেশন আর পাকিস্তানের বিদেহী হারামী আত্মার রাজাকার ও রাজাকারের বাচ্চারা! তারা কেউ চায় না আবার সারাদেশের মানুষের মাতৃভূমির জন্য যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে। সাধারণ মানুষ তাদের সবকিছু দিয়ে পয়সা রোজগার করেন তাদের ছেলেমেয়েদের মানুষের মতো মানুষ করতে কিন্তু এখন তাও অনিশ্চিত হয়ে পরেছে, কেননা তারা তাদের সন্তানদের কোথায় পাঠাবেন শিক্ষিত হতে? অধুনায় তো এই দেশের মানুষ গড়ার কারিগর খ্যাত শিক্ষকই বদমাইশ বলে প্রমাণিত হয়েছে!
তবুও সবাই অপেক্ষা করছেন একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক, খুনখারাবির, ধ্বংসযজ্ঞ কেউ চায় না, হোক দেশের শক্র তবুও তো ওরা বাঙালী, তাই ওদেরকেও নিয়ে সবাই মিলে ভালো থাকতে চায় বাঙালী কিন্তু হারামখোরদের কি সম্বিৎ ফিরে আসে? হারামের একটা মারাত্মক সাইডইফেক্ট আছে না!?
কার্যত দেখা যাচ্ছে, ওরা সেই একই পাঁয়তারা করে, একটাই টার্গেট, দেশ আবার পাকিস্তানীদের ধান্দার স্পটে পরিনত হোক! বলি, “ওরা আসলে কেমন প্রাণী? কেমন মানুষ? ওরা ওদের নিজেদের মাবোনদের নিয়েও ফিকির করে না? নাকি ওদের ভাবনায় এসব অনুভূতির কোনো মানে নাই!?”
এতো বড়ো একটা অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলো দেশের সবচেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢাকা সচিবালয়ে যা পেশাদার সদস্যদের কাজ ছাড়া অন্যকিছু হতেই পারে না কানার ভাই বয়রাও এক কথায় বলে থাকে অথচ এটাকে ধামাচাপা দিতে কিভাবে ওরা উলঙ্গ নির্লজ্জ কথা বলে! আর এরাই নাকি এ দেশের ধারক!
মানসিকতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি দেখে মনে করেন, আসলেই ওদের মনে হয় হারাবার কিছু নাই, তাই যা খুশী করে আর বলে! ওদের মনে হয় অভিবাবক বলে কোনদিন কিছু ছিলো না, নেইও! নয়তো এরা অন্তত একটা ভাবনা তো থাকতো যে তারা যখন জানবে তখন তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো কি করে?
আমরাও জানি না ওদের বাবা-মা বলতে কার কি আছে না আছে, তবে মনে প্রশ্ন জাগে, আচ্ছা ওদের বাড়ির মানুষ কেউ কি ওদের বলে না, যেমন “লজ্জা লাগে না তোর? আমরা তো তোর কারণে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে চলি…”
বিঃদ্রঃ- ছবিটি প্রতীকী; সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ছবিটি বিতর্কিত হাসিব আহমেদ (লাল বৃত্তের মধ্যে) নামক ব্যক্তিটির ওইসময় ওখানে উপস্থিত থাকাটা রহস্যজনক মনে করে; ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।