মঞ্জুর মোর্শেদ : ১৭ বছরের আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানোর পরে আন্দোলনের তূর্য বাদক সমন্বয়করা নিতান্তই শিক্ষার্থী বলে তাদের অর্জন ‘দেশ গড়ার স্বপ্ন ও ক্ষমতার চাবিকাঠি’ তুলে দিলেন তাদেরই একমাত্র বিশ্বস্ত শিক্ষাগুরু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুলের হাতে। আসলে শুধু তাদেরই নয়, -এটা সারা বাংলাদেশের সকলেরই স্বপ্ন ও পরিকল্পনা ছিলো।
আওয়ামী সরকারের পরে ৫ আগষ্ট থেকে একটি সম্পুর্ন নতুন ধারায় দেখানো ‘এইবার বাংলাকে গড়বো, সোনার বাংলা গড়ে তুলবো’ স্বপ্নটি কার্যক্ষেত্রে দেখা গেলো দুঃস্বপ্নে রুপ নিলো।
কেননা দেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে অর্জিত সফলতা ঢাবির শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুলের হাতে অর্পণ করার পরে তার কৃত কর্মকান্ডে বিব্রত সেই মানুষরাই পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছেন ১০০দিন যেতে না যেতেই!
বেড়িয়ে আসা শুরু হয় আসিফ নজরুলের পরিচয় ও সন্দেহজনক উদ্দেশ্যের ইতিকথা।
একজন স্কুল শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, “জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো গানের মতোই যার আজীবন কাল বিতর্কিত, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুল।” এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত জীবন, পুর্ব পুরুষের পরিচয়, পারিবারিক স্টাটাসহ, তার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও কলমের আদর্শ, এমনকি তিনি তার নামের বিষয়েও সমালোচিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসব জেনে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায় সকলেই একটা সন্দেহের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছেন।
সবচেয়ে অবাক করা কথা হচ্ছে, গুগলে সার্চ দিয়েও জণগণ আসিফ নজরুলের বাবার নাম জানতে পারেন না!! অথচ বর্তমান জামানায় পৃথিবীর সকল মানুষের সকল প্রশ্নের উত্তর গুগলের কাছে জানা, -এমনটাই অনলাইন জগতের ওপেন চ্যালেঞ্জ, কার্যতও যা ১০০% অমূলক নয়।
ওদিকে গণমাধ্যমে এমনও প্রকাশিত হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আসলে একজন বিহারী পুত্র!!! তাহলে কি হোলো?
উল্লেখ্য যে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী ও বিহারীরা এদেশ থেকে বিদায় হলেও কিছু সংখ্যক বিহারীরা এখন এদেশের মাটিতে অবস্থান করছেন রিফিউজি পরিচয়ে, তৈরি করে দেয়া ক্যাম্পে কিন্তু তারা ৫৪ বছর এদেশের মাটিতে অবস্থান করার পরেও বাঙ্গালীদের ভালোবাসতে পারলো না, তার চাক্ষুষ প্রমাণ, ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের জনগণ এবং পরিবেশ পরিস্থিতি।
কেননা রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর -এই দুই জায়গায় রয়েছে ৫৪ বছরের পুরনো বিহারী ক্যাম্প। সরেজমিনে দেখা গেছে এদেশের মাটিতে রিফিউজি হিসেবে জায়গা দিয়ে যে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প করে রাখা হয়েছে সেই রোহিঙ্গাদের তুলনায় বিহারীরা কয়েকগুণ বেশী মারাত্মক! পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী সকল ধরনের অপরাধ সংঘটিত করণ থেকে শুরু করে খুনখারাবির হ্যান্ডস্, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের সবচেয়ে কুখ্যাত আর অপরাধীদের জন্য নির্ভরযোগ্য স্থান এইসব বিহারী ক্যাম্পগুলো (তথ্য ও প্রমাণ মতে)!!!
এমতাবস্থায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অর্জন শেষমেশ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কতোটা সুফল বয়ে আনতে পারে এনিয়ে ক্রমশই সন্দেহ ঘনিভূত হতে চলেছে জনমনে। বিশেষ করে যখন তারা হাতেকলমে প্রমাণ পায় যে গুগলও জানেনা ডঃ আসিফ নজরুলের বাপদাদার পরিচয়, ওদিকে গণমাধ্যমও অজানা রহস্যজনক কারণে কোনো দিনই আসিফ নজরুল এলায়েস মোঃ নজরুল ইসলাম -এর বাপদাদার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে নাই, তখন সহজাত কারণেই সকলের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে, “রহস্য কি!?”
দেখা গেছে, গুগলে থাকার মধ্যে (উইকিপিডিয়া লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে) তার তৃতীয় স্ত্রীর সুত্রে তৃতীয় শ্বশুর অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ, তৃতীয় স্ত্রীর সুত্রে চাচাতো শ্বশুর: ডঃ জাফর ইকবাল, এমনকি তৃতীয় স্ত্রীর সুত্রে শ্যালকের নুহাশের নাম গুগলে মেলে কিন্তু এই আসিফ নজরুলের পুর্বপুরুষ, তার রক্তের স্ত্রোতধারা অর্থাৎ তার বাপদাদার নাম ঠিকানা নিয়ে কোথাও কোন তথ্য নাই! সবার প্রশ্ন, “কেনো?”
দেশ ও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা রহস্যময় পরিস্থিতিতে পরে গেছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষে
এবং বর্তমানে এ নিয়ে তারা সন্দিহান!
এদিকে গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক একজন কুমিল্লার সন্তান কিন্তু গণমাধ্যম কোথাও এই আসিফ নজরুল এলায়েচ মোঃ নজরুল ইসলামের বাবার নাম প্রকাশ করে নাই বরং আজ পর্যন্ত পিতৃপরিচয়হীন এই মানুষটার কর্মজীবনের কিছু কথা ও পরিবার সম্পর্কে কিছু অস্পষ্ট তথ্য ছাড়া কোনোদিনই কোনো কিছু প্রকাশ করা হয় নাই গণমাধ্যম! দেশের কর্নধার হবার পরেও কেনো গণমাধ্যম সারাদেশের মানুষের সাথে এই লোকটির আদ্যপান্ত নিশ্চিত করে নাই এবং এটি সাধারণ মানুষের সাথে গণমাধ্যমের প্রতারণা বলেও কেনো গণ্য করা হবে না!?
তবে এতকিছুর পরও এই গণমাধ্যমের প্রকাশনার বদৌলতেই কথিত আসিফ নজরুলের বর্তমানের কাম-কাজ সাধারণ মানুষের কাছে গ্ৰহনযোগ্যতা পায় ও টক অফ দা কান্ট্রি হয়! রহস্যটা কি?
উল্লেখ্য, পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে যে ভিন্ন জাতির রক্তের স্ত্রোতধারা রিভেঞ্জ করতে ৫০ বছর বা শতবছর পরে ভিন্ন জাতির মায়ের পেটে বা বাবার ঔরসে জন্ম নেয় এবং অতঃপর…, এক্ষেত্রে অখন্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট গর্বাচপের নামসহ অনেকের নামই উল্লেখ করা যায়। এই গর্বাচপের হাতেই সোভিয়েত রাশিয়া দুইশো বছরের ঐতিহ্য হারিয়ে ১১ ভাগে বিভক্ত হয়, অতঃপর আটলান্টিকের ওপারের ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা এপারে এসে সারা পৃথিবীর উপর জোর জুলুম শুরু করতে পারে। এটাকে আমেরিকান সিআইএ-এর দুইশো বছরের স্নায়ু যুদ্ধের জয় বলেই বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের আসিফ নজরুল এলায়েস মোঃ নজরুল ইসলামের পরিচয় সুস্পষ্ট নয় কেনো? বাঙালী জাতির উপরেও কি কোন অপশক্তি প্রভাব বিস্তার করেছে, অনৈতিক উপায়ে!?
বর্তমানে একথা সবার জানা হয়ে গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুল যার আসল নাম মোঃ নজরুল ইসলাম, কোন এক ঘটনাক্রমে (আন অফিশিয়ালি) তার নাম পরিবর্তন করার কথা বলা হলে সে নিজকে আসিফ নজরুল নামকরণ করেন এবং তখন থেকে তিনি হাফ-অফিসিয়ালি ডঃ আসিফ নজরুল নামে অভিহিত। যদিও তার certificate name মোটেই আসিফ নজরুল নয় কিন্তু আসিফ নজরুল নামেই তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে স্বাধীনতা লাভ করা বাঙালী জাতির গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাস অবজ্ঞা করা নতুন ইতিহাসের শুরুয়াত ২০২৪ সালের the firstman, the beginner of nation and history বনে গেলেন!
সকলের প্রশ্ন, ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ও বিচ্ছেদ ঘটানো, একাধিক স্ত্রীর গর্ভে একাধিক সন্তানের জন্মদাতা ডঃ আসিফ নজরুল এলায়েস মোঃ নজরুল নামের লোকটা, যিনি কুমিল্লার ছেলে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ, যিনি মেট্রিক, ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স, মাস্টার্স মোঃ নজরুল ইসলাম নামে পাশ করেন এবং অতঃপর ঘটনাক্রমে জনৈক ব্যক্তি তাকে নাম বদলে আসিফ নজরুল নামে পরিচিত হবার পরামর্শ দেবার পর থেকে সে তার নাম মোঃ নজরুল ইসলাম থেকে আসিফ নজরুল হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন কিন্তু নিজের নাম আইনি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন না করেই কিভাবে মোঃ নজরুল ইসলাম থেকে সে ডঃ আসিফ নজরুল হতে পারেন? অতঃপর মোঃ নজরুল ইসলাম কিভাবে ডঃ আসিফ নজরুল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষকতার পেশা গ্ৰহন করেন? ডঃ আসিফ নজরুল নামে হাফ-অফিসিয়ালি পরিচিত এই ব্যক্তি কি করে দেশের সুধীজন বলেও গণ্য হতে পারেন? কারা তাকে এই মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছেন!?
ওদিকে তথ্য মতে, আসিফ নজরুল যুদ্ধ অপরাধী ট্রাইব্যুনাল তথা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন সদস্য হবার পরে এক পর্যায়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ফাইলপত্র চুরি করে উধাও হয়ে যান, অর্থাৎ তিনি ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধ অপরাধী বলে যারা চিহ্নিত তাদের বিচার কার্যকর করার বিষয়ে বাঁধ সাধেন কিন্তু এর আগে তিনি তার কলমে উক্ত ব্যক্তিদের যুদ্ধ অপরাধী ও ধর্ম ব্যবসায়ী বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
দেখা গেছে, প্রথমে যুদ্ধ অপরাধীদের বিপক্ষে কাজ করার পরে একপর্যায়ে তাদের সাথেই তার তলে তলে একটা আঁতাত হয়ে যায়, শুধু তাই নয়, এর মধ্যেই সেসহ কাদের সিদ্দিকী এবং ফরহাদ মজহাররাও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষ মতাদর্শের জামায়াতে ইসলামীর বিশিষ্টজনদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান। যা দেশের জাতীয় দৈনিকে নিউজ আকারে প্রকাশিত হয়।
ওদিকে কিন্তু প্রকাশ্যে আসিফ নজরুল আজীবন বিএনপি মাইন্ডেড ম্যান! যে বিষয়ে বিএনপিও কখনও দ্বিমত প্রকাশ করে নি, এমনকি এই ঘটনা (জামায়াতের বিশিষ্টজন) পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পরেও বিএনপি কোনো উচ্চবাচ্য করেনি!
এছাড়াও দেখা গেছে, আসিফ নজরুল তৎকালীন জামায়াত পন্থী বলে গণ্য ভিসির বিশেষ হাত ধরেই ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তবুও বিএনপি কখনো আসিফ নজরুল তাদের দলীয় নয়, এমন কথা বলে নাই।
অতঃপর আওয়ামী লীগের সরকারের গত পুরো সময়টা জুড়েই মোঃ নজরুল ইসলাম নামের লোকটা ডঃ আসিফ নজরুল নামে গণমাধ্যমের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় স্বরব ছিলেন। এই আমলে সে ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক তছনছ করেছেন কিন্তু একজন ঢাবির শিক্ষক বলেই (হয়তো) আওয়ামী সরকারও তাকে কখনো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নাই।
এছাড়াও জামায়াতের বিশিষ্টজনদের একজন হওয়া সত্যেও আওয়ামী লীগের প্রায় ১৭ বছর জুড়েই অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন টকশোতে আসিফ নজরুল আওয়ামী লীগ, আওয়ামী সরকারের আমলের উন্নয়ন, শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে এমন এমন গুণকীর্তন করেছেন, যার প্রতিটির সাথে তিনি নিশ্চয়তার চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত ছুঁড়ে দিয়েছেন! তবুও ডঃ আসিফ নজরুল এলায়েস মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা অজ্ঞাত -এর বিষয়ে বিএনপির কোনো অভিযোগ ছিলো না কোন কালেই!
এখনও নাই বলা যায়? যদিও ৫ আগষ্টের পর তারেক জিয়ার সবার আগে দেশে উপস্থিত থাকাটা যুক্তিযুক্ত ছিলো কিন্তু অজানা রহস্যজনক কারণে তিনি এখনো দেশের বাইরেই!
ওদিকে প্রতিদিন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, মামলা মোকদ্দমা, হত্যা জখম করা চলছে, যা দেখে সবাই বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির উইকেট সরাসরি ফেলার পরে বিএনপির উইকেট বলে বলে ফেলা হচ্ছে”, তবুও বিএনপির হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া কেউই আসিফ নজরুলের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন না? বরং সহায়তার হাত সর্বসময় প্রশস্থ করে রেখেছেন! -এটা হয়তো বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল (!) অনেকেই মনে করেন!
একমাত্র গণমাধ্যমের সুবাদেই ৫ আগষ্টের পর সারা বাংলাদেশের মানুষ হঠাৎ করেই জানতে পারেন যে একজন ডঃ আসিফ নজরুল এলায়েস মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতার নাম অজ্ঞাত, অতঃপর এদেশের একমাত্র কর্নধার, the beginner of the Bangales’ nation!?
একাধিক বার বলেছি, “অথচ তার বাবার নামটাও প্রকাশিত হয় নি কোন জায়গায়, ফলে কেউ জানে না! আর এর পেছনে রহস্যটা কি? তা কেউ জানে না!”
“আর ডঃ আসিফ নজরুল -এই কাগুজে নামেই মোঃ নজরুল লোকটা এদেশের রাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তিনিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বার স্বাধীনতার ওয়ান এন্ড ওনলি নায়ক ও ৫ থেকে ৬ হাজার বছরের বাঙালী জাতির গতানুগতিক ধারার ইতিহাস মুছে ফেলে একটা নতুন ইতিহাস রচনার রচয়িতা”, -এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করার পরে তার সরকারের পতন করা হয়েছে, -এই ঘোষণা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক মহামান্য প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করে এসে গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকদের সামনে দেবার পর থেকে [আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে (প্রথম)] তিনি একার দায়িত্বে ও পছন্দের লোকদের তালিকা করেন এবং একে একে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা গঠন করেন, এর মধ্যে তিনি দেশের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ঘরোয়া আলোচনা করেন মাত্র। তিনি এই কাজ শুরু করার আগে এমনকি জাতির উদ্দেশ্যে নিজের অবস্থান, বৈধতা ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে কোন বক্তব্যও পেশ করেন নি!
তার এই পরিক্রমার প্রচার ও বৈধতায় একমাত্র সাংবাদিকতাই ভূমিকা রেখেছে বলে প্রমাণ রয়েছে, আর এই সাংবাদিকতায় ৯০% ভূমিকা রেখেছে অনলাইন মিডিয়া এবং দেখা গেছে বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়ার ইউটিউব ও ফেসবুকে ভার্সনটি কয়েকজন প্রবাসী চাটুকার মেন্টালিস্টরা আগে থেকেই দখল করে নিয়েছেন যারা ৫ আগষ্টের পরে বিশেষ করে ফেইসবুক আইডির লোগো লাল/কালো করার ঘটনার পর থেকে অনলাইন সাংবাদিকতার নামে বাংলা ভাষাভাষী বাঙালী জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অপদস্থ করার একটা উলঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে!
দেখা গেছে, যে সাংবাদিক জাতির বিবেক বলে গণ্য সেই সাংবাদিকের পরিচয় দিয়েই বাঙালী জাতির মাতৃভাষার হাজার বছরের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে গিয়ে সভ্যতা, শিল্প, সাহিত্য, কবি, সাহিত্যিক, নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের অপমান করে এমনকি জাতীয় সঙ্গীতকে বিবস্ত্র করতেও সবকিছু করেছেন। আর এসবের প্রধানের ভূমিকায় ছিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও ইলিয়াস হোসেন নামক দুই প্রবাসী বাঙালী, যারা জার্নালিস্ট নয় মেন্টালিস্ট বলেই গণ্য হবে না কেনো? -এটা সুশিক্ষিত মহলের প্রশ্ন।
যদিও আসিফ নজরুল অনেক আগেই দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন যেখানে তাকে যুদ্ধ অপরাধী ও ধর্ম ব্যবসায়ী বলেও গণ্য করেছেন কিন্তু এনিয়ে এই তথাকথিত সাংবাদিকদ্বয়ের এতোদিন কোনো মাথাব্যথা ছিল না, বরং তাকে ‘দুধে ধোয়া তুলসী পাতার’ মর্যাদায় রেখে তার সকল সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের পক্ষে থেকে এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাড়ে বারোটা বাজিয়েছে এরা।
এখন দেখা যাচ্ছে, এতোদিন সবকিছু মেনে নিয়ে এরাই এখান আসিফ নজরুলের সাড়ে বারোটা বাজানোর নামে একটা ছলা-কলা শুরু করে দিয়েছেন!
যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে গণ্যদের পক্ষে গিয়ে জাতির বিবেকের পরিচয়ে এসব বিবেকহীন রহস্যময় প্রচারণা এবং এসবকিছু আসলে আসিফ নজরুলের তৈরি করা নাটকের বিভিন্ন এপিসড, কেননা পিতৃপরিচয়হীন আসিফ নজরুল আর অনুচর প্রবাসী মেন্টালিস্টরা একই দলের লোক এটা ইতোমধ্যে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং তাই তারা নিজেরাই এখন একজন আরেকজনের বিপক্ষে গিয়ে নোংরা কথাবার্তা ছোঁড়া-ছুঁড়ি করে সাধারণ মানুষের চোখে আবারো ধুলো দিতে চেষ্টা করছে, -একথা সাধারণ মানুষের কাছে বলাই বাহুল্য! সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় আছেন আর দেখছেন, অতঃপর কি করেন…!
[সংযুক্তঃ
আসিফ নজরুলের উইকিপিডিয়া লিংক:
১)
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB_%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2
২)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Asif_Nazrul
আসিফ নজরুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক: