FB IMG 1732968846562

ফেসবুক ভয়েস : ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ বলে বাংলা ভাষার যে প্রবচনটি আছে, -এটা তার জলজ্যান্ত প্রমাণ।

একটি শিশুকে মানসিক ভাবে হিংসুটে বানিয়ে বড়ো করার অন্যতম উপায় বলা যায় এটাকে! আর এহেনো নোংরা সিদ্ধান্ত কোন স্বাভাবিক মস্তিষ্ক থেকে কখনোই জন্ম নেয় না।

এভাবে যখন একটি পতাকাকে কোন জাতির শিশুরা পায়ের নীচে মারিয়ে চলবে বা এহেনো ছোট মনের পরিচয় দিতে দিতে যখন একটা প্রজন্মের শিশুরা বড়ো হবে তখন সেইসব শিশুদের মানসিক বড়োত্বের পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে হ্রাস পেতে থাকবে, বড়ো হয়ে হিংস্রতার পরিচয় দিবে তারা পদে পদে এবং এটাই স্বাভাবিক, হোক না তা ইসরাইলের পতাকাই!

এসব কিছু সুশিক্ষার কাছে কুপ্রবৃত্তি বলে গণ্য এবং কোন ভদ্রলোকের স্বাভাবিক মস্তিষ্কের পক্ষে এসব কিছুতেই সম্ভব হয়না। সর্বোপরি, এটা ঘৃণা প্রকাশের কোনো স্টাইল‌ও নয় বরং পৃথিবীর যেকোনো জাতির যেকোনো মানুষ এইসব ছবি দেখলে একবাক্যে বলবে, “এসব শিশুরা অমানুষের পাল্লায় পরে নাজেনে নাবুঝে নিজেরাই নিজেদের ঘৃণীত করছে।

যদি কেউ এই মতবাদে দ্বিমত পোষণ করেন আর যদি হিম্মত থাকে তবে আসুন পৃথিবীকে দেখাই, শুনি কে কি বলে! ওপেন চ্যালেঞ্জ।

এসব দেখলে আন্তর্জাতিক পৃথিবীতে বাঙালীর জাত যাবে, যেকেউ দেখলে বাঙালীকে একটা জঙ্গলী জানোয়ারের দল বলে মনে করলেও করতে পারে।

তাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, যান খবর নিয়ে দেখুন, এসব কুচিন্তা আসলে কোনসব মাথা থেকে বের হচ্ছে? গিয়ে দেখলে প্রমাণ পাবেন যে এসব আসলে কুরুচিপূর্ণ কুপরিবারের কুসন্তানদের সিদ্ধান্ত।

ভিতরের খবর নিলে জানতে পারবেন যে আপনার সন্তানদের নিয়ে এসব ডিশিসন মেকিংয়ের মাস্টার মাইন্ড যারা তারা একেকজন ফালতু পরিবার থেকে বেরিয়ে এসে তথাকথিত শিক্ষিত হয়েছে বলেই তারা জানে না যে এহেনো কুকর্ম শিশুদের দিয়ে করাচ্ছে মানে শিশুদের মানসিক ভাবে হিংসুটে বানিয়ে বড়ো করছে। আগেও বলছি, আবার বলছি, আর এই কথাগুলো না জানার কারণ, তারা নিম্নশ্রেণীর পরিবারের প্রডাকশন।

আপনি হয়তো জানেন যে উচ্চ মানসিকতার লোকজনরা নিজেদের সন্তানদের কড়া পাহারায় রাখেন, কারো সাথে কোন প্রকারের ঝামেলা হলে তারা গিয়ে আগে নিজেদের সন্তানদের দোষ দেয়। লক্ষ্য করেছেন নিশ্চ‌ই, পৃথিবীর যেকোনো দেশে এক্সিডেন্ট হলে ড্রাইভাররা পালায় না, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের খবর দিয়ে সবাই সবাইকে সান্ত্বনা দিতে দিতে অপেক্ষা করে, প্রশাসন এসে কি বলে তা পালন করবে বলে, আর আমাদের দেশের ড্রাইভারদের পালাতে হয়, নয়তো পতাকা দলিত করার মতো ডিসিশন মেকারদের মতো সহিংস শিক্ষিত আর অশিক্ষিতরা মিলে বেচারা ড্রাইভারের আত্মারামকে খাঁচা ছাড়া করে ছাড়বে! নাকি ভুল বলেছি, কি বলেন!?

কেন ভদ্রলোক কোন কিছু হলেই আগে তাদের সন্তানদের‌ই দোষ দেন? এই কেনোর সঠিক উত্তরটা ছোটলোকেরা জানে না বলেই তাদের সন্তানদের সাথে কারো কিছু হলে, এমনকি শিক্ষাগুরুও শাস্তি দিয়েছেন শুনলে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “আমার সন্তানকে মারার আপনি কে!?”

💫
উপসংহারঃ-

সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই, তাই চলেন সবাই মিলে বদলে যাই।

Do good don’t be good,
#সাফকথা

(ছবি: প্রতীকী)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *