(১ম পর্ব)
——-
২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সকল হতাহত হয় তার সকল দায়ভার কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ের শিক্ষার্থীদের বিবৃতিকে পুঁজি করে একটি “মিডিয়া সিন্ডিকেট” সত্যের আদলে মেকাপ দিয়ে প্রথমে প্রকাশ করে বিশ্বাস যোগ্য করে সারাদেশের মানুষের মনে। যেখানে তারা নির্বিচারে চাপিয়ে দেয় “পুলিশ” বাহিনীর সদস্যদের উপরে সকল দায়ভার এবং মিডিয়ার প্রচারিত অনলাইন ভিত্তিক প্রকাশনাগুলো দেখে সবাই মেনে নিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে এই মিডিয়াই এটাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করার পর তারাই আবার অজানা কিছু শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে তাদের দেয়া বিবৃতিকে কেন্দ্র করে এটা একটা রাজনৈতিক কৌশল ছিলো বলে প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে মিডিয়া হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রকাশ করে, মিডিয়া তাদেরকে অন্ধকারে থাকা সমন্বয়ক বলে সারা দেশের সবার সামনে তুলে ধরেন।
এর আগে, অপর একদল সাংবাদিক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনের মুখ থেকে বের হওয়া তথ্য ৭.৬২ বোরের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোঁড়া বুলেটের কথা প্রকাশ করে দিলে, সেই সাথে কিছু বুলেট, অস্ত্র এবং তা থেকে গুলি করার কিছু ছবি ও ভিডিও গনমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবার কারণে পরিস্থিতি পাল্টে যায়! হালকা অস্ত্র ও রাবার বুলেটধারী পুলিশের উপর থেকে শতভাগ সন্দেহ হ্রাস পাওয়া শুরু করে।
সেই মিডিয়া এম সাখাওয়াত হোসেনের মুখ থেকে নিঃসৃত সত্য তথ্য প্রকাশ করে দেয়ায় সিন্ডিকেট কেন্দ্রিক মিডিয়ার অবস্থা অনেকটা লেজেগোবরে পরিস্থিতিতে পরে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভীতও নড়বড়ে হয়ে উঠে সেই ভয়ে, এমতাবস্থায় তাদের ধামাচাপা অব্যাহতি রাখতে তাৎক্ষণিক এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করে ফেলা হয় ডঃ আসিফ নজরুলের তৈরি করা ব্যবস্থার হাতে।
কেননা এর আগমুহূর্ত পর্যন্ত ছাত্রজনতাদের হত্যার সকল অভিযোগ একমাত্র “পুলিশ” বাহিনীর উপর দেয়া হয়েছিল যা সাধারণ মানুষ মেনেও নিয়েছিল এবং এই অপরাধের অগনিত পুলিশ সদস্যদের হত্যাও করা হয়েছে যার তথ্য প্রমাণও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম।
এর কয়েকদিন পরে এ আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ছবি প্রকাশ করে, তারা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আত্মগোপন করে অন্ধকারে ছিলেন, -এমনটাই জানতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে। মিডিয়া আত্মপ্রকাশের পর দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পরবর্তীতে তাদের আরোও গোপন করা পরিচয়ও তুলে ধরতে থাকে একে একে, তাদেরকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে অনলাইন ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে এবং বর্তমানে ওই মিডিয়াটিরও মুখপাত্ররাও আত্মগোপন থেকে এখন জনসাধারণের সামনে এসেছেন, যোগাযোগ মাধ্যমে তারাও এখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে ভাইরাল!
(চলবে.. )