মঞ্জুর মোর্শেদ : তিনি স্কুলজীবন থেকেই যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তুখোড় মেধাবী হবার কারণে। অভিনয় করে চলা তাঁর ছিলো সহজাত স্বভাব ও জীবনের অন্য নাম। প্রায়শই চার্লি চ্যাপলিনকে হুবহু নকল করে মুগ্ধ করে রাখতেন বন্ধু ও বন্ধুনীদের। একারনেই নববর্ষের খেতাবের মতো তাঁর নামের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জুড়ে গিয়েছিল ‘চার্লস’ নামটা। কিন্তু তখন কে-ই বা জানত এই ডাক নামের ‘গুরমুখ ভাবনানি শোভরাজ’, ওরফে চার্লস শোভরাজই একদিন হবেন পৃথিবীতে একজন জেলভাঙ্গার জিনিয়াস ক্রিমিলাল। তাঁকে নিয়েই প্রকাশিত হলেছিলো সিরিজ ‘দ্য সারপেন্ট’।
‘দ্য সারপেন্ট’: একটি ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিয়াল যা ম্যামথ স্ক্রিন দ্বারা বিকাশিত এবং বিবিসি দ্বারা পরিচালিত। আট ভাগের সীমিত সিরিজটি BBC One এবং Netflix- এর মধ্যে একটি সহ-প্রযোজনা। এটি সিরিয়াল কিলার চার্লস “দ্য সার্পেন্ট” শোভরাজের অপরাধের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত একাধিক তরুণী পর্যটকদের হত্যা করেছিলেন। সিরিজটিতে শোভরাজের ভূমিকায় রহিম অভিনয় করেছেন।
এরপর থেকেই তার নামের উপরে উত্তাল হয়ে পরেছিলো গোটা পৃথিবী, ফেলনার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিলো সকল প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসমূহ।
উল্লেখ্য যে ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা, ১৯৭৫ সাল। অযাচিত মৃত্যু একটা আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল পুরো থাইল্যান্ড জুড়ে। হঠাৎ করেই লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছিল পাশ্চাত্য থেকে আসা একের পর এক পর্যটক বিশেষত করে তরুণী ও মহিলারাই। খবর মিলতে থাকে কিছুদিন পর পর সমুদ্রের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের ঝলসে যাওয়া লাশ, পরনে থাকতো স্রেফ বিকিনি। সমস্ত অর্থ, মূল্যবান অলঙ্কারের সঙ্গে ‘মিসিং’-লিস্টে থাকত তাঁদের পাসপোর্ট এবং প্রতি ক্ষেত্রেই সাদৃশ্য থাকত ফরেন্সিক রিপোর্টে, তেমন: প্রথমে মাদক প্রয়োগ, তারপর ধর্ষণ, সবশেষে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা। প্রতিটি লাশের পরনে খালি একটা বিকিনি থাকতো এবং খুনের এমন অদ্ভুত ধরণের জন্যই ঘাতক পরিচিত হন ‘বিকিনি কিলার’ নামে কিন্তু মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে কে এই ঘাতক তা কিছুতেই চিহ্নিত করা যাচ্ছিলো কোনো ভাবেই! তার সন্ধান নিশ্চিত করতে পারছিলো না কোনো পুলিশ প্রশাসন।
এর ঠিক বছর খানেক বাদেই একইভাবে ঘাতকের শিকার হলেন থাইল্যান্ডে ঘুরতে আসা এক ওলন্দাজ দম্পতি। তারা ঘুরতে এসে উঠেছিলেন হল্যান্ডের দূতাবাসেই। কাজেই বাধ্য হয়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিলেন ওলন্দাজ কূটনীতিবিদ হার্মান ক্লিপেনবার্গ। অবশেষে তার তদন্তে বেরিয়ে আসে ঘাতকের পরিচয়, নাম চার্লস শোভরাজ। শুধু সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বছর দুয়েকের মধ্যেই হে চল্লিশটিরও বেশি খুন করেছেন ছোট্ট টুরিস্ট কান্ট্রি থাইল্যান্ডে। পরবর্তীতে দেখা যায় তাঁর শিকারের সীমানা শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সে ভারত, নেপাল, ফ্রান্স, গ্রিস, আফগানিস্তান-সহ একাধিক দেশেই ঘুরে ঘুরে তার অপরাধের জাল বুনে গেছে।
চার্লস শোভরাজের এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের চেয়ে যেটা লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিলো, তা হচ্ছে তাঁর খুনের মোটিভ। যা আর দশটা সিরিয়াল কিলারের থেকে ছিলো সম্পুর্ন আলাদা। সাধারণত সিরিয়াল কিলারদের করা ধারাবাহিক খুনের পিছনে থাকে কোনো গভীর মনস্তাত্ত্বিক কারণ কিন্তু চার্লসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ছিলো একাবারেই ভিন্ন। তিনি বরং অর্থ-প্রতিপত্তি-মূল্যবান রত্নের জন্যই বারবার রক্তে হাত ধুয়েছেন নিজের। আর তার উদ্দেশ্য থাকতো পাসপোর্ট চুরি, তথ্য মতে তা নিছকই নকল করে এক দেশ থেকে অন্যদেশে পালানোর জন্য ব্যবহার করতেন এই কিলার।
কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, সত্যিই কি শোভরাজের একের পর এক ধারাবাহিক খুনের পিছনে কোনোই কি মনস্তত্ত্ব ছিল না? অনেক ঘেঁটেঘুটে উত্তর মেলে, ‘হ্যাঁ, ছিল’।
দেখা গেলো শোভরাজের প্রাথমিক হাতিয়ারই ছিল শিকারের ওপর মানসিক প্রভাব বিস্তার, যা একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যায়। প্রথমত দেখা গেছে তিনি তাঁর শিকারদের কখনও জোর করে অপহরণ করতেন না। বরং, দেখা যায় শিকার নিজের ইচ্ছাতেই শোভরাজের সঙ্গে সামিল হতেন। তারপর শেষ দৃশ্যে ঘটতো তার হত্যালীলা। তাই খুনির থেকেও ‘ম্যানিপুলেটার’ বিশেষণটাই হয়তো বেশি প্রযোজ্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সিরিয়াল কিলারের নিমিত্তে।
শোভরাজের ব্যক্তিগত জীবনেও এই ব্যাপারটা স্পষ্ট ছিল। নারীদের মুগ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি ছোটবেলা থেকেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন, -একথাটা শুরুতেই উল্লেখ হয়েছে তাই। জানা যায়, শোভরাজের এই ক্যারিশ্মারই শিকার ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী শানতাল। রক্ষণশীল অভিজাত ফরাসি পরিবারের কন্যা ছিলেন ওই নারী। জীবনের প্রথম থেকেই তার অভ্যাস ছিলো প্রথমে ভালোবাসা, তারপর একসময় দেশ ছেড়ে পলায়ন। কিন্তু শোভরাজের সংস্পর্শ একেবারেই পাল্টে দেয় শানতালের চরিত্র। আজীবন যে শানতাল আতঙ্কিত থাকতেন প্রেমিকের পালিয়ে যাবার অন্ধকার জগত নিয়ে, সেই শানতালই একটা সময় হয়ে উঠলেন অন্যতম শোভরাজের প্রিয়তমা সহকর্মী।
🔘সত্তরের দশক থেকে ফাষ্ট-ফরোয়ার্ড করে আসা যাক দুই হাজার দশকের প্রথম দিকেঃ
২০০৮ সাল। নেপালে কারাবন্দি শোভরাজ। জেলে থেকেই দ্বিতীয়বার বিবাহ করলেন তার ৪৩ বছরের ছোটো নিহিতা বিশ্বাসকে। বাবা বাঙালি হলেও, নিহিতা নেপালের নাগরিক। নিহিতা তখন আইনের ছাত্রী। শোভরাজের আইনজীবীর হয়ে দোভাষীর কাজ করতেই তিনি হাজির হয়েছিলেন কারাগারে। প্রথম দেখাতেই প্রেম। তার কয়েক মাসের মধ্যেই বিবাহ। তবে শোভরাজের সঙ্গে পরিচয়ের পরে তাঁর মধ্যেও দেখা গিয়েছিল এক অদ্ভুত বদল। খুনের সমস্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও নিহিতা দাবি করেছিল, সম্পূর্ণ নিষ্পাপ শোভরাজ। কারাবন্দি চার্লসের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়শই তিনি হাজির হতেন কারাগারে। পৌঁছে দিতেন বিলাসবহুল পানীয়। জেল থেকে মুক্তির পর নতুন সংসার গড়ার পরিকল্পনার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন শোভরাজ। তবে সেটাই কি সঠিক কারন ছিলো? নাকি স্রেফ কারাবন্দি অবস্থায় কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্যই মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি নিহিতার ওপরে। এ বিষয়ে এখনও বিতর্কের অবকাশ রয়েছে।
জানা যায়, প্রথম জীবনে ফ্রান্সে অপরাধজগতে জড়িয়ে পরার পরে শোভরাজ বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন মনস্তত্ত্ব এবং আইন নিয়ে এবং তার সেই শিক্ষা যে তিনি তার ছত্রে ছত্রে কাজে লাগিয়েছেন অপরাধ জগতে, তাতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
অপরাধ জগতে খুনের পাশাপাশি শোভরাজের খ্যাতি কারাগার ভাঙার দক্ষতার জন্যেও
ভারতের দুর্ভেদ্যতম কারাগার তিহার জেল থেকে পলায়নই হোক কিংবা বন্দি অবস্থায় দিল্লির হাসপাতাল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনাই বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলো তাঁর একটা মনস্তাত্ত্বিক ছক। তথ্য মতে, গারদ ভাঙার আগে, তিহারের সমস্ত কয়েদি এবং জেলারদের নিয়ে দু’বার পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন তিনি। তারপর তৃতীয় পিকনিকে মাদক মেশানো হল কাস্টার্ডে। অর্থাৎ তার প্রথম দুটি ঘটনা ছিলো শুধুই পুলিশ প্রশাসনের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সাজানো দাবার চাল।
তিহার জেল থেকে পালানোর পরে শোভরাজ আবারও ধরা পরেন। তবে তাতে পুলিশের কৃতিত্ব কতটা ছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে প্রেক্ষাপট বিচার বিশ্লেষণ করলে।
হিসেবে দেখা যায়, কৌশল করে ইচ্ছাকৃত ভাবেই তিনি ধরা দিয়েছিলেন, ঘটনা প্রবাহ মতে সেই সম্ভাবনাটাই প্রকট। আর তাই যদি না-ই হয়, তবে প্রকাশ্যে ট্যাক্সি থেকে নেমে বিলাসবহুল হোটেলে কেন ডিনার করতে যাবেন একজন জেল ভাঙ্গা আসামি? যখন কিনা তাঁর নামে সারা দেশে জারি রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা! ছত্রে ছত্রে জাল বিছিয়ে রেখেছে পুলিশ তাকে ধরার জন্য…
বিষয়টা একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, লক্ষ্য করুন, আসলে শোভরাজের প্রয়োজন ছিল খানিকটা সময় কিনে নেওয়ার। কেননা ১৯৯৫ সালে থাইল্যান্ড আদালত শোভরাজের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলো। অতএব তার সেদেশে পৌঁছলে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল মৃত্যু এতে কোনো সন্দেহ নাই। এদিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশে থাইল্যান্ডের আইন বলছে, রায়ের সর্বোচ্চ মেয়াদ ২০ বছর। তার মধ্যে যদি অপরাধী ধরা না পড়ে, তবে বাতিল হবে সেই আদেশ। মেধাবী শোভরাজ’ তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই ধরা দেন ভারতীয় পুলিশের কাছে। অর্থাৎ, শাস্তির তুল্য-মূল্য বিচার করেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন ফাঁসির কারাগারই উত্তম। নিঃসন্দেহে এটা একটা গভীর মনস্তত্ত্ব তো বটেই!
বর্তমানে নেপালে কারাবন্দি শোভরাজ। বিগত ১৬ বছর ধরেই তিনি রয়েছেন সেখানে। তবে এর মধ্যে একবারও গারদ ভাঙার চেষ্টা করেননি তিনি। ২০০৪ সালে ফ্রান্সের গোপন ডেরা থেকে কেনই বা এসে তিনি ধরা দিয়েছিলেন নেপালে, সঠিক কারণ জানা নেই তারও। হতে পারে এও তাঁর কোনো মাস্টার-স্ট্রোক। আজ থেকে কয়েক বছর পর হয়তো জানা যাবে সেই কারণ অথবা, কোনো দিনই হয়ে প্রকাশ্যে আসবে না এই জিনিয়াসের মনস্তত্ত্ব, হয়তো কোনোদিনই…
এরপর কাঠমান্ডুর জেল থেকে ছাড়া পাবার সাথে সাথেই প্যারিস চলে যান ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ তবে পৃথিবীর একাধিক দেশে তার প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিয়েছে নেপাল সরকার। ইতিমধ্যেই প্যারিস চলে গিয়েছে চার্লস। কিন্তু এই মুক্তিতেও রয়েছে একাধিক শর্ত। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় আর কখনই পা রাখতে পারবে না জোড়া খুনের এই জেল খাটা আসামি। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নেপালের নাম। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও সৌদি আরব-সহ মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশেও তার উপর জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। নেপাল সরকার সূত্রে খবর, চার্লসকে মুক্তির ক্ষেত্রে এই শর্তগুলোও রাখা হয়েছিল। সেগুলি মেনে নেয় ফ্রান্সের প্রশাসন। এর পরই কাঠমান্ডুর ফরাসি দূতাবাসের সাহায্যে চার্লসকে প্যারিস পাঠিয়ে দেন তাঁরা। ‘বিকিনি কিলার’-র উপর প্যারিস প্রশাসনের তরফে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি।
এটাকে শোভরাজের প্রত্যারর্তন বলেছে একাধিক মিডিয়া:
বড়দিনের মুখে ২৩ ডিসেম্বর কাঠমান্ডু জেল থেকে ছাড়া পায় চার্লস শোভরাজ। ওই দিনই সন্ধের মধ্যে তাকে প্যারিস পাঠিয়ে দেয় কাঠমান্ডু প্রশাসন। সাধারণত, এই ধরনের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময় লাগে। কিন্তু জেলমুক্তির পর চার্লসকে এক মুহূর্ত দেশে রাখতে চায়নি নেপাল। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে আগেভাগেই ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে কথা সেরে রাখা হয়েছিল। সেই মতো জেল মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই তাকে প্যারিসগামী বিমানে বসিয়ে দেওয়া হয়।
একই সাথে ৯ দেশের পুলিশ খুঁজছিল চার্লসকে। অতঃপর ২০০৩-তে কাঠমাণ্ডুর একটি ক্যাসিনো থেকে তাকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ। এর পরই জোড়া খুনের মামলায় আদালতে তোলা হয়েছিল চার্লসকে। সেখানেই যাবজ্জীবন সাজা হয় তার। এরপর ১৯ বছর নেপালের জেলে ছিল চার্লস। জেলে ভাল আচরণ এবং চার্লসের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে মুক্তি দেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট।
তবে জানা যায়, ১৯ বছর সাজার পর ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মুক্তি দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর শনিবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানে তুলে দেয়া হয় তাঁকে, তিনি দোহা হয়ে ফ্রান্সে গিয়ে পৌঁছান। চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিলেও তাঁর অপরাধ প্রবণতার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে নেপাল প্রশাসন। সূত্রের খবর, নেপালে যাতে আবার খুন বা অন্য কোনও অপরাধ করতে না পারে, তার জন্য চার্লস শোভরাজকে ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে।
বিমানে বসেই সতস্ফুর্ত দ্য বিকিনি কিলার বলেন, “আমার দারুণ লাগছে… অনেক কাজ করতে হবে আমাকে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। নেপাল সরকারের বিরুদ্ধেও মামলা করব”। তাঁকে সিরিয়াল কিলার অ্যাখ্যা দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, এমনটাও অভিযোগ করেন ৭৮ বছর বয়সী চার্লস।
সর্বশেষ, শোভরাজের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিলো বলে জানা যায়। জেল থেকে মুক্তির পর তাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর মিলে। তথ্য মতে, যদিও তাকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়েছে বটে কিন্তু আসলে সে এখন কোথায়, তা নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য কোনো তথ্য নেই বললে বেশী বলা হবে না…
চার্লস শোভরাজের একটি ফটো শ্লাইডশো:
তথ্যসূত্রঃ
১) দি সারপেন্ট:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/The_Serpent_(TV_series)
২) বিবিসি:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/BBC
৩) bbc one:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/BBC_One
৪) Netflix:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Netflix
৫) ড্রামা সিরিয়াল: https://en.m.wikipedia.org/wiki/Serial_(radio_and_television)
৬) ম্যাম: https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mammoth_Screen
৭) সিরিয়াল কিলার চার্লস “দ্য সার্পেন্ট” শোভরাজের:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Charles_Sobhraj
৮) শোভরাজের ভূমিকায় রহিম অভিনয় করেছেন:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Tahar_Rahi
৯) ওলন্দাজ কূটনীতিবিদ হার্মান ক্লিপেনবার্গ: https://m.wikidata.org/wiki/Q105695308