ফেসবুক ভয়েস : পিনাকী ভট্টাচার্যের অফিশিয়াল পেজে (লিংকটি সংযুক্ত) একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছিলো যার নিচে লেখা আছে, সাংবাদিক এসকে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, অর্থাৎ তিনি এলেখার জনক।
আলোচ্য ওই পোস্টটিকে পিনাকী ভট্টাচার্যেরই পোস্ট বলা চলে, পোস্টের দিকনির্দেশনা ও আকার প্রকার দেখে, সে যাই হোক…
দেখলাম, প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালী পিনাকীসহ মোট ১২জন প্রবাসী বাঙালীদের ছবি সমেত সকলের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি একত্রিত করে পোস্টটি পাবলিশ করা হয়েছে এবং ওই ১২জনই তথাকথিত সাংবাদিকই!, -এই পরিচয় রেখে একটি তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে পোস্টের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে।
পোস্টটির তথ্য মতে, ওই ১২ জন গত ১৫ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণকে একত্রিত করেছেন। তাই তাদেরকে স্যালুট জানানো হয়েছে এডমিনের পক্ষ থেকে।
কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, সবকিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে এহেনো মানসিকতার প্রতি সাধারণ মানুষের বর্তমানে কি রুচি?
প্রেক্ষাপট: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও পরিচয় গোপনকারীদের দলীয় জয়লাভ।
সত্যি বলতে, বাংলাদেশের ৯০% এরও অধিক পরিমাণে মানুষই গত ৫৪ বছর ধরেই অর্থাৎ ৭১-এ স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকেই নাগরিক অধিকার থেকে চির-বঞ্চিত হতভাগা জাতির একটি জীবন্ত উদাহরণ এবং দেখা গেছে, এদেশের ৯০% -এরও বেশী এই বৃহত্তম অংশের মানুষগুলোর কপালে শনির দশা সবচেয়ে মারাত্মক রুপে আবির্ভূত হয় বিশেষ করে যখন এদেশে নারীকে জাতির প্রধান ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব হিসেবে মেনে নেয়া শুরু করে। আর তখন থেকেই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পরতে থাকে একটি ভিন্ন ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদ, যা আস্তে আস্তে জনসাধারণের মধ্যে থাকা দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্যবোধকে মুমুর্ষ করে ফেলা শুরু করে।
এটা এখন সবার জানা কথা যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের রাজনৈতিক আদর্শের বাংলাদেশের মানুষের মধ্য থেকে গত ৩৪ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে লজ্জা-হায়া, নীতিবোধ, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, শিক্ষার মান, দেশপ্রেম, হারাম হালালের বাছবিচারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বোধ বিবেচনাগুলো একেবারেই উবে গেছে! শুরু হয় হঠাৎ ধনী, হঠাৎ নেতা, হঠাৎ দেশের মা-বাবা বনে যাওয়া এবং এসব বিষয় স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়ারও একটা প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে থাকে সর্বসাধারণের মনের মধ্যে।
এছাড়াও স্বাধীনতার অধিকার মানে যা খুশি তাই করার মধ্যে দোষের কিছু নাই হজম করতে পারলেই হয়! এমন একটা উদ্ভট আইডলজি এখন এদেশের মানুষ জনের মনের মধ্যে মিলে থাকে।
এমতাবস্থা চলতে চলতে এবার এই ২৪ সালে এদেশের শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নামক এক আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৭ বছরের সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগষ্ট। নির্দলীয় ব্যানারের এই আন্দোলনের শুরু থেকেই দেশের সাধারণ মানুষ চোখকান খোলা রেখেছিলেন যাতে করে তারা যেনো আবার অন্তত কোনো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বা এই মতো কোনো দলীয় আগ্ৰাসনের হাতে না পরেন এবং এদের বাইরে এছাড়া রয়েছে জামায়াত শিবিরের বিষয়।
জামায়াত শিবিরের বিষয়ে এই দেশের সাধারণ মানুষের ৯০% এর বেশী মানুষ ভাবতেই রাজি নয়। কেননা সবাই জানেন যে জামায়াত একটি আন্তর্জাতিক চিহ্নিত শক্তি বলে গণ্য আর বিশেষ করে বাঙালী জীবনে এদের কৃতকর্মের যে ইতিহাস রয়েছে তাতে করে এদেরকে একেবারেই পাতে নিতে রাজি নয় সাধারণ লোকজন।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের কার্যকলাপ ও ভূমিকা পৃথিবীর কে না জানে!? এবিষয়ে যদিও জামায়াত শিবিরের লোকজন বিভিন্ন ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন অভিমত প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব শুনতে রাজি নয় কারণ তারা জানেন যেমন ‘রসগোল্লা অন্ধকারেও মিঠা’, তেমনি জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষশক্তি না। জামায়াত পন্থীরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, তাদের সাহায্য ছাড়া পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষে এদেশের মাটিতে নয় মাস যুদ্ধ করা তো দূরের কথা, খেয়ে বেঁচে থাকাই অসম্ভব ছিলো! বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা জামায়াত ওখানেই শেষ করে নি, বরং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার বিপক্ষে এখনও অবস্থান নিয়ে জামায়াতকে মত প্রকাশ করতে দেখা যায়। জামায়াত নেতারা এখনও বলেন, “৭১-এর যুদ্ধটা ছিল একটা ভুল বোঝাবুঝির ফসল!” শুধু তাই নয়, তারা আজও বিশ্বাস করেন যে পাকিস্তান বাংলাদেশের শক্র নয়, আর যেহেতু তারা ৭১ সালে বাংলাদেশ যাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ না হতে পারে তা ঠেকাতে পাকিস্তানের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করেছেন অতএব একথাটি সুস্পষ্ট যে তারা মনে করেন বাংলাদেশের দরকার নাই, এদেশটা পূর্ব পাকিস্তান থাকাটাই ভালো ও সঠিক ছিলো।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৭ ধরে এই দেশে করে নাই, হয় নাই, -এমন কোনো কিছু নাই বললেই চলে তবে তাদের এই দীর্ঘ আমল জুড়ে সবচেয়ে বেশী হয়েছে দুর্নীতি, ভুল মানুষের নেতৃত্ব লাভ, সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করে বিদেশে পাচারের মতো বহুবিধ ক্ষতিকারক প্রভাব কিন্তু সাধারণ মানুষ কোনো ভাবেই তাদের ওই করুন পরিনতি থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারছিলো না, প্রায় ১৭ বছর পর এবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে, সাধারণ মানুষ মুক্তি লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের অযোগ্য নেতাদের আগ্ৰাসন থেকে।
দেখা গেছে, মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে একটা বিরাট অংশ নির্দলীয় ব্যানারে সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে রাজপথে নেমে আসে একটা নতুন পথ খুঁজে নেবার স্বপ্নে। আর নির্দলীয় পরিচয়ের সমন্বয়কদের নেতৃত্বেই এদেশের সাধারণ ছাত্রজনতারা মিলে শেষপর্যন্ত আওয়ামী সরকারের পতন ঘটায়, জীবন রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। অতঃপর সাধারণ মানুষের অপেক্ষার পালা শুরু হয়, তাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা এবার এদেশে একটা নতুন ও সুন্দরের পদযাত্রা শুরু হবে কিন্তু তাদের কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সকলের মাথায় যেনো বাজ পরার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়! যদিও এদেশের মাটিতে দেশপ্রেমিক, মেধাবী, নির্দলীয় মানুষের অভাব নাই কিন্তু তবুও কোনো একটা রহস্যজনক কারণে নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুসের হাতেই দেশের দায়িত্ব তুলে দেবার অভিলাষ জানান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ।
উক্ত পরিস্থিতির মধ্যে আরোও দেখা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়দের সমর্থনে তাদের একমাত্র স্বঘোষিত মুরুব্বি হিসেবে দেশের প্রধান চাবিকাঠির অধিপতি ও দেশের সবচেয়ে দাপুটে ব্যক্তিত্ব হয়ে দাঁড়ান ডঃ আসিফ নজরুল। এসব দেখে দেশের মানুষের মধ্যে হঠাৎ করেই সম্বিৎ হারা পরিস্থিতির জন্ম নেয়! সুর, তাল, লয়, সবকিছু নিমিষেই এলোমেলো হয়ে যায় ছাত্রজনতার এই জয়ের সঙ্গীতে!
অনুসন্ধান শুরু হয়ে যায়, একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত। কিছুদিন যেতে না যেতেই মানুষ জানতে পারে যে ডঃ ইউনুসের মতো লোককে বিনামূল্যে এতো কিছু পাইয়ে দেয়া হয় নাই, দেশের কর্নধার হবার খায়েসটা ওই লোকের বহু বছরের। তার সেই যোগ্যতাহীন খায়েস পুরণ করার নিমিত্তেই তাঁকে বিদেশ থেকে দেশে এনে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলা মোকাদ্দমা সবকিছু অনৈতিক ভাবে পথ সৃষ্টি করে মুছে ফেলে তাকে পবিত্র করার চেষ্টা চালান ডঃ আসিফ নজরুল। যদিও ডঃ ইউনুস শাব্দিক অর্থে পবিত্র হতে পারেন নাই কিন্তু আসিফ নজরুল তার সহ অনেকের নামেই থাকা মামলা মোকদ্দমা বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে মুক্ত করার সফল আয়োজন করেন, যেনো তিনি এটা তার বাপের দেশ মনে করেই করেছেন বলে কেউ কেউ মত প্রকাশ করেন! ডঃ ইউনুস হয়ে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, তার জীবনের অন্যতম খায়েস পূর্ণ হয়। তারপর একের পর এক ঘটনা প্রবাহ, একের পর এক মানবতাবিরোধী অসভ্যতা, একের পর এক শিক্ষার্থীদের বেয়াদবি, অটোপাশ, অটো চাকরি থেকে অব্যাহতি, অটো চাকরিতে নিয়োগ দান, অটো দাপুটে হবার প্রবনতা এদেশের জন্য নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে যায়! আর এসবকিছুতেই সমর্থন জানান ওই ১২ জন তথাকথিত প্রবাসে বসবাসকারী সাংবাদিক! তারা বিদেশে বসে ধামাচাপা আর মিথ্যা অপপ্রচারের ঠিকাদারি নিয়েছেন যেনো এমন ভাবে চরিত্রহীনের পরিচয় দিতে থাকে। তাদের নির্লজ্জতার হাত থেকে এদেশের জাতীয় সঙ্গীতকেও বেঁচে থাকতে অনেক লাঞ্চিত হতে হয়েছে।
একপর্যায়ে জানা যায় এই আন্দোলনের পেছনে অন্ধকারে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকায় অংশগ্রহণ করেছেন এই ১২ জন লোক যাদেরকে পিনাকীর পেজে স্যালুট জানানো হয়েছে। আর পিনাকী ভট্টাচার্য স্বাধীনতার অধিকার বলে মনে করে যে বেহায়া উপস্থাপন করতে অভ্যস্ত তাতে করে তার কাছে শেখার মতো যেমন কিছু নাই তেমনি তাকে বেয়াদব ইলিয়াস হোসেনের এক মায়ের পেটের অবৈধ ভাই না বললে কম বলা হবে…
বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যখন দেখলেন যে আওয়ামী সরকারের পতনের পরে ডঃ ইউনুসের পাশাপাশি জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে জামাতকে জানপ্রাণ দিয়ে প্রমোট করার অক্লান্ত পরিশ্রম চলছে তখন তারা মনে খুব কষ্ট পায়! কিন্তু তাতে কার কি আসে যায়!? এরা তো সবাই দেশের কর্নধার হবার খায়েসে উঠেপড়ে লেগেছেন!! যা দেখে সাধারণ মানুষের আত্মার ভিতর থেকে অভিশাপ বেরিয়ে আসে সেই অভিশাপের সবচেয়ে বেশী অংশের ভাগিদার ওই ১২ জন তথাকথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী প্রবাসে বসবাস করা বাঙালীরাই! আর এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, এরাই আগেরটা পরে পরেরটা আগে, ধামাচাপা দিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার করে, বিভিন্ন রঙ্গিলা ব্যানার আর ছবি প্রকাশ করে পাবলিকের মধ্যে ইমোশন সৃষ্টি করেছিল যা কিছুদিন যেতে না যেতেই পাবলিক টের পেয়ে যান।
দেখা গেছে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, তথা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণযোগাযোগ মাধ্যমটির প্লাটফর্মে লিডিং নিয়ে এরা সারা বাংলাদেশের মানুষের হাতে হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ফেইসবুক ও ইউটিউব এপ্সের মাধ্যমে জনে জনে প্রতিটি মানুষের মধ্যে যোগসূত্র সৃষ্টি করে। এরা দেশ-বিদেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষদের হুঁশ ফিরে পাবার সুযোগটা পর্যন্ত দেন নাই!
অতঃপর ঘটনা প্রবাহে পরবর্তীতে যা ঘটে তা ছিল আরোও মারাত্মক ও হতাশাজনক। দেখা যায় হঠাৎ করেই বেশকিছু নতুন নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটে যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে এবং তাদেরকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে বয়ান করা হয়।
আগেও বলেছি যোগাযোগ মাধ্যমকে এই ১২ জন মিলে কব্জা করে নিয়েছিল। এদের বদৌলতেই পরবর্তীতে একসময় ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে পরিচিতি পায় কিছু শিক্ষার্থীরা এবং হঠাৎ করেই অন্ধকার থেকে আলোতে আসে সেই সমন্বয়করা। এসব অন্ধকারে থাকা সমন্বয়করা যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ঘোষণা দিয়ে দেশের মানুষ সবাইকে জানান দেন যে তারা আসলে এতোদিন মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন ছাত্রজনতা ও বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে, তারা আসলে কোনো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সন্তান না, তারা সবাই শিবির কর্মী, অর্থাৎ ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানের পক্ষ শক্তি হয়ে কাজ করেছে সেই জামায়াতের ছাত্র সংগঠন।
ডঃ আসিফ নজরুলের হয়ে ছবির এই ১২ জন লোক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় গণমাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমকে একটা কানা, খোঁড়া, লেংড়া ঘোড়া বানিয়ে তা দিয়ে সকলের মধ্যে সকলের সাথে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও জনসংযোগের ব্যবস্থা তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করেন, যেখানে কোন সুস্থ মানুষের ভূমিকা থাকতে পারে নাই। এর ফলে, এদের কারণেই ধোঁকা খাওয়া দেশের সাধারণ মানুষগুলো এখন ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক তবুও এদের নিয়ন্ত্রিত ও এদের প্রচারিত সত্য/মিথ্যা তথ্য উপাত্ত পেয়ে থাকেন ও হজমও করছেন ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় যেভাবেই হোক, নয়তো মামলা, হামলা, হত্যা হবার আশঙ্কা রয়েছে! এরা কোনভাবেই এখানে মানবতার পক্ষশক্তির কাউকেই আসতে দিচ্ছেন না, এদের তৈরি করে দেয়া তালিকা অনুযায়ী এদেশের সাংবাদিকদের বিদায় হতে হয়েছে এবং এদের পছন্দের লোকজনরাই এখন এই দেশে সাংবাদিকের ভূমিকা পালন করে চলছে….
অল্ল সময়ের মধ্যেই এখন সাধারণ মানুষের কাছে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে গেছে। মানুষ অধুনায় বুঝতে পেরেছেন যে তারা অনেকেই ডঃ আসিফ নজরুলকে বিএনপির পক্ষের লোক বলে মনে করে এতোদিন ধোঁকা খেয়ে বোকা বনে ছিলেন। জামায়াতের বিশিষ্টজনদের তালিকাভুক্ত ডঃ আসিফ নজরুলই এই আন্দোলনের নাটের গুরু ছিলেন একথা এখন সবার কাছে সুস্পষ্ট। বর্তমানে অধিকাংশ লোকই মনে করেন যে যদি কোন সমন্বয়ক বা এই ১২ জনকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড’ বলা হয় তবে ডঃ আসিফ নজরুলকে এ আন্দোলনের ‘মাস্টার অফ দা মাস্টারমাইন্ড’ বলতে হবে।
ডঃ আসিফ নজরুলের অতি প্রিয়জন পিনাকীরা এই ১২ জন তথাকথিত সাংবাদিকের সিন্ডিকেট। বস্তুত এরা কাজের বেলায় যার যার মতো করে, ফিরে এসে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করে আক্রমণ চালায়, হোক তা অনৈতিক বা অসভ্যতা কিন্তু তাদেরকে সেখানে জিততেই হবে! জয়ের জন্য তারা সবকিছু করাকে জায়েজ বলে মনে করেন। যদি সেই জয় একটা জাতির ধ্বংস নিশ্চিত করে তাতেও তাদের কিচ্ছু আসে যায় না, তাদের কাছে তাই সই…
#সাফকথা
(পিনাকীর লিংকটি সংযুক্ত: https://www.facebook.com/share/1HCVrg1oG4/)