ফেসবুক ভয়েস : “তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার” শ্লোগান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বের হওয়াটাই আজকের বাংলাদেশের উৎপত্তিস্থল ছিল। আজকের বাংলাদেশ মানে দেশের ক্ষমতা তিন ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদের মুঠোয়।
এখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য: আজও সঠিক পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে সেই শিক্ষার্থীরা কারা কয়জন ছিল? কে কি? তারা যে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে তা অবশ্যই রাজনীতির একটা উদাহরণ ও ইতিহাসও বটে।
হাজার চেষ্টা করেও বিদেশে থাকা মিডিয়া নিয়ন্ত্রকরা একটা জিনিস ধামাচাপা দিতে পারছেন না আর তা হচ্ছে, “আগেই ভালো ছিলাম।”
এদেশের সাধারণ মানুষ কখনও বলে না যে গত ১৭ বছর ধরে তারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলনা বা আওয়ামী লীগের আঘাতে জর্জরিত ছিলো না তারা, বরং এদেশের মানুষের মধ্যে একটা রব উঠেছে, আগেই তো ভালো ছিলাম!”
‘সবকিছু ধামাচাপা দেয়া যায়না’ -এটা অনেক পুরোনো কথা, সে যাই হোক…
উল্লেখ্য কথাটা উদাহরণ হিসেবে বলার কারণ হচ্ছে, এদেশের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, “ডঃ ইউনুস সাহেব, আমরা কবে ভালো থাকবো? কবে কাঁঠাল পাকবে!?”
“আমি কিভাবে বেঁচে আছি, তুই একবার এসে দেখে যা নিখিলেশ, এই কি মানব জন্ম”
আমাদের বাঙালী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতার ভাষায় বাঙালীর কেমন আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে, ‘মানবতাবিরোধী নিকৃষ্ট এক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীন ভবিষ্যৎ, যেখানে ২৪ ঘন্টা সবার মাঝে মৃত্যুর আশঙ্কা! কারণ চারিদিকে চলছে সহিংস আক্রমণের কথা! এটাই দেশের অবস্থা’।
৫ আগষ্ট সেই মিছিল গিয়ে তছনছ করা এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি পালন করে গণভবনে। সেখানেও জামায়াত বিএনপির কোন কোন নেতা কোথায় কোন গাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে দর্শনার্থীদের দোয়া করে পালিয়েছেন তাদের পরিচয়ও এখন সবার জানা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি পাওয়া যায় নাই।
দেখা গেছে, সেখানে থেকে তাদের চোখের সামনে গণভবনে যা করার করে যাদের যাদের দরকার তারা তাদের মধ্যে তাদের তাদের সাথেই বিদায় নিয়ে ফিরে গেছে সারা বাংলাদেশে। তারপর আবার….
ঢাকা শহর কেন্দ্রিক রাজনীতির বাংলাদেশের ঢাকা শহর ছাড়া হয়েছে ঢাবি সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসের ছাত্রসমাজ ৫ আগষ্টের অনেক আগেই, কেননা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক আগেই, সরকারের নির্দেশে ক্যাম্পাস ভ্যাকাম করে চলে গেছে।
এবারের আন্দোলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো কিন্তু এর সমন্বয় ঘটিয়েছে বিদেশে থাকা ভাড়ার টাট্টু মিডিয়া পার্টনার্স এবং এক্ষেত্রে পিনাকী ও ইলিয়াস ফেইজভ্যালু ব্যবহার করেছেন আর বাকি হালি খানের প্রডাকশন দিয়েছেন এবং সবার চোখের আড়ালে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা, যারা ‘বাঁচলে গাজী মরলে শহীদ’ -এই আদর্শের উপর নিরবে নিভৃতে বড়ো করে তোলা বাংলাদেশের একাংশের শিক্ষার্থীরা।
এখানে একটা কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা দরকার যে আমাদের দেশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে অভিবাবক, এমনকি সাধারণ মানুষের খুব বেশি কিছু জানা নাই, ওদিকে মিডিয়ার প্রকাশও খুবই সামান্য। তথ্য মতে সাধারণ মানুষ তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে পরহেজগার হবার খায়েসে মাদ্রাসায় রেখে আসার পরে ওস্তাদজীরা কে কোন পন্থী তার উপর ভিত্তি করে কার সন্তান কি করে? কি হয়!? তার খবর বাবা-মায়েরা খুব কম জানেন। তবে জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এবিষয়ে সহজাত কারণেই অধিক খবর রাখেন।
বস্তুত দেখা গেছে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে নাশকতা শুরু করে আখ্যা শহরে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা অমনই একটা ভিন্ন জগতের প্রজেক্ট হিসেবে চলেছে অন্য মাষ্টার মাইন্ডের মাধ্যমে। এদের সাথে যোগসাজশে ছিল আগে থেকেই তাদের যারা বিশেষ করে শুরু করেছেন শেখ হাসিনার আমলেরই ডিউজ নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে।
দেখা গেছে কয়েকজন প্রবাসে বসবাসকারী তথাকথিত সাংবাদিকরা বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া ও যোগাযোগ মাধ্যমকে গ্ৰাস করে নিয়েছে। ওদিকে তো প্রথম আলোদের “প্রথম আলু” বলে লোকে আগে থেকেই।
একথা পরিস্কার যে ডঃ আসিফ নজরুলকে ফ্রন্ট সাইডে রেখে অপর দু’জন ডঃ সাহেব তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লোকজন নিয়েই সবকিছু আয়ত্ত করছেন।
এক্ষেত্রে, “বর্তমান বাংলাদেশে তিনজন প্রধান ক্ষমতাধর করা?” -এই প্রশ্নের একটাই উত্তর সবার কাছে, ডঃ আসিফ নজরুল, ডঃ ইউনুস ছাড়া রয়েছেন ডঃ শফিকুল রহমান।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা এখন এই তিন ডক্টরেটের হাতে এবং তারা তিনজন মিলে জামায়াতে ইসলামীকে প্রমোট করছেন ৫ তারিখের পর থেকেই। এক্ষেত্রে তারা শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টির অফিসকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ঘোষণা করে তাদের ওই মাস্টার মাইন্ড মিডিয়া দিয়ে সারা দেশে প্রচার করে জাতির সাধারণ মানুষের মানসিকতার উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।
দেখা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সাধারণ মানুষ গণভবন কর্মসূচি পার করে যার যার মতো দেশে ফিরে গেছে কিন্তু তাদের পেছন পেছন যারা ঢাকা শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেই টিমকেই ফেরত পাঠিয়ে সারা বাংলাদেশে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন তারা, একমাত্র সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে।
এই তিন ডক্টরেট কয়েকজন শিক্ষার্থীদের কাঁধে সবচেয়ে বেশি ভর করেই এসব করেছেন, এটা এখন সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার কেননা, দেশে এক ডক্টরেট আইন আদালত দেখেন আরেক ডক্টরেটকে বিদেশ থেকে আনিয়ে তার ফেইজভ্যালু এবং অন্যান্য ইমেজকে ক্যাশ করে।
আর এই দুইজন ডক্টরেট অপেক্ষায় আছেন, ওদিকে তৃতীয়জন অর্থাৎ ডঃ শফিকুল রহমান তার মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে সর্বসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশে নিজেদের অবস্থান সৃষ্টি করতে।
তবে বেশি কিছু না জানলেও একটি কথা এই তিনজন ডক্টরেটসহ মুচি মেথড়, কামার কুমার সবার জানা কথা যে মাদ্রাসার ছাত্ররা ছাড়া সারা বাংলাদেশে জামায়াতের তেমন কোনো অবস্থান নাই এবং সর্বোপরি এই তিনজন ডক্টরেট যারা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের কর্ণধার তারা সহ সবাই জানে যে ৭১-এর যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জামায়াতের ভূমিকা সবার জানা কথা। পাশাপাশি এদেশের ৯২% সাধারণ বাঙালী মুসলিমরা পৃথিবীর যেমন মুসলিমই হোক না কেনো তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিপক্ষে সবসময়ই কিন্তু তবুও দেশের গতানুগতিক ধারার পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে তারা তিনজন তাদের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যার একমাত্র টার্গেট বাংলাদেশের সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডঃ শফিকুল রহমান পরিচালনা করবেন। যার কোনো বিকল্প নাই।
এদিকে বারবার সহিংস আক্রমণের প্যানিক দেয়া লাগছে এই কারণে যে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের ছাত্র সমাজ কিভাবে, কোন শাসন ব্যবস্থায় চলতে চায় তার উত্তর দেবার পালা এসেছে এখনও।
প্রথম থেকেই এই তিন ডক্টরেটদের তাদের গ্ৰিপে থাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই রিস্কটা নিতে হয়েছে, কেননা বিএনপির আমলেও বাংলাদেশে একবার শিবির ছাত্ররাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলো, ছাত্রদলের কাছেই তা একেবারেই নাপাসন্দ বিষয় আগেও ছিল, এখনও আছে।
মাঠ পর্যায়ে তৎকালীন সময়ে শিবির যে ধারার রাজনীতি করেছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে তা ছাত্রদলের কোন নেতাদেরই আকৃষ্ট করে না আজও এবং তাই এবার শুরু থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা জামাতকে না করে দিয়েছেন এবং বিএনপির সবচেয়ে মুখরা রমনী যিনি অবশ্যই বিদূষী, রুমিন ফারহান বিএনপির সবার চোখকান খুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রুমিন ফারহান এবার ইতিহাস হয়ে গেলেন, তাঁর সাহস ও মানসিক যোগ্যতা শেখার মতো।
এছাড়াও তারেক রহমানের দেশে না আসার কারণ এখন সবার জানা হয়ে গেছে। বিএনপির সদ্য জামিন প্রাপ্ত নেতার জামিন নামঞ্জুর হবার পরেও সপ্তাহে জামিন হবার শর্তটাও যেহেতু সবার জানা, পাশাপাশি তারা এটকাও জানেন যে তারেক জিয়ার ভিশন সর্বোচ্চ শিখরে এবং তারেক জিয়াকে সবার মতো মাঠে নিয়ে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে না এবং তাই তার দেশে আসা হয় না।
আর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া এদেশের ভোট ব্যাংক মানেই বিএনপি, তাই বিএনপির সাথে যা করা হচ্ছে তার কিয়দংশ করে প্রতিদিন জামায়াতের মিডিয়া প্রকাশ করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে জানান দিচ্ছে যে এদেশের সবকিছু লুটপাট, দখলবাজি, ছিনতাই, চুরি আবার শুরু করে দিয়েছে বিএনপি।
তারেক জিয়া থাকতে হয়তো জামায়াতের এই প্রবাসী মিডিয়া চক্র এটা এতো সহজে করতে পারতো না, এছাড়াও অনেক কিছু এভাবে একচেটিয়া করা যেতো না তাই তারেক জিয়ার দেশে আসা কবুল করছেন না তিন ডক্টরেট।
ডঃ শফিকুল রহমান তার সর্বোসাধ্য দিয়ে বিদেশে অবস্থানরত একদল মিডিয়াবাজদের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল প্রচারমাধ্যমগুলো একচেটিয়া হাতের মুঠোয় নিয়ে জামায়াতের প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে মাদ্রাসা কেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের দিক থেকে আগে থেকেই এগিয়ে থাকা জামায়াত ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্র রাজনৈতিক অবস্থানের দখল নিতে পারলেও এরই মধ্যে মানসিক বোঝাপড়া নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।
প্রকার ভেদে দেখা গেছে সেনাপ্রধানের বিষয়ে সেই যে আয়নাঘরের গামছাটা দেখাতে দেখাতে বলেছিলেন যে “… আমারই ছাত্র” -ওটাই ঠিক কিন্তু দিন যায় কথা থাকে তাই প্রথমেই যে কথা বলেছিলাম, ডঃ শফিকুল রহমানকে এই মর্মে প্রশ্ন করি, “আপনার কোন সেকেন্ড চয়েস আছে কিনা?”
অর্থাৎ ধরেন শেষপর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী ক্যাম্পেইন করেও বাংলাদেশের একছত্র সরকার হতে পারলো না তখন কি করা হবে?
কেননা ৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশে যা যা ঘটে চলেছে এই দেশে এসব কিছুর কোন দায়দায়িত্বই কেউ নেবে না জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে, এমনকি নতুন সরকার এলে তারাও নেবে না, তদন্ত হবে রগে রগে, তাহলে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় নাই এলে এই আমল নিয়ে ডঃ শফিকুল রহমান কি করবেন?
এক্ষেত্রে যে উল্লেখ করা হয় সর্বহারা পার্টির কথা। তবে তৎকালীন সময়ের মতো এই যুগে আন্ডারগ্ৰাউন্ড পলিটিক্স সম্ভব নয় এবং এবার যেকোন মূল্যে জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের সরকার গঠন করতেই হবে কিন্তু সরেজমিনে কাউকে তেমন ভাবে জামায়াতকে মেনে নেবার মানসিকতা পয়দা হতে দেখা যাচ্ছে না, অর্থাৎ দেশে জামায়াতের অগ্ৰগতি দেখা যাচ্ছে না, ওদিকে বিএনপিও বুঝতে পেরেছে যে এখন তাদেরকে ধারেও কাঁটে ভারেও কাঁটে, সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে মুলা দেখিয়ে চলার রাস্তা সৃষ্টি করা হয়েছে, অতএব জামায়াতের কাছে আরোও প্রতিকুল পরিস্থিতি আগত।
এমনকি বিএনপির অনেকের মধ্যেই বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর চাওয়া পাওয়ার উপর না খোশ দেখা যায়। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে একটা প্রশ্নের উদয় হয়েছে যে বিএনপিকে সাথে রেখে ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি তিন-শুন্য করেও কি জনমত তৈরি করতে পারবে জামায়াতে ইসলামী?
যেখানে গিয়ে হেরে যাচ্ছেন ডঃ শফিকুল রহমানের মিডিয়া তা হচ্ছে, সাধারণ ছাত্রজনতারা কোন কিছুতেই জামায়াত শিবিরের অনুগত হতে চায় না।
এদেশের ৯০% -এর বেশি মানুষ কোন ভাবেই জামায়াতে ইসলামীর শাসন ব্যবস্থা মন থেকে মেনে নেবে। জামায়াতের মতে ‘৭১-এর যুদ্ধ একটা ভুলবোঝাবুঝির ফসল আর সর্বসাধারণের মতে ৭১ বাঙালী জাতির স্বাধীনতার আরেক নাম, বঙ্গবন্ধু শব্দটা হাজার বছরেরও মোছা যাবে না, ‘রাজাকার, আলবদর, আলসামস ও পাকিস্তান মেইড ফর ইচ আদার’ -এই কথাটা কিছুতেই ইতিহাস থেকে উপড়ে ফেলা যাবে না।
বাস্তব প্রেক্ষাপট মতে বাংলাদেশে নতুন একটা রাজনৈতিক দলের জন্ম হলেও বর্তমানের দলগুলো থেকে যতোগুলো নতুন ভোটার বেরিয়ে আসবে সেই দলের পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শেষপর্যন্ত ততোগুলোও নতুন ভোটারের তৈরি করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রায় সকলের মনেই সন্দেহ আছে।
দেখতে তিন মাস পেরিয়ে গেছে, ওদিকে ছাত্রদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া শুরু হয়েছে, এই আমলের শ্রেষ্ঠ শ্লোগান শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে, “…. সব শালারাই বাটার!”
যতোই সহিংস আক্রমণের প্যানিক দেয়া হোক মিডিয়ায় মিডিয়ায় কিন্তু এই ভাবে তিন ডক্টরেট মিলে ছয়মাস, নয়মাস যতোই সময় যাক, ডঃ শফিকুল রহমান সাহেব কি মনে করেন কয়মাস থাকা যাবে এভাবে? আর তিনি কি মনে করেন, কয় মাস পর নির্বাচন দিলে জামায়াতে ইসলামী সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের সরকার গঠন করতে পারবেন? আর না পারলে, সেকেন্ড চয়েস…!?
#সাফকথা