ফেসবুক ভয়েজ : ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত শাহজাহানপুর থানা এলাকার শান্তিবাগ বাজার রোডে আজ দুপুর আনুমানিক তিনটার দিকে রাহাত (১৬) নামক এক যুবককে দলবেঁধে এসে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে যায় একদল যুবক। অতঃপর মারাত্মক আহত অবস্থায় রাহাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার চিকিৎসা নিয়ে শুরু হয় গাফেলতি!
এক্ষেত্রে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে আমাদের দেশে আহত অবস্থার কোনো রুগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ কেস কিনা এনিয়ে সৃষ্টি হয় একটা অসভ্য জটিলতা এবং এঘটনা এদেশের জন্য চিরাচরিত বিষয়। এই জটিল পরিস্থিতির শিকার হয়ে কতোলোক যে অকাতরে প্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে বা চিকিৎসার জন্য দেরি করা হয়েছে বলে, তার খবর কে রাখে!
উল্লেখ্য যে এদেশের একজন মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পরা বাদ দিয়ে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে যেকোনো ডাক্তারকে প্রথমে তদন্ত করে দেখতে হয়, আহত হবার কারণ কি? পুলিশ কেস কিনা? সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি এবং এসব বিষয়গুলোকে ভালো করে খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হবার আগমুহূর্ত পর্যন্ত কোনো ডাক্তারই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া ব্যক্তিটির দিকে ফিরেও তাকান না, তা সে মরে গেলে মরে যাক, ডাক্তার বেচারা আইনের জটিলতার কারণে অপারগতা প্রকাশ করে থাকেন!
তবে যেহেতু পৃথিবীর যেকোনো আইন মানুষের জীবন রক্ষার্থে এবং কোনো মানুষই আইনের জটিলতা রক্ষার্থে পয়দা হয় না তাই আমরা মনে করি আইনের এই সিস্টেমেটিক গ্যাড়াকলটির পরিবর্তন এই মুহূর্তে প্রয়োজন। কেননা একজন আহত মানুষের জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে পরবর্তীতেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, এতে করে আহামরি কিচ্ছু আসে যায় না।
নিহত রাহাতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত রাহাতকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে শুরু হয় বিভিন্ন রকম অবমাননা ও উপরোক্ত জটিলতা। একদিকে চাইনিজ কুড়ালের কোপে সৃষ্টি হওয়া গভীর ক্ষতগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, এছাড়াও যুবকটি ছিল একজন হার্টের রোগী। তারা জানায় ওই অবস্থায়ই রাহাতকে রাত দশটা পর্যন্ত ইমার্জেন্সিতে ফেলে রাখা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানায়, দুপুর তিনটার দিকে আহত হওয়া রাহাতকে চিকিৎসা দিতে রাত দশটার দিকে এসে প্রথমে অনেকক্ষন চেষ্টা চালান একজন নার্স! অতঃপর সে ব্যর্থ হবার পরে গভীর ক্ষতগুলোকে সেলাই করতে আসেন একজন ডাক্তার, রাত তখন সাড়ে দশটা, পৌনে এগারোটা হবে।
তারা জানায়, সেলাই ও আনুসাঙ্গিক ব্যাবস্থা গ্ৰহন করার পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীকে নিয়ে যেতে বলা হয় কারণ হাসপাতালে জায়গা নাই!
অতঃপর উপায়ান্তর না পেয়ে মৃত্যুপথযাত্রী রাহাতকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন বাসায় ফিরে আসেন কিন্তু আসতে না আসতেই ছেলেটা বমি করা শুরু করে দেয়, এটা দেখে তারা তাকে তাৎক্ষণিক আবারো হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু যাবার পথেই তার প্রশ্রাব, পায়খানা হয় এবং একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে বিল্লালের একমাত্র ছেলে রাহাত…
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের সময় সীমা অতিক্রম করছে তাই পুনরায় তা বৃদ্ধি করা হয়েছে কিন্তু তাতে কি? লোকে বলে, “সেনাবাহিনী যেনো আর সেনাবাহিনী নাই, তাদের হাবভাব দেখে চৌকিদার মনে হয়!”
এদিকে সারাদেশে চলছে মারামারি, খুনখারাবি, লুটপাট, দখলদারি, ডাকাতি। এছাড়াও এখনও উদ্ধার করা যায় নাই থানাগুলো থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ। আর কথায় কথায় যুব সমাজ ঝাঁপিয়ে পরে হত্যার মানসিকতা নিয়ে, -এটাই নতুন চেহারার বাংলাদেশ! ছোট-বড় , ভালো-মন্দের কোনো তোয়াক্কা করে না উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা!
এদিকে গত ৫ আগষ্টের পরে পরীক্ষায় অটোপাসের ঘটনা ঘটিয়ে একটা সেশনের ছেলেমেয়েদের জীবনকে আজীবনের জন্য কলঙ্কিত করেও ক্ষান্ত হয়নি, এমনটাই দেখা যাচ্ছে বর্তমান সরকারের হালহকিকত! সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন সেক্টরে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি ও নিয়োগের যেনো একটা মিছিল নেমেছে! তাছাড়াও বর্তমানে সারাদেশে চলছে পুলিশে লোক নেয়ার মহা ধুমধাম, যা নিঃসন্দেহে একটা প্রশ্নবিদ্ধ আয়োজন বৈকি! যেভাবে সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই শতশত যুবকযুবতীদের পুলিশ বিভাগের চাকরিতে নেয়া হচ্ছে এবং যে প্রকৃয়ার পরে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তা দেখে সবাই হতাশ। দেশের সাধারণ মানুষ বলাবলি করছেন, “এই যে এরা যেভাবে পুলিশে লোক নিচ্ছেন আর পোশাক দিয়ে চাকরিতে জয়েন্ট করাচ্ছেন এটা কি একটা কথা হতে পারে? এরা কি আদৌও পুলিশ হচ্ছে? এটা কি মামু বাড়ির আবদার?”
তাছাড়া প্রকৃত অর্থেও পুলিশ বিভাগের যেকোনো চাকরিতে নিয়োগের পূর্বশর্ত হচ্ছে, সঠিক শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ প্রদানবাদ পোশাক দিয়ে ডিউটিতে পাঠানো কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে এসব আসলে কি!? কোনো উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়তো!? -এমন আরোও অনেক রকমের সন্দেহ প্রকাশ করা ছাড়াও সাধারণ মানুষের মতে, দিনশেষে যখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদায় হবেন, দেশে আসবে নতুন করে নির্বাচিত সরকার তখন কি এরা ডিপার্টমেন্টে অটোপাসের মতো অটোপুলিশ হিসাবে বিবেচিত হবে না? এদের পক্ষে কি তখন সাধারণ প্রকৃয়ায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাকরি করা সম্ভব হবে? এদের কি তখন কথায় কথায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অটোপুলিশ’ বলে ধিক্কার আর গঞ্জনা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে না!?” এছাড়াও বর্তমান আমলের কারিশমায় বিভিন্ন সরকারি সেক্টরে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এবং বাহিনীতেও যেসব পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে দেশের হাঁটে বাজারে, চায়ের স্টলে চলছে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা, যার মধ্যে একটা কথাকেও কেউ অযৌক্তিক বলে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারবে না!
দেশের আনাচে কানাচে, শহর বা গ্ৰামের বিভিন্ন এলাকাতে বসবাসকারী লোকজনের মতে, অনেক বছর ধরেই মারামারি, ভাঙচুর, লুটপাট বা অতর্কিত হামলার শিকার হবার, -এর শতভাগ না হলেও এক প্রকার ভয়ভীতি হীনই ছিলেন বলা চলে। অনেকেই একবাক্যে বলছেন যে হঠাৎ অতর্কিত আক্রমণের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেখে নি তারা অনেকদিন। অধিকাংশ লোকের মতে, তাদের এলাকায় তারা কিছুদিন আগেও এখনকার চেয়ে অনেক বেশী নিরাপদ ছিলেন কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এসে কেউ যেনো এক মুহুর্তের জন্য নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। চারিদিকে আতঙ্ক, কখন কোনদিক থেকে কোন গ্ৰুপ এসে কার উপর ঝাঁপিয়ে পরে তা বলা মুশকিল। ওদিকে পুলিশ আছে কিন্তু না থাকার মতোই।
এবিষয়ে প্রায় সকলেই একমত, পুলিশের কি দোষ? বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ কি করবে? পুলিশের তো সকল অস্তিত্ব তছনছ করে দেয়া হয়েছে! মিথ্যা কলঙ্কে কলঙ্কিত পুলিশ বাহিনীকে আবার স্বাভাবিক মানসিকতায় ফিরে যেতে হলে হয়তো দু-এক যুগ সময় লাগলে লাগতেও পারে। এছাড়া এভাবে নতুন করে পুলিশে লোক নিলেই বা কি লাভ হবে?
প্রায় সকলের দাবি, এই আমলে বরং দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরাই থাকেন সবচেয়ে বেশী আতঙ্কে! পাছে কখন কোন গ্ৰুপ এসে থানায় ঢুকেই একহাত দেখিয়ে দেয়! এথেকে মুক্তির উপায় খোঁজা বাদ দিয়ে যা করা হচ্ছে তাতে করে তো সন্দেহ হয় যে সাধারণ মানুষের ঘামের পয়সায় কিনে দেয়া পোশাক পরে এরা আবার পাবলিকের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো হামলে পরবে কিনা…
সর্বোপরি দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, -এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি! সকলের মতে, তারা আগে খুব ভালো না হলেও ভালোই ছিল। তখনও দেশের বাজার ঘাট, জীবন ব্যবস্থা দালাল আর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ছিলো, তখনও চারিদিক নকল পণ্যে ছয়লাপ ছিলো, তখনও দেশে দুর্নীতিবাজদের ছড়াছড়ি আর কাড়াকাড়ি ছিলো অবশ্যই কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তার চেয়ে শতগুণ ভালো ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘আগের দিনই ভালো ছিল’ -একথা শুনলেই যদিও একশ্রেণীর বেশীবোঝা লোকজন বলে থাকেন, “১৭ বছরের দুর্নীতি কি তিন মাসেই পাল্টে যাবে? অপেক্ষা করেন সব ঠিক হয়ে যাবে।” তবে তাদের ওসব কথায় সাধারণ মানুষের ডাল আর গলে না! অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে তিন মাস পার করার পরে প্রায় সকলেই মত প্রকাশ করে বলেন যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যা প্রয়োজন বা যেমন দেশপ্রেমিক ও মেধাবী মানুষজন দরকার একমাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন ছাড়া সেরকম মানুষ একজনও নেই বর্তমান সরকারের হাতে, আর ওই মানুষটাকে আজ এই মন্ত্রনালয়ে কাল ওই মন্ত্রণালয়ে যেভাবে ঘোরাচ্ছেন তা দেখে মনে হয় এই সরকারের শাখাওয়াত হোসেনের মতো দেশপ্রেমিক, নিষ্ঠাবান লোকের দরকার নাই। বস্তুত দেশে চলছে ছাগল দিয়ে জমি চাষের পাঁয়তারা! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে যেভাবে যাদেরকে বসানো হচ্ছে তা দেখে মনে হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কামারের কাজ কুমার দিয়ে করানোর সিদ্ধান্তে অটল! তাছাড়া রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তিকে গবেষণাগারের গিনিপিক বানিয়ে শিক্ষানবিশদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
একথা অনস্বীকার্য যে দেশের কর্ণধার তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীদের আসনে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশদের পক্ষেই কোনো গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির একটা সিঙ্গেল লাইন চালানোর মতো মেধা ও যোগ্যতাও আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পদ্ধতিগত দিকগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়, উপদেষ্টার আসনগুলো যেনো উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে এবং তাই যোগ্যতা, দক্ষতার কোনো বিচার বিশ্লেষণের ধার ধারা হয় বলেও মনে হয় না।
না বলে পারছি না, “একটা গোটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে তথাকথিত খেলারামরা যেভাবে খেলছেন তা দেখে সত্যিই অবাক লাগে! আর খুব কষ্ট হয় কোমলমতি, সহজ-সরল শিক্ষার্থীদের জন্য, ওরা তো এমন একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে নাই! এসব করা হবে এবং তারজন্য তো ওরা, ‘বুকের মধ্যে দারুন ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, -এই শ্লোগানে মিছিলে রাজপথে নেমে আসে নাই!
আর ওদের সাথে, এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে যারা বেঈমানি করে চলেছেন তারা তো সংখ্যায় সামান্য হাতে গোনা! তাহলে…
তবে কি আমাদের সন্তানরা রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার চাবিকাঠি মুরুব্বি মেনে, বিশ্বাস করে কোনো ভুল মানুষের হাতে তুলে দিলো!?
মনে প্রশ্ন জাগে, “এরাও কি মানুষের বাচ্চা না? এদের কি কোন অভিবাবক ছিলো না? বাবা-মা, শিক্ষাগুরু, শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা, দেশাত্মবোধক….,
এরা কি বেদুইন? এরা কি বাজারে ছেড়ে দেয়া ছদাহের ষাঁড়ের মতো দড়ি ছাড়া, নিয়মনীতি শিক্ষা ছাড়া ঘুরেফিরে যা খুশি তাই করে বড়ো হয়েছেন? এদের কি দায়িত্ববোধ বলে কিছু নাই? এরা কি এতোটাই অমানুষ যে কেউ দিলেই তা লুফে নিবেন? একটা জাতির জাতীয় বিষয়ের মতো এতো বড়ো এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা না থাকার পরেও যে এরা এসে বসে পরলেন, কোন সাহসে!?
এরা আসলে কি মনে করেন!? এই রঙ্গেই দিন যাবে? নাকি এদের আসলে হারাবার কিছু নেই, -এটাই কি তবে আসল কথা!? এরা তো কেউ কোনো রাস্তার লাফাঙ্গা বা ভিখারি ছিলোনা! এমন তো নয় যে জীবনে কোন সম্ভাবনা নাই তাই সুযোগ পেয়েছেন, আর এই সুযোগে ভালোমন্দ খেয়েদেয়ে মনের আনন্দে দিন পার করে চলেছেন, যা হবার হবে!
অতএব তাই বুঝি তারা মনে করেন যে যদি এই সুযোগে দুইদিনও ভালো থাকা যায় তাহলে তাই লাভ। পরে কি হবে, বিচার শালিসি, জেল জুলুম, ফাঁসি যা হবার হবে, হোক! তবুও তো জীবনে দুইদিন হলেও মাতব্বরি করে গেলাম…!” নয়তো তারা যে একটা গোটা রাষ্ট্র ও তার কোটি কোটি মানুষের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার আগে নিজেদের মানসিক ওজন আর যোগ্যতার কথা একবারও ভাবলো না!!
কেউ কি বলতে পারেন, “কোন প্রকৃতির কুলাঙ্গারা এহেনো ভয়ঙ্কর মানবতার শত্রুদের জন্মের ইতিকথা…!”
#সাফকথা