FB IMG 1731646499710

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিশার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আচরণের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন হিরো আলম

সেদিন ছিলো শুক্রবার। ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশব্যাপী মুক্তি পেয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।

এতে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।

উল্লেখ্য, অধুনায় এই তিশার স্বামী মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার পদ প্রদান করা হয়েছে, যা নিয়ে দেশের মানুষের মনে ক্ষোভ ও ঘৃণার পয়দা হয়েছে।

তবে সিনেমাটি যেদিন মুক্তি পায় অর্থাৎ প্রিমিয়ারে অংশ নিতে পারেননি অভিনেত্রী তিশা। কারণ, তিশা ছিলেন ‘বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র ২৮তম আসরে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমার অনুষ্ঠানে। ফিরে এসেই তিশা তার ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন তার অনুভূতির কথা।

নুসরাত ইমরোজ তিশা লিখেছিলেন, “মাত্র দেশে আসলাম। ফোন অন করে সবার এতো এতো ম্যাসেজ দেখে মন ভরে গেল। আমার অভিনয় যদি আপনাদের এতটুকুও ইমোশনাল করে থাকে তাহলে আমি কৃতজ্ঞ। ছবিটা করার সময় অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে সবাইকে। আমরা এই পরিশ্রমটা করি আপনাদের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব’ চলছে আপনার কাছের হলে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ। লাভ ইউ অল।”

এ সিনেমায় তিশা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আর তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক অভিনয় শিল্পী।

এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই সিনেমার অভিনয় করাটা আরেফিন শুভর জন্য অপরাধ বলে গণ্য করে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া সব প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে মুজিব সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসা অভিনেতা আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

এক‌ই সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে বলে জানান তারা। গত ৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।

একদিকে তিশাকে এবিষয়ে কোনো প্রকার প্রশ্নের সম্মুখীন করা তো দূরের কথা বরং তার স্বামী মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার পদ‌ও দেয়া হয় অন্যদিকে আরেফিন শুভ লিটন হায়দাররা অপরাধী বলে গণ্য হয় যা শুধু হিরো আলম‌ই নয়, দেশের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এটাকে কেউ কেউ একচোখা নীতি, কেউবা আবার বিমাতাসুলভ আচরণ বলে গণ্য করেন। আবার অনেকেই তিরস্কার করে বলেন, “সুদখোর ডঃ ইউনুস আর বিহারী পুত্র ডঃ আসিফ নজরুলদের কাছ থেকে ন্যায়-নীতি যারা আশা করে তারা হয় পাগল নয়তো বন্ড….!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *