ফেসবুক ভয়েজ : এবার আত্মপ্রকাশ করলেন শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি তার এই আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের ছলনার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসে সকলের আসল পরিচয় প্রকাশ করার সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ আগেই যে বিষয়টি অনুমান করেছিলেন, এবার সরাসরি নিজেদের স্বীকারোক্তি ও আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে তাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। সাধারণ ছাত্র জনতার কাছে নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণা করে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু করা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল হোতা ছিলো ‘জামায়াত-শিবির’।
এছাড়াও প্রমাণিত হোলো যে কালের কণ্ঠে ২৭ আগস্ট ২০১০ তারিখে জামাতের ঢাকা মহানগরীর আমীর রফিকুল ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে যে খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে জানা যায়, তাকে ধরার সময় তার কাছ থেকে নানান কাগজপত্র জব্দ করে পুলিশ, সেই সব জব্দ করা কাগজে দেখা যায় জামাতের এক নীল নকশার চিত্র, যেমন: যুদ্ধ অপরাধের বিচার নিয়ে ঘন ঘন সেমিনার করতে হবে যারা সরাসরি জামাতের রাজনীতি করেন না এরকম লোকেদের এসব সেমিনারে হাজির করতে হবে। তাদের সেই নথিতে মিলে, বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজের মত মানুষ গুলোকেও সেসব সেমিনারে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়াও উদ্ধার করা ওইসব কাগজপত্র অনুসারে জামাতের নিজস্ব বিশিষ্টজনদের তালিকায় আছেন ঢাবির আসিফ নজরুল, কমরেড সাইফুল হক ও ফরহাদ মাজহারের নাম। অতএব ডঃ আসিফ নজরুল বিএনপির নয় বরং তিনি আসলে জামায়াতের লোক এবং আন্দোলন কালে অন্ধকারে থেকে তিনিই ওই আন্দোলনের লিড দিয়েছেন জামায়াতের পক্ষ হয়ে।
এছাড়াও প্রমাণিত হোলো যে অর্থনীতিবিদ ডঃ ইউনুস যিনি পৃথিবীর অত্যাধুনিক সুদের ব্যবসা আবিষ্কার করে নোবেল বিজয় করেছেন, তিনি আসলে নিতান্তই একজন ‘বেপারি মানসিকতার লোক’, নেতা হবার জন্য যে মহান চরিত্রের প্রয়োজন হয় তা তার নেই।
এছাড়াও প্রমাণিত হোলো যে আওয়ামী রাজনীতিকদের পরে এবার বিএনপির নেতাকর্মীদের ধ্বংস নিশ্চিত করে নিজেরা শীর্ষে এসে পৌঁছাতে সক্ষম হতে চলেছে জামায়াত-শিবির।
এছাড়াও প্রমাণিত হোলো যে সেদিন বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করাটা ছিলো আসলে একটা ছলনা, যায় উপর ভর করে জামায়াতকে পুনরায় বৈধতা দেয়া, ডঃ ইউনুসের সকল মামলার নিষ্পত্তিসহ আদালত পাড়ার বিচারপতিদের প্রশ্নবিদ্ধ উপায়ে রদবদল করা হয়েছে।
সর্বোপরি প্রমাণিত হয়েছে যে ছাত্রদের মধ্য থেকে নাহিদ-আসিফ এই দুজনকে উপদেষ্টার পদ দেয়া হয়েছে এসব কিছু সুনিশ্চিত করে মূলত জামায়াতের ভিত শক্তপোক্ত করতে।