নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে শিরীন শান্তির বিরুদ্ধে। এবং তিনি একজন আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবেও পরিচিত। জায়গা দখল করে ঘর বানিয়ে বিক্রি করাই তার নেশা বলে জানা যায়।
তার দখলকৃত জমিতে রিক্সার গ্যারেজ করার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া এই এলাকায় মাদক ব্যবসা জমি দখল নৈরাজ্য চালিয়ে আসছে পরিবারটি।
সরজমিনে মিরপুরের ১২ নং- সেকশন ধ-ব্লক এলাকায় বালুর মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে দখলকৃত প্লটে বিলাসবহুল বাড়ি অথচ এই জমির মালিক মিরপুর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন ঢাকা ১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার ছত্রছায়ায় ক্ষমতার দাপটে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অসহায় ছিলেন।
স্থানীয় এলাকার একজন বসবাসকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, এই বিলাস বহুল বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত চলে মাদক কেনা বেচা।
আরো অভিযোগ রয়েছে শেখ শিরিন শান্তির স্বামী ওয়াজউদ্দিন পূর্বে ছিল একজন সাধারণ রিক্সা চালক,বর্তমানে স্ত্রী শিরীন শান্তির গুনে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।
আওয়ামীলীগ সরকারের এমপির ছাত্র ছায়ায় থাকার সুবাদে এলাকার অসহায় লোকদের জায়গা দখল করা ও একজন নিরীহ অসহায় বাস মালিক কামরুল ইসলাম “পরিস্থান পরিবহন” নামে একটি বাস কোম্পানি ছিল কোম্পানিটি অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বামী স্ত্রী মিলে অস্ত্রের মুখে ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক কোম্পানিটি লিখে নেয় বলে অভিযোগ করেন।
আরো জানা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের হয়ে শিরিন শান্তি ও ছেলে সাগর, মেয়ের জামাইয়ের ভাই মিনু ও হাসান সহ দলবল নিয়ে ১৬ আসনের এমপি এর পাশে থেকে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়।
৫ ই আগস্ট হাসিনা সরকার পতন হওয়ার পর পরিবারের সকলেই ছাত্র জনতার ভয়ে গা ঢাকা দেয় বলে জানা যায়। এবং আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ ফেসবুকে নিজের উপস্থিতি নিয়ে আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দেয়, যা সরকার পতন হওয়ার পর পোস্ট করা সকল ভিডিও স্টিল পিকচার ফেসবুক হইতে ডিলিট করে দেয়।
তবে অভিযুক্ত দখলদার মাদক কারবারি শিরিন শান্তি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পৈতৃক সূত্রে আমরা এই জমির মালিক।
তবে পল্লবী থানায় সে হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন বলে জানা যায়।
(চলবে)