FB IMG 1724914232700

ডঃ আসিফ নজরুলের তত্বাবধানেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনস্থ বাংলাদেশে বৃটিশ আমলে ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট বিতর্কের মধ্যেই জন্ম নেয়া জামায়াতের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, যা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী সূচিত সংগঠন, মূল নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, গত প্রায় ৮৩ বছরে ৪ বার নিষিদ্ধ ঘোষিত‌ হবার পরে এবার আবার পঞ্চম বারের মতো বৈধতা ফিরে পায় কিন্তু এখন থেকে তিন দশকের কিছু বেশী সময় আগে এই আসিফ নজরুলই জামায়াতের মূখ্য ব্যক্তিত্ব, সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সম্পর্কে “সাইদী সমাচার, একজন ধর্মব্যবসায়ীর উত্থান” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন (ছবিতে দেয়া আছে), এছাড়াও সাঈদী সাহেব যেদিন মারা যান সেদিনও একটি ফেসবুক স্টাটাস দিয়েছেন যার আগাগোড়াই ছিলো শতভাগ জামায়াত বিরোধী এবং জামায়াতের নেতাদেরকে ধর্মব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিংহ পুরুষ, শ্রেষ্ঠ নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট সোমবার মারা যান, ওইদিনই বেলা পৌনে তিনটার দিকে আসিফ নজরুল যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার আইডি থেকে সাঈদী সাহেবকে কেন্দ্র করে একটি স্ট্যাটাস লিখে পোস্ট করেন যা সেই সময় ভাইরাল হয়েছিল।

সেই ফেসবুক পোস্টে ডঃ আসিফ নজরুল লিখেছেন,

আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিলাম, এ নিয়ে প্রথম আলো’তে অনেক লিখেছি তখন। তবে আমি মনে করতাম (এখনও করি), ফাঁসিই দিতে হবে শাহবাগের এই চাপ ছিল ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’

তাছাড়া, বিচার চলাকালে সংবিধান ও আইন সংশোধন করা, অভিযুক্তের পক্ষের সাক্ষীকে গুম করা এবং বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে স্কাই-পি কেলেঙ্কারিতে তথ্য ফাঁস হওয়া ইত্যাদি বিষয়ের কারণে বিচার নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বহু মিথ্যাচার আর ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল আমাকে। জীবনে অনেক উপকার করেছি এমন কেউ কেউও এই মিথ্যাচারে অংশ নিয়েছিল। শেষে বুঝেছি যুক্তি, তথ্য ও সৎ সাহস নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে কথা বলা বা শোনার মতো মানসিকতা এ দেশের অধিকাংশ মানুষের নেই।

মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মানুষের বিচারের ঊর্ধ্বে এখন। আল্লাহর কাছে তিনি অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন। দোষী হলে শাস্তি, না হলে ভালো প্রতিদান পাবেন। এ নিয়ে আমাদের ব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই।

বিচিত্রায় ১৯৮৯ সালে মওলানা সাঈদীকে নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন লেখার অ্যাসাইমেন্ট আমাকে দেয়া হয়েছিল (অনেকে তা এখন শেয়ার করছেন)। সেটা ছিল প্রতিবেদন, কোনো মতামত নয়। মতামত দেওয়ার মতো পড়াশোনা বা ম্যাচিউরিটি আমার ছিল না তখন। এখন কিছুটা হয়েছে সম্ভবত। শোনার মতো ম্যাচিউরিটি ও মানসিকতা মানুষের হলে বা দেশে বাক-স্বাধীনতা ফিরে এলে, সেটা অবশ্যই বলব কখনো।

আমার কাছে এখন বেশি জরুরি হচ্ছে এখনকার মানবতাবিরোধী অপরাধ (সিস্টেমেটিক গুম), দেশ লুট আর ভোটচোরদের নিয়ে কথা বলা। কারণ এগুলোও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চরম লংঘন এবং এটা অনেকে বলছে না।’

(আমার এই পোস্টে যদি কেউ মন্তব্য করেন, তাহলে মিথ্যে বা বিকৃত কিছু বা না জেনে লিখবেন না প্লিজ। কারণ, কমেন্টের উত্তর দেওয়ার সময় বা ধৈর্য আমার খুব কম)

-এই নোটটিও সবার শেষে যোগ করেন ডঃ আসিফ নজরুল।

উল্লেখ্য যে ওই পোস্টের কারণে ৩৪ বছর আগের লেখা আসিফ নজরুলের ওই প্রতিবেদন‌টিও (সাইদী সমাচার, একজন ধর্মব্যবসায়ীর উত্থান) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

2d20e8b01c7f1d22807a4fcc2604c56a 64db6572bde3b
(ছবি: সংগৃহীত)

আসিফ নজরুল তার সেই লেখার (প্রতিবেদন) সূচনায় বলেছিলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী-বিরোধী সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এ দেশে মওদুদীবাদ ও ধর্ম ব্যবসার রাজনীতি যে অগ্রহণযোগ্য, আবারো প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জামাতের মজলিসে শুরায় সাঈদীর অন্তর্ভুক্তির পর পরই দেশের আলেম সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সাঈদীর বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠেন। সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামাতের মঞ্চনায়ক সাঈদীর বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত জনমত গড়ে ওঠে। দলমত নির্বিশেষে সকল মহলের বিরোধিতার মুখে সিলেট থেকে সাঈদীকে বিতাড়িত করা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মাহফিলের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। নাছোরবান্দা সাঈদী তারপরও গোপনে রাতের অন্ধকারে কিছু স্থানে প্রবেশ করেন। কড়া পুলিশ প্রহরায়, জামাতের সশস্ত্র ক্যাডারদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন।

এসব ম্রিয়মান মাহফিলের চরিত্র এবং ক্ষীণত্ব সাঈদীর ধর্মব্যবসায়ী স্বরূপকে আরো প্রকাশ্য, খোলামেলা করে তোলে। সমালোচনায়, আন্দোলনে, হরতালে সাঈদী একনিমিষে উঠে আসেন গোলাম আজমের মতো গণধিকৃত পরিচিতিতে।

আসিফ নজরুল লিখেছেন, বিভিন্ন সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে কণ্ঠ সম্পদকে অবলম্বন করে সাঈদী পিরোজপুরের গড়ের হাটে সুর করে আতর, তসবিহ, ধর্মীয় পুস্তক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বিরুদ্ধে লুটপাট ও ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে।

‘এ প্রসঙ্গে মাসিক নিপুণ পত্রিকার জুলাই ৮৭ সংখ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাড়েরহাট ইউনিনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়….. সাঈদী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক-হানাদারবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি ধর্মের দোহাই দিয়ে গণিমতের মাল হিসেবে পাড়েরহাট বন্দরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর লুট করেছেন। এবং মদন নামের এক হিন্দু ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভেঙে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সাঈদী দীর্ঘ সময় পালিয়ে থাকেন এবং ১০ বছর পর নিজ গ্রামে আসেন।

‘পাক্ষিক তারকালোকের ৪ বর্ষ ১৮ সংখ্যায় দেয়া সাক্ষাৎকারে সাঈদী স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। যারা এ অভিযোগ করেন তাদের আরো মনোযোগ দিয়ে আমার বক্তব্য শুনতে অনুরোধ করবো।”

সাঈদীর এই মিথ্যাচার ‘ইত্তেহাদুল উম্মাহ’ নামক একটি ধর্মীয় সংগঠন গড়াকালীন সময়েও দেখা যায়। ৮১ সনের শেষ দিকে বায়তুশ শরফের পীর সাহেবের খানকাতে এক গোপন বৈঠকে সংগঠনটি গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই বৈঠকে বায়তুশ শরীফের পীর, শর্ষীনার মেজো হুজুর, যশোরের খাজা সাঈদী পীর, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং জামাতের গোলাম আজম উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ নজরুলের এই লেখাটি পড়ার পরে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, ঢাবিতে জামাতি ভিসি এরশাদুল বারির হাত ধরে নিয়োগপ্রাপ্ত ডঃ আসিফ নজরুল তারমানে কি জামায়াত বিরোধী!? তাই বা কি করে হয়!?

উনি ঢাবির শিক্ষক হিসেবে যেভাবে পরিচয় লাভ করেছেন এবং শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সাথে যেভাবে প্রতারণা করেছেন তার উপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগ আনা চলে, তবে তিনি যে একজন জামায়াত বিরোধীই তা কিন্তু বলা যাবে না। কেননা পরবর্তীতে তিনিই আবার ‘দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একজন যুদ্ধাপরাধী নন’ -এমন মন্তব্যও করেছেন। শুধু তাই নয় মীর ‘কাশেম আলীও একজন বুদ্ধিজীবী’ এই পরিচয় কেনার মিশনে আসিফ নজরুলও ছিলেন কিনা সেই সন্দেহ ঘনীভূত হয় কালের কণ্ঠে ২৭ আগস্ট ২০১০ তারিখে জামাতের ঢাকা মহানগরীর আমীর রফিকুল ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে যে খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে জানা যায়, তাকে ধরার সময় তার কাছ থেকে নানান কাগজপত্র জব্দ করে পুলিশ, সেই সব জব্দ করা কাগজে দেখা যায় জামাতের এক নীল নকশার চিত্র, যেমন: যুদ্ধ অপরাধের বিচার নিয়ে ঘন ঘন সেমিনার করতে হবে যারা সরাসরি জামাতের রাজনীতি করেন না এরকম লোকেদের এসব সেমিনারে হাজির করতে হবে। তাদের সেই নথিতে মিলে, বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজের মত মানুষ গুলোকেও সেসব সেমিনারে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়াও উদ্ধার করা ওইসব কাগজপত্র অনুসারে জামাতের নিজস্ব বিশিষ্টজনদের তালিকায় আছেন ঢাবির আসিফ নজরুল, কমরেড সাইফুল হকফরহাদ মাজহারের নাম। তাহলে তাকে কি করে জামায়াত বিরোধী বলা যায়!?

হ্যাঁ আসিফ নজরুল সাহেব মাঝে মাঝে বিএনপির সমালোচনাও করেন বটে তবে তা পরিশীলিত ভাষায় এবং ছোট ছোট করে। তাছাড়া বিএনপি আমলে ২০০৪ইং, ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভায় গ্ৰেনেড হামলার আলোচনায় উনি তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরই তীব্র সমালোচনা করেছিলেন এবং সেই হামলার পর পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন প্রতিবাদ মিছিল করা হলো তাই নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে ‘ঘটনা সাজান কিনা’। এমন কি সেই প্রতিবাদ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে তত্কালীন পুলিশ যে লাঠিচার্জ করেছিল তা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে সরকার আর কিইবা করতে পারতো লাঠিচার্জ করা ছাড়া। এছাড়াও আগেপিছে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন টিভি টক’শোতে জামাত বিএনপির পক্ষ নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ভালিয়ে, যা সবসময় উপস্থিত সবাইকে গিলিতচর্বণ করতে দেখা গিয়েছে নির্বোধ প্রাণীটির রূপে!

একজন মানুষের পক্ষে এমন করে এ পক্ষে ও পক্ষ, যার বিপক্ষে তারই পক্ষে থাকার যে বিরল উদাহরণ এই আসিফ নজরুল তার দ্বিতীয় কোন উদাহরণ কারো কাছে আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে এইভাবেই বহুগামিতার আদর্শে পথ চলতে চলতে এবার দেশের শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাঁধে ভর করে আসিফ নজরুল যেখানে এসে পৌঁছেছেন তার উদাহরণ বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার ইতিহাসে এক-দুইয়ের মধ্যেই রয়েছে। তিনিই এখন এদেশের “টপ অফ দা টকস”, ‘আলফ শুকরান’, তবে এখানে এসেও তিনি সেই তিনিই রয়ে গেলেন অর্থাৎ ‘কারো কেউ নয় তিনি’। তার আমলে (বর্তমানে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের রেকর্ড পরিমাণ অবমাননা করা হয়, তার ভাষ্কর্য ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ৩২ নম্বর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয়, এমনকি বঙ্গবন্ধুর জন্ম পরিচয় নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে সোরগোল চলে কিন্তু এই তিনিই একসময় বঙ্গবন্ধুর সুনাম গাইতে গিয়ে এমনও কথা বলেছেন যে বঙ্গবন্ধুর লেখা পড়ে নাকি অগণিত বার কেঁদে ভাসিয়েছেন, এমনও মহান কোনো নেতাও যে হোতে পারে তা নাকি তিনি কখনো ভাবতেই পারেননি! তাহলে কি দাঁড়ালো!?

এ কেমন চরিত্র আসিফ নজরুল আসলে কার লোক? তিনি কোন দলের পক্ষে? -এসব প্রশ্নের কি উত্তর মিলে?

বাঙালী জাতির গত পাঁচশ বছরের ইতিহাস ঘেঁটেও ডঃ আসিফ নজরুলের মতো ব্যতিক্রম ধর্মী চরিত্রটির সেকন্ড পিস পাওয়া যায় নি। এই লেখাপড়া জানা মানুষটির পৈত্রিক পরিচয়, ব্যক্তিগত জীবন ও চরিত্র এদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে এখন একটা খোলা চিঠি। সবাই জেনে গেছেন তিনি ব্যবহার করেন নি এবং ব্যবহৃত হয়নি এমন কোন দল বা মত এদেশে নাই। অতএব বার বার একটি প্রশ্নই বার বার ঘুরেফিরে আসে জাতির স্বার্থে, অনিবার্য কারণে তা হচ্ছে, আসলে এই আসিফ নজরুল মানুষটা কার লোক? তিনি এই দেশটাকে নিয়ে কোথায় দাঁড় করাতে চান? তিনি কি তার পুর্ব পুরুষের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ!? তাই কি তিনি এদেশে সকল রাজনৈতিক দলের সকল নেতাদের ‘ভোদাই’ বানিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন মতের সাথে থেকে অপেক্ষায় আছেন এমন এক মিশনে যা আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জামায়াত কোনদিন ভাবতেই পারে নাই! এমন কিছু কি!?

পাছে লোকে বলে থাকে বলে আপনিও কি মনে করেন যে আগামীকাল জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ পাকিস্তানের হয়ে যাবে!? আমি বলবো, তাহলে আপনি পাগল হয়ে গেছেন আর তা আপনি নিজেই জানেন না!

জামায়াত একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী মত ধারার ও মানসিকতার অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক সংগঠন, আওয়ামী লীগ যেমন ভারত ঘেঁষা জামাত তেমনি পাকিস্তান ঘেঁষা, রাজনৈতিক বয়স কম বলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারত আর বিরোধী অবস্থায় পাকিস্তান ঘেঁষা কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশকে জামায়াত পাকিস্তানের হাতে তুলে দেবে এমনটা আপনি কি করে ভাবতে পারেন? দলীয় ভাবনায় বিবেক শূন্য দলকানা ভাবনা ছাড়ান দেন, আল্লাহ মওজুদ, অতিপ্রাকৃতিক শক্তিকে ভয় করে চলেন, তবে আসিফ নজরুল নামক ইতিহাসের প্রায় অদ্বিতীয় চরিত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনীতিকের জীবনের আদ্যপান্ত দেখে ও তার চিন্তা চেতনা বিচার বিশ্লেষণ করার পরে তিনি যদি এদেশের ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত ভাবে পেয়ে যান, তখন তিনি যে কি করবেন তা বলা সত্যিই মুশকিল! বাঙালী ইতিহাসে একই লোকের ভিতরে এতো রূপ, এতো মতলব, মতোবাদ এর আগে আর কারো মধ্যে দেখা গিয়েছে কিনা তা অন্তত আমার জানা নাই…

“সাইদী সমাচার, একজন ধর্মব্যবসায়ীর উত্থান”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *