IMG 20240824 WA0003

চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক : “আমি সাংবাদিক। আমাকে সহযোগিতা করুন। সহায়তা করুন। প্লিজ। আমাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করবেন না। প্লিজ প্লিজ, অনুগ্রহ করে…, ভিডিও ধারণ হয়নি, ভিন্ন ২টি মোবাইলের (ব্যাগে ছিল) অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ও পেশাগত কাজের তথ্যের পরিপূর্ণ ছিল। যা দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়নি। সেইসব মোবাইলের সবতথ্য সমূহ ডিলিট করবেন না। আমি মুসলমান হয়ে আল্লাহর নামে কসম করছি! আমার মোবাইল ফরমেট দিবেন না। আপনাদের ধারণকৃত ভিডিও বা আলোচনার বিষয় গোপন থাকবে শতভাগ নিশ্চিত করছি। আমি কোনভাবে কোনদিন কোনরকম কাউকেই বলবো না প্রকাশও করবো না। প্লিজ…”

২১ আগষ্ট রাত ৮টায় কোতোয়ালি থানাধীন সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পের ভিতর দুর্বৃত্তদের ভিডিও ধারণ কালে  এসআই মো: শামসুল ও তার সঙ্গী আরেক এসআই কর্তৃক গৃহীত এমন বেআইনি চরম নিষ্ঠুরতার অঘটনের এ ঘটনা ঘটে।

সব পুলিশ খারাপ নয়। সততার জায়গায় প্রশাসনের দায়িত্ব থেকেও জনসেবার বিপরীতে পুলিশ ব্যাপক জনআস্থা বিশ্বস্ততা হারিয়েছে। ভুক্তভোগীদের পদে পদে হয়রানি ভোগান্তি অপরনীয় ক্ষয়ক্ষতি শিকার হতে হয় পুলিশ নামক সেবাযন্ত্র সংস্থার কাছে। সাংবাদিক হয়েও পুলিশের কাছে যেখানে নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষ পুলিশি সেবা সহায়তার কিভাবে পায়? সেই প্রশ্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনগণে। সাধারণ ভুক্তভোগীরা না জানি কত অসহায় নিরুপায়। বাস্তবতার ভয়াবহতায় অনাকাঙ্ক্ষিত, তিক্ত কালো অভিজ্ঞতা ও অনভিপ্রেত এমন অঘটনের শিকার যারা ভুক্তভোগী একমাত্র তারাই জানে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দৈনিক দেশের কথার নিজস্ব প্রতিবেদকে অমানবিক নিষ্ঠুর কায়দায় তথ্য সংগ্রহের বাধা ও হামলার শিকার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক মহল।

তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক তিনি সবরকম নত হয়েও পুলিশের হাত থেকে শেষ রক্ষা পাইনি তার কুকৌশলী ছক থেকে কোনভাবেই। পুলিশ কৌশলে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিয়ে আরো উত্তেজিত করার অপচেষ্টা চালাই। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোলাটে করে তোলে।

ঘটনার শিকারর সাংবাদিক বলেন, “প্লিজ প্লিজ ডিলিট করবেন না। তিনটা মোবাইলে শত শত মানুষের জীবন রয়েছে। এখন এইমাত্র নিউজ পাবলিস্ট হবে। যার সমস্ত তথ্য উপাত্ত রয়েছে বিশেষ অতি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রয়েছে।

অন্য ভিডিও ডিলিট করলে আমার পক্ষে কোনভাবেই নিরাপত্তায় ও স্বাভাবিকভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। যা বর্তমান ভবিষ্যৎ জীবনে অপূরণীয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শিকার হবো। যা কোনদিন কোনভাবেই পোষাণ সম্ভব নয়। আর যাদের ডকুমেন্টস রয়েছে তাদেরকেউ বাঁচানো সম্ভব না। এতে অনেকের আশা আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘশ্বাস রয়েছে।

আমার ব্যাগে সংরক্ষিত মোবাইল ভিডিও হয়নি এগুলো আমার কাছ থেকে নিবেন না। ভিন্ন মোবাইলের ডকুমেন্ট তথ্যসমূহ ডিলিট করা আর আমাকে মেরে ফেলায় একই সমান। আমাকে জীবিত মারবেন না। প্রয়োজনে আমাকে মেরে ফেলেন তারপরও আমার মোবাইলের অন্য সব ভিডিও ডিলিট করবেন না।

তারপরেও আপনারা যদি নিরাপদ মনে করেন প্রয়োজনে শুধুমাত্র আপনাদের ঘটনাস্থল ধারণকৃত ভিডিওগুলো শুধু ডিলিট করেন অন্য ভিডিও ডিলিট করবেন না। প্লিজ।”

তথ্যসংগ্রহে পুলিশের বাধা ও লাঞ্ছনা শিকার সাংবাদিক। দুর্বৃত্তদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলে ভুক্তভোগীকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে রফাদফা করে মূলঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপ্রচেষ্টা।

পরিস্থিতি ভয়াবহতায় সংবাদিক পরিচয় সত্ত্বেও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাইনি তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিবেদক।

ভুক্তভোগীকে আক্রমণকারীরা ঘটনাস্থল পুলিশের সাথেই পুলিশের ফাঁড়িতে অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় অভিযুক্তদের ভিডিও ধারণ করলে গেলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অঘটনের শিকার হয় তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক।

পুলিশের কাছে আকুতি মিনতি অনুরোধ করি মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ অতি প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ ডিলিট করতে মানা করি।

তাদের সাথে যতই কথা বলি পরিস্থিতি হয় আরো ভয়ংকর। সব রকমের নত হয়েও প্রয়োজনে আল্লাহর কসম দিও তাদের থামাতে পারেনি। ডিলিট না করে প্রয়োজনে আমাকে মেরে ফেলার জন্য তাদেরকে আকুতি মিনতি জানাই।

পুলিশ নিজ হাতে মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে নেয়, মোবাইলের পাসওয়ার্ড পিন নাম্বার আমার কাছ থেকে নিয়ে মোবাইলে ফরমেট মারে।

ঘটনা সত্যতা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাকারী পুলিশের ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতা জীবনঝুঁকিতে।

ঘটনাক্রমে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে থেকে বিশেষ ফোনের মাধ্যমে জানানো হয় যে কিছু দুর্বিত্তরা তাদের পরিবারের সদস্যকে তার প্রাইভেট কারের চাবি নিয়ে নেয়, সাথে থাকা টাকা, মানি ব্যাগ, মোবাইল‌ও নিয়ে নেয়।

পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাতের জেরে প্রতিহিংসা প্রতিশোধ নিতেই দুর্বিত্তরা পূর্ব পরিকল্পিত এ আক্রমণ চালাই।

“এছাড়াও শারিরীক একাধিক জখমে ভুক্তভোগী মারাত্মক ভাবে চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই।” ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

সিআরবি বিট ইনচার্জ এসআই রনিকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেন, একবছর আগের মামলা ও পূর্বশত্রুতা জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আইনি জটিলতার বিষয় তাই থানা থেকে পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত করেছে। বিষয়টি বিস্তারিত কি হয়েছে কি ঘটনা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

অভিযুক্ত এসআই শামসুলকে ফোন দিলে বলেন, তিনি তার বেআইনি অপকর্মের কথা অস্বীকার করেন। নিজ হাতে কেড়ে নেওয়া মোবাইলে কথা অস্বীকার করেন। মূল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টায় বাস্তবতা গোপন করেন। মূলঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করে।

কর্তব্যরত কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনগতগত সুব্যবস্থা নিব।

উল্লেখ্য : সব পুলিশ খারাপ নয়। বাস্তবতায় পুলিশ যখন অপরাধীদের ধরতে সহায়ক নয়, সেবক এর আড়ালে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে নিরব ঘাতকের পরিচয় দেয়। সেইসুযোগে অপরাধীরা হয় আরো ভয়ানক ভয়ংকর। ভুক্তভোগীরা তখন হয়ে যায় আরো নিরুপায় অসহায় অপক্ষমতার ছত্রছায়ায় জিম্মি। নিরাপত্তাহীনতা জীবনঝুঁকিতে অভিযোগ দিয়ে উল্টো অভিযুক্ত হয়রানি ভোগান্তির দায়ে নানাভাবে হয় চরম জর্জরিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। বাস্তবতা কতটুকু ভয়াবহ প্রতিকূলতা যারা ভুক্তভোগী একমাত্র তারাই জানে হারেহারে। বিচারের দায়ে দ্বারে দ্বারে পদে পদে হয় নানাভাবে অপরনীয় ক্ষয়ক্ষতি ও হেনস্থার শিকার।

ঘটনার বাস্তবতায় সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহে বাধা কোনভাবেই কোন সভ্য সুষ্ঠু ভদ্র সমাজ দেশের কাম্য নয়। সাংবাদিক সংগঠনের বিবৃতি ও সচেতন সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের হামলা স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ঐহিত্যের অধিকার ও বর্তমানে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা যেন স্বাধীন নয়। নিরাপদ নয়।

আমরা যেন অপশক্তিধর অশুভ রাজনৈতিক ছত্রছায়ার নতুন ফাঁদের ষড়যন্ত্রের কবলে। নীতিহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন অজানা অচেনা এক অপশক্তির কাছে জিম্মি হতে চলেছি নিত্য নতুনভাবে পদে পদে। চলছে পূর্বের অপক্ষমতাকারীদের ষড়যন্ত্র। অপক্ষমতার হাত বদলের মিশন মিশন।  কিছু অসৎ পুলিশের জন্য আজ বৃহৎ পুলিশের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ! নেতিবাচক নয় ইতিবাচক চিন্তা চেতনায় হোক আমাদের আগামী প্রজন্ম। নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় দিন কাটুক প্রতিটি মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ।

কিছু অসৎ পুলিশের জন্য আজ বৃহৎ পুলিশের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ ? ঘটনার বাস্তবতায় সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহে বাধা কোনভাবেই কোন সভ্য সুষ্ঠু ভদ্র সমাজ দেশের কাম্য নয়। সাংবাদিক সংগঠনের বিবৃতি ও সচেতন সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের হামলা স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ঐহিত্যের অধিকারী ও বর্তমানে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা যেন স্বাধীন নয়। নিরাপদ নয়। আমরা যেন অপশক্তিধর অশুভ রাজনৈতিক ছত্রছায়ার নতুন ফাঁদে। নীতিহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন অজানা অচেনা এক অপশক্তির কাছে জিম্মি হতে চলেছি নিত্য নতুনভাবে পদে পদে। চলছে পূর্বের অপক্ষমতাকারীদের ষড়যন্ত্র। কিছু অসৎ পুলিশের জন্য আজ বৃহৎ পুলিশের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ! নেতিবাচক নয় ইতিবাচক চিন্তা চেতনায় হোক আমাদের আগামী প্রজন্ম। নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় দিন কাটুক প্রতিটি মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *