ফেসবুক ভয়েজ : বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলিতে প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করছে। এই হিসাবে ৪ বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা জোরদারের জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। গতকাল রোববার বিকেলে রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র-সচিবের দপ্তরে তাঁরই সভাপতিত্বে টাস্কফোর্সের ৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয় এদিন।
পররাষ্ট্র-সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। তারা শিগগিরই কাজ শুরু করবে। এ–সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটা দলিলের খসড়া তৈরি হয়েছে।”
আজব আবোলতাবোল বুঝ…
আফসোস হয় কপাল পোড়া বাঙ্গালী জাতির জন্য। আপনাদের মনে আছে তো, রোহিঙ্গা আর মুসলিম এই দুটি শব্দকে একত্রিত করে অন্ধকারে থেকে একদল বাঙ্গালী ‘রোহিঙ্গা মুসলিম’ শব্দটার জন্ম দিয়ে গড়ে তুলেছিল এক মহা আন্দোলন। যা উপেক্ষা করার কোনো উপায় ছিলো না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তারপর একদা রে’বান সানগ্লাস চোখে লাগিয়ে সহমর্মিতা নিয়ে সুদূর তুরস্ক থেকে এদেশে আসলেন এরদোয়ান স্ত্রী, তার পেছনে পেছনে স্বয়ং এরদোয়ান। অধিকাংশ মুসলিমরাই তাকে বর্তমান পৃথিবীর মুসলিম নেতা বলে স্যালুট করলেও আমি তাকে প্রচন্ড ঘৃনা করি। আমি বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাকের চেয়েও তাকে বেশী ঘৃনা করি আমার জাতির সাথে তার ঘৃণ্য কারসাজির জন্য।
মনে আছে তো সেই দিনের কথা, এরদোয়ান এসে রোহিঙ্গা প্রেমে গদগদ হয়ে জাহাজ ভর্তি খাবার ও গালভরা আশ্বাস দিয়ে ষ্টাব্লিষ্ট করে গেলেন এদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, তারপর সব ইতিহাস…!
জন্ম নিলো বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের মতো আরেক ইহুদী আগ্ৰাসণের সুত্রপাত। পৃথিবীর কে এই কথা অবমাননা করবে যে রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য ইহুদী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলে অস্ত্রের ঝনঝনানি সাথে ট্রেনিং! উদ্বাস্তু, রিফিউজিদের জন্য সেখানে বিক্রি হয় পৃথিবীর দামি দামি ব্রান্ডের পারফিউম থেকে ১০/১২ টাকা দামের টিশার্টও! ইয়াবার কথা তো বলাই বাহুল্য, এমনকি তারা নিজেদের মুদ্রাও চালু করেছে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশে কতো হিম্মত তাদের। গেলো কোরবানিতে ডবল-রিডাবল দাম দিয়ে গরু কিনেছে তারা! যে দামে কেনার কথা স্থানীয়রা ভাবতেই পারেনা! প্রতিটি ক্যাম্পের আশেপাশের স্থানীয়রা চব্বিশ ঘন্টা আতঙ্কে থাকে রোহিঙ্গা আক্রমণের ভয়ে। ওদিকে প্রথম থেকেই তারা প্রতিযোগিতা করে বাচ্চা উৎপাদন করে চলেছে! এসব কিছুই আপনাদের জানা কিন্তু একটা প্রশ্ন কি কখনও নিজের কাছে নিজেরা করেছেন যে এইসব কিছু যোগ করলে মানেটা কি দাঁড়ায়?
ডুবন্ত মানুষের মতো রোহিঙ্গাদের কাছে আমরা বাঙ্গালী জাতি প্রতিমূহুর্তে গ্ৰাস হয়ে যাচ্ছি। এমন বেশ কয়েকটি এনজিও ইচ্ছা মতো রোহিঙ্গাদের পাশে আছে যারা ইহুদীদের সাথে প্রথম থেকেই ছিলো সাহায্যের নামে, ইহুদীরা যখন ফিলিস্তাইনে ঢোকে…
মোদ্দা কথা, কোন্ অলুক্ষনে, কার নোংরা মাথার কারসাজিতে আমরা বাঙ্গালী জাতি প্রতিমূহুর্তে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলছি আমাদের সার্বভৌমত্ব তথাকথিত রোহিঙ্গাদের কাছে। আর অকালকুষ্মন্ডরা ভাবে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে। ওরা হয়তো ভাবছে এই জাতি চুলায় যাক, হারিয়ে যাক বাঙ্গালী সার্বভৌমত্ব, আমরা তো আমাদের সন্তানদের আগে থেকেই বিদেশে পাচার করছি…
কিন্তু ওরা জানে না, যখন বাঙ্গালী সবহারাবে তখন তাদের সন্তানরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেনো, তারা ও তাদের রক্ত প্রবাহ পৃথিবীর কাছে বেঈমান বলে চিহ্নিত থাকবে…
অবশ্য তাতে কি, আমরা তো নিশ্চিত যে আমরা আমাদের দেশ হারাচ্ছি, নাকি আপনাদের কারো কোনো সন্দেহ আছে এবিষয়ে, থাকলে বলেন…