ফেসবুক ভয়েজ : ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাংলাদেশকে ছিনিয়ে আনার মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সেই কারণেই তাঁর উপর থেকে পাকিস্তানীদের এই ৫৪ বছর পরেও যে ক্ষোভটি রয়েই গেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিজের অজান্তেই তা প্রকাশ করে ফেললেন অধুনায় শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে।
উল্লেখ্য যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এসব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক।
শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘যিনি পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি অবশেষে তার করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন।’ বুধবার ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ইয়ুথ কনভেনশনে এমন মন্তব্য করেন তিনি যা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের হেরে যাবার অপমানের একটি বহিঃপ্রকাশ বৈকি। খবর জিও নিউজটিভির
বস্তুত দেখা যায় পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বাঙালী ও পাকিস্তানী এই উভয় জাতির মানুষই কমবেশী রয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত যেকোনো বাঙালীর কাছে জানতে চাইলেই তারা একবাক্যে স্বীকার করেন যে আজও পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের ঘৃনা করে, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হেরে যাবার কারণে হিংসা করেন, পারলেই বাঙ্গালীদের মজুরির প্রশ্নে ঠকায় এবং বাঙ্গালীদের যে কাপুরুষ বলে মনে করে এমন ভাব তারা প্রকাশ্যেই প্রকাশ করে থাকে।
প্রবাসী বাঙালিদের কাছে জানতে চাইলে প্রায় সকলেই মত প্রকাশ করেন যে পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীদের এতোটাই ছোট করে দেখে এবং খারাপ ব্যবহার করে যে যার কারণ কোন বাঙালী পাকিস্তানিদের সাথে পারতপক্ষে কাজ করতে চায়না, অপরপক্ষে বাঙালীরা সবসময়ই একটা উদারমনা ও ভদ্রজাতির প্রমাণ দেয়, তারা কেবলমাত্র কোনো পাকিস্তানীর সাথেই নয়, বরং পৃথিবীর কোনো জাতির মানুষের সাথেই কখনো খারাপ আচরণ করে না।