ফেসবুক ভয়েজ : বুয়েটের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “যারা যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ মুখোশ পাল্টে চোখ বন্ধ করে অন্ধের মত বর্তমান সময়ের ভুলগুলোর পক্ষে যা খুশি তাই বলছে এবং পোস্ট করছে তাদের ৯০% আইডিই দেখা যায় লক করা আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে এখনও যে পায়ের নীচের মাটি শক্ত হয়নি তা তারা বুঝতে পারছে এবং এইসব আইডির মধ্যে ৭০% এর বেশী আইডি ইদানিং খোলা হয়েছে, অর্থাৎ আগে তারা যে আইডিগুলো ব্যবহার করে আওয়ামী সুরে গান গাইতো তারা এখন তা বন্ধ রেখে নতুন সুরে গান গাইতে শুরু করেছে চালাকির আশ্রয় নিয়ে, তারা মনে করে কেউ কিছু বোঝে না কিন্তু এটা বোকার ভাবনা, মানুষ কি আর আগের মতো আছে, সবাই এখন সব বোঝে। ওদিকে মাঠ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে এখনও সাধারণ মানুষের মনে কোন প্রকার আস্থার পয়দা হয় নাই, মূলত সবাই পর্যবেক্ষণ করছে।”
এছাড়াও মেধাবী ওই শিক্ষার্থী আরোও বলেন, “দেখা যাচ্ছে বিএনপি জামায়াতের লোকজনরা কোনো রকম ধৈর্য্য না ধরে রাতারাতি চাঁদাবাজি আর দখলদারী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, এগুলোকেও কেউ ভালো চোখে দেখছেন না। এসব দেখে এমনকি বিএনপি জামায়াতপন্থী সাধারণ লোকজনও নাখোশ! ওদিকে সাধারণ ছাত্র সমাজের মধ্যে দিনদিন বেড়ে উঠছে ক্ষোভ। এমতাবস্থায় তাদের উচিৎ সময় দেয়া, নয়তো যা করছে এর ফল হিতেবিপরীত হবার সম্ভাবনা খুবই বেশী এবং এইসব ভুল ডিশিসন তারা না থামালে অচিরেই আরেকটা অঘটন ঘটে যেতে পারে। বৃথা যেতে পারে এতো ছাত্র জনতার রক্ত আর জীবন উৎসর্গ।
তাছাড়াও দেখা যাচ্ছে প্রধান সমন্বয়কের কেউ কেউ এখনই গাড়ি হাঁকিয়ে চলাফেরা শুরু করে দিয়েছে, যা দেখে সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে, টাকার উৎস কি? একমাস না যেতে যেতেই গাড়ি হাঁকায় ১৫ বছর তো দূরের কথা, ১৫ মাসের মধ্যেই তো এরা একেকজন মিলিয়নার হয়ে যাবে। আমি মনে করি, এখনই এসব না করে ধৈর্য্য ধারণ করাই উত্তম। মনে রাখতে হবে ধৈর্য্যশীলকে কেবল আল্লাহই নয় সাধারণ মানুষও পছন্দ করেন, একজন ছাত্র হিসেবে আমি চাই আমার ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হোক।”
মতপ্রকাশ কালে ওই শিক্ষার্থী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি বলেন তা হচ্ছে, “যোগাযোগ মাধ্যমে যারা লাফালাফি করছে তারা কেউ জানেই না, যে ছাত্র সমাজ এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে বর্তমানে তাদের কি মনোভাব। আমরা সাধারণ ছাত্ররা হতাশ, আমাদের ছাত্র বন্ধুদের কি বলে রাজপথে নামানো হয়েছিল আর কি হচ্ছে এসব দেখে ভালো লাগছে না।”