নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে চলবে আন্ত নগর ট্রেন। ট্রেন চলাচল কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত সোমবার থেকে আন্ত নগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত সোমবার মালগাড়ি নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরের দুই দিন যাত্রীবাহী মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলেছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানা যায়, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্ত নগর ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। জামালপুর এক্সপ্রেসের ছয়টি কোচের জানালা, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ১৩টি কোচের ৫৮টি জানালা ও ১৮টি দরজা এবং পারাবত এক্সপ্রেসের ১৬টি কোচের ১৪১টি জানালা ও ২৭টি দরজার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে রেলগুলো আখাউড়া ও ময়মনসিংহে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো বেইস স্টেশন এবং পাহাড়তলী শেডে পাঠিয়ে মেরামত করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা-জামালপুর-ভূঞাপুর-ঢাকা পথে এবং পারাবত এক্সপ্রেস ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পথে চলাচল করে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন সড়কে গাড়ির চাপও ছিল বেশি। আগের দুই দিনের তুলনায় সড়কে ট্রাফিক পুলিশ ও মহানগর পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল সড়কের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।
ঢাকার গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, নদ্দা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের মতোই সড়কে গাড়ি চলছে।
কোথাও তীব্র যানজট তো কোথাও গাড়ির চাপ বেশি। কিন্তু সড়ক খালি ছিল না। অফিস ছুটির পর সড়কে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।