বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হাইথট ও আন্তর্জাতিক মানের কথাবার্তা শোনার পরে বিএনপিপন্থী পা’চাটাদের অবস্থা দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি, “আপনাদের প্লাষ্টিকের কলিজা, খালি মাঠে ছাড়া খেলতেই পারেন না। আর পারেন দখলদারী, ছিনতাই আর চাঁদাবাজি করতে। এছাড়া আপনাদের কি আর কোনো যোগ্যতা বা ইতিহাস আছে? ক্ষমতায় তো বিএনপি অনেক বছর ছিলো, বলেন তো শুনি চ্যালাপেলারা, বাঙালী জাতির জন্য যুগোপযোগী তিনটা কাজের কথা যা বিএনপি সরকার করেছে, বলেন না শুনি! বাপের বেটা সাদ্দাম! কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন!! মজা মারে ফজা ভাই! বিএনপি আবার ক্ষমতা পাবে আর আপনারা আবারো দেশের সাধারণ মানুষদের লুটেপুটে খাবেন, এইতো নাকি!?”
সত্যি বলতে আমরা সাধারণরা প্রচন্ড রকম হতাশ, কারণ আমরা ভোদাই না, যদিও চাইলেই মোছা অত সহজ না, তবুও আমরা মনে করি, এদেশ থেকে কেবলমাত্র গত ১৭ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস মুছে ফেলে কোনো লাভ হবে না। কেননা একটা মানুষের দু’টো পায়ে পচন ধরলে দু’টো পাই কেটে ফেলতে হবে, যদি কেউ একটা রেখে একটা কাটে তবে তাকে যা বলবো তা প্রকাশ্যে বললে অনেকের নীচতলা ভিজে যাবে। আরে ভাই, মগা নাকি? এদেশের মানুষের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে এদেশের গত ৩৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পূর্ণ রুপে মুছে ফেলতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই। এই কথাটার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন কে কে? একটু হাত তোলেন তো, আর আপনার মনে করার কারণটা বলুন, প্লিজ।
যাই হোক, আমরা চাই, এদেশ থেকে গত ৩৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস মুছে ফেলা হোক। এই দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার বাতিল করা হোক, কেননা এই দুই দলের আমলেই পাবলিকের অশান্তি ছাড়া কিছুই মিলেনি, অপরদিকে গত ৩৪ বছর ধরে এই দুই দলের যেদল যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই দলীয় চামচা, ফকিরনীর বাচ্চারা অন্যের ধন কেড়ে নিয়ে ফুলেফেঁপে বাগডাস হয়েছে, নাকি ভুল বলেছি!?
আমার এই কথাগুলো অস্বীকার করতে পারেন, আছেন এমন কোনো মায়ের লাল যে মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছেন। ওই যে দেখেন, এখনও নির্বাচনেরই খবর নাই অথচ এরই মধ্যে দেশে আবারও শুরু হয়ে গেছে দখলদারী! কে কোন গার্মেন্ট খাবে, কে কোন প্রতিষ্ঠানের চাঁদা নিবে এসব ভাগাভাগি নিয়ে কঠিন ব্যস্ততার মাঝে আছে হারামখোরেরা! কারা!? আবার জিগগায়!?
এদিকে সাধারণ মানুষের সন্তানরা যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করলো তাদের কোনো খবর নেয়ার নাম নাই, অথচ নপুংশকরা এসে নেতা বনে গিয়ে বিএনপিকে দুধকলা দিয়ে পোষা শুরু করে দিয়েছে! বলি, এতোবড়ো বেঈমানি কি কেউ মানুষ হলে করতে পারে? এরা প্রাকৃতিক ভাবেই এতোটাই বেঈমান যে এই আন্দোলনে কারা কারা মারা গেলো, কারা কারা আহত হয়ে কোথায় কিভাবে আছে তার খোঁজটা পর্যন্ত নেবার সময় বা মন-মানসিকতা নাই এদের! এক আবু সাইদের বাড়িতে গিয়ে কোনোরকম মাছের মায়ের কান্না কেঁদে এসে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে ব্যস্ত সবাই!
সর্বোপরি যা দেখা যায়, একমাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন সাহেব ছাড়া একজনও যোগ্য ও চৌকস নয়, দেশ চালানো, আন্তর্জাতিক পৃথিবী মেইনটেইন করা যার তার পক্ষে সম্ভব নয়। এরা জানেই না আন্তর্জাতিক পৃথিবীর মানুষ এদের সবার প্রতিটি কথা শুনছেন ও বিচার বিশ্লেষণ করছেন, সেদিন আনসার বাহিনীর ওখান থেকে আসিফ মাহমুদ পালিয়ে এসেছেন, এটা যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এর মানে কি কেউ ভাবারই সময় পায় না! বরং এমন একটা ভাব ধরে আছেন সবাই যে তারাসহ কেউ কিচ্ছু জানে না! হায়রে বলদ কি গাছে ধরে!? আরে, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সবাই এ দৃশ্য দেখেছেন!
আর ডঃ ইউনুস সাহেবের গাঁথা পৃথিবীর শতাধিক দেশের শিশুদের বইতে আছে বটে, তার সার্টিফিকেট এতো গুলো যে তা মাথায় করে নিতে বয়ে বেড়াতেও একজন লোক লাগে, আর নোবেল পুরস্কার তো আছেই, যদিও তার মেয়েটাকে সে যাত্রপালা তথা অপেরার শিল্পী ছাড়া অন্য কিছু বানাতে পারেন নাই। এবিষয়ে লোকে বলে, যে বাবার সামনে তার মেয়ে আধা নাঙ্গা হয়ে পারফরমেন্স করে আর তা দেখে আব্বাজান দাঁত বের করে হাসেন আর তালি দেন সেই আব্বার কাছে কার কি আশা পুরন হতে পারে? তাছাড়া তার আগমনের পরে এদেশে নতুন একটা অধঃপতন দেখা গেছে যা কোনদিন এই জাতি এর আগে দেখে নাই অর্থাৎ ফেইসবুকের একটা ভিডিওতে দেখা গেছে মেয়েরা মিছিলে শ্লোগান দেয়, “…, শেখ হাসিনা চু*দি না”, ছিঃ ছিঃ ছিঃ, মেয়েদের মুখে এই ভাষা! এতো অধঃপতন! তাও এতো তাড়াতাড়ি!? এদেরকে দেখে তো মনে হয় এবার এই দেশের মেয়েরাই গিয়ে ঘর থেকে ধরে এনে পাবলিককে রেপ করে ছেড়ে দিয়ে বলবে, “যা বেটা গিয়ে মায়ের দুধ খেয়ে আয়!”
এককথায় দেখা ও জানা মতে ডঃ ইউনুস এপর্যন্ত কেবলমাত্র কায়েরের মতোই আচরণ করলেন! তার কাছে এখন পর্যন্ত দারুন কোনো নতুন কথা বা পথের সন্ধান মিলে নাই। একটা বক্তব্যে বললেন যে কেউ যেনো আর জব করার কথা মাথায়ই না আনেন সবাই জব ক্রিয়েটর হবেন এই কথাটাই যেনো মাথায় রাখেন। বলি, ওনার কথার কি মানে হয় তা কি উনি বোঝেন? সবাই যদি খালি ক্রিয়েটই করে তবে তাতে কাজ করবে কে আর সেই ক্রিয়েট ব্যবহার করবে কে? আর তবে তো পুলিশ প্রশাসন ইত্যাদি সব বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করার কোনো মানুষই পাওয়া যাবে না! নাকি ভুল বলেছি!? দেখলাম তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট রাখতে চান না! আমি যেনো আকাশ থেকে পরলাম! ও ভাই এই লোক বলে কি হে!? এতো মাখ্খি চ্যুছ লোক! তার মতে ক্রিকেট একটা সময় নষ্ট করা! তার কথা মানলে তো পৃথিবীর কোটি কোটি লোকজন ছাগল-পাগল ছাড়া আর কিছুই না। যাই হোক, আমি ডঃ ইউনুসের কাছ থেকে এমন একটা কিছু দেখার অপেক্ষায় আছি, যা দেখার পরে আমার ভিতরের লোকটা আপনাআপনি বলে উঠবে, “দারুন তো! তাই তো!!”
এছাড়াও মহান যে কারে বলে তা কিন্তু ডঃ আসিফ নজরুলও জানেনই না! ঘোরপ্যাঁচ, কথার পৃষ্ঠে কথা বলতে পারা, মাকে দিয়ে ঝিকে বোঝানোর যোগ্যতাই একটা জাতিকে পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট যোগ্যতা বলে গণ্য নয়। বলি, “বাহ্ রে সোনা বাহ্, আপনার কথা ইতিহাস মনে রাখবে, আপনি ছেলেদের কিভাবে ব্লাকমেইল করলেন, আপনি কি মনে করেন? আপনি একাই ধূর্ত শিয়াল, আর সব গরু ছাগল হাঁস মুরগি!? আপনি ফেসবুক লাইভে(কমেন্ট বক্সে দেয়া হয়েছে) এসে ছেলেদের বলেন যে এরপর আবার লুটপাট, ভাংচুর করা ঠিক হয় নাই ইত্যাদি ইত্যাদি অর্থাৎ তার কথার মানে কিন্তু এটাই দাঁড়ায় যে ওরাই তথা ছাত্র সমাজই এদেশে সব লুটপাট ভাংচুর করছে, তিনি তো এটা সবাইকে ইনডাইরেক্টলি বলেই দিলেন ফেইসবুকে এসে!?
আসলে কি, ভালো মানুষ ছাড়া শোষক হলেও বিশ্ব জয় করা যায় বটে কিন্তু ভালো কাজ করা যায় না, ইতিহাস সাক্ষী। এদেশের ক্ষেত্রেও, ক্ষমতার মসনদে বসা আর সাধারণ মানুষের জন্য ভালো কাজ করা এক কথা নয়। ভালো কাজ করতে হলে ভালো মানুষ হতে হয়, আর এটা জেনেটিক বিষয়। ‘ভালো বীজে ভালো ফসল, ভালো মানুষে ভালো কর্ম’, -একথার কোনো বিকল্প নাই।
এক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনের মানসিক উচ্চতা বোঝার জন্য উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন ও ট্রেইন্ড পার্সন হতে হবে। ডঃ আসিফ নজরুল, ডঃ জাফর ইকবাল বা ডঃ ইউনুসদের মতো দেশ-বিদেশে গিয়ে ডিগ্রি নিয়ে আসলেই কি হয়? সর্বোপরি ‘আমড়া গাছের ঢেঁকি’, ‘ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’, -এই কথাগুলো তো সবার জানা কথা, কি তাই না? আবার জিগগায়!!!