ফেইসবুক ভয়েজ : ডঃ আসিফ নজরুল কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময়মতো একাত্মতা প্রকাশ করে এখন দেশের ‘টক অফ দা টাউন’। উল্লেখ্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও ছাত্র সমাজের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, একথাটা সবার জানা। এ আন্দোলনে তিনি ছাত্রদের পথ প্রদর্শক ছিলেন। তিনিই সাথে নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বঙ্গভবনে যান, যখন যা করতে হবে সেই পরামর্শ দেন ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি, এসব কিছুই সবাই জানেন।
এদিকে তার এই সফলতায় অভিনন্দন জানিয়ে মেহের আফরোজ শাওন একটি ফেসবুক স্টাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি আসিফ নজরুলের লেখা ২০২০ সালের একটি ফেসবুক পোস্টকে নতুন করে তুলে ধরে ভাইরাল করেছেন। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পত্নী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর লেখার মধ্যে আসিফ নজরুলের সেই লেখাটি পুনরায় স্বরণ করিয়ে দিতে লিখেছেন, ‘এখন নিশ্চয়ই হবে। আশায় আছি…।’ অতঃপর আসিফ নজরুলের সেই লেখাটি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য হয়তো সবাই জানেন কিন্তু তবুও একবার স্বরণ করিয়ে দিতে বলছি, কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী এই মেহের আফরোজ শাওন ডঃ আসিফ নজরুলের সম্পর্কে একাধারে ছোট শাশুড়ি, অন্যদিকে তার বর্তমান স্ত্রী শীলার ক্লাস ফ্রেন্ডও বটে। শিলা আহমেদ হুমায়ুন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলকেতিন বেগমের তৃতীয় কন্যা।
২০২০ সালে আসিফ নজরুলের দেওয়া ফেসবুক পোস্টটিতে লিখেছেন, “যদি ক্ষমতা থাকত আইন করতাম; বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকুরি বা ব্যবসা কোনোভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতি-জরুরি ছাড়া কোনো সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।
এছাড়াও তিনি সেই পোস্টে আরও লিখেছিলেন, “জনগণের টাকায় কোনো কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে। তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে-বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দুদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরও বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী—তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।”
সর্বোপরি আমরা ডঃ আসিফ নজরুলের শাশুড়ি মেহের আফরোজ শাওনকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সাথে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করি, কেননা তিনি সঠিক সময়ে এদেশের মানুষকে সঠিক কথাগুলো মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই মর্মে আমরা এদেশের সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় রইলাম, বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও ক্ষমতাধর বলে বিবেচিত ডঃ আসিফ নজরুলের ইচ্ছা পূরণ হবার পরে অর্থাৎ ক্ষমতা লাভ করার পরে আসলে তিনি কি করেন, নাকি ওগুলো ছিলো তার শুধুই কথার কথা, শুধুই মনোরঞ্জক লেখা।
সাফকথা