ফেইসবুক ভয়েজ : সত্যিই তিনি মুন্সীগঞ্জের টংগি বাড়িতে জন্ম (১ মে ১৯৪০) নেয়া বাঙালী জাতির জীবনে একজন কালপুরুষ, না ভোলার মতোন মানুষ। ব্যক্তিগত জীবনে একজন অর্থনীতিবিদ, সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) সাবেক গভর্নর ছিলেন এই মেধাবী বাংলাদেশী। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
‘কেউ ভোলে না কেউ ভোলে, অতীত দিনের স্মৃতি…’। আমি মনে করি এদেশের অধিকাংশ মানুষই এই মানুষটিকে আজও ভোলেননি এবং কোনদিন ভুলতেও পারবেন না তার অধীনে থাকা এদেশের একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য আমলের সুদিন গুলোর কারণে।
আজ হঠাৎ করেই বিশেষ ভাবে ওই মানুষটার কথা মনে পরে গেলো বর্তমান সময়ের নতুন প্রজন্মের রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা আরেকটা নতুন ভোর ও সম্ভাবনাময় কাল দেখে। আর চলমান সময়টাও অনেকটাই সেই আমলের মতোই বলেই তাঁর কথা মনে পরে গেলো।
সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, ফকরুদ্দীন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নিয়ে এদেশের ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ের মতো আবারও রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাজারের পণ্য মূল্য এমনকি গাড়ি ও যানবাহন চলাচলের মধ্যেও একটা শান্তির সুবাতাস বইছে, তাই বারংবার মনে পরে যায় ফকরুদ্দীন আহমেদ সাহেবের কথা। মনে পরে যায়, সেবার তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পাবার পরে তাঁর যাদুকরী মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে রাতারাতি দুর্নীতি, হত্যা, ছিনতাই থেকে শুরু করে সবধরনের অপরাধের তলে ডুবন্ত দেশটাকে যেনো হ্যাঁচকা টানে উপরে তুলে এনেছিলেন। বাঙালী জাতির কেউ ভুলতেই পারবেন না পুলিশ থেকে শুরু করে এদেশের প্রতিটি দফতরের লোকজনের সেই বদলে যাওয়া, সেই সেবা ও আচরণের কথা।
তিনি এসে সবচেয়ে লক্ষণীয় যে কাজটি করেছিলেন তা হচ্ছে প্রথমেই এদেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন যা ছিল যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, ফলে সবাই মনে মনে ৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বরের মতো একটা খুশি ফিরে পেয়েছিলেন, যেনো সবাই গহীন অরণ্যে হারিয়ে ছিলো এতো বছর ধরে, তিনি আসার পরে হঠাৎ করেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তবে এটাও দেখা গেছে, তাঁর ওই সিদ্ধান্তের ফলে এদেশের সব রাজনীতিকদের, বিশেষ করে বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতাদের আজীবন বেকার হয়ে যাবার ভয়ে পাগল প্রায় অবস্থা! এমতাবস্থায় আমাদের দেশের রাজনীতিকরা প্রমাণ করতে একটুও দ্বিধা বোধ করেন নাই যে আসলেই তারা কতোটা বেহায়া। কিভাবে!?
সেবার তাঁর কারণে যদিও এদেশের মানুষ তাদের জীবনে প্রথম দরজা খুলে ঘুমানোর মতো একটা শান্তিময় পরিস্থিতি পেয়েছিলেন কিন্তু দেখা যায় নিজেরা বেকার হয়ে যাবেন একমাত্র এই ভয়ে ফকরুদ্দীন আহমেদকে বিদায় করতে মরিয়া হয়ে যায় নেতারা, এমনকি তারা নির্লজ্জের মতো আজীবনের দুশমন বিএনপি আওয়ামীলীগ দুই দলের নেতারা এক হয়ে যায়। এই দুই দলের দুই নেত্রী, চিরকালের শক্রদ্বয় হঠাৎ করে তাঁকে হঠাতে প্রকাশ্যে এমন আচরণ শুরু করে দেন, যেনো একটি গাছের দুটি ফুল, এক মায়ের পেটের দুটি বোন! কিন্তু মূলত তাদের দুই দলের লোকজনের মধ্যে শক্রতার কথা আপাতত ভুলে গিয়ে যেনো মিলেমিশে চলেন আর পাবলিকে বোকা বানাতেই ওই তাঁরা ভাবখানা ধরেছিলেন, এছাড়া কিচ্ছু না!
তাছাড়া আরও দেখা গেছে, বিএনপি যেহেতু ভালো করেই জানে যে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা অধিকতর অভিজ্ঞ এবং আন্দোলন করে হটানোর জন্য ‘মাস্টার মাইন্ড’ তাই তাদের কোনো নেতানেত্রী এমনকি স্বয়ং খালেদা জিয়াও শেখ হাসিনার আগে বাড়তেন না, সবসময়ই পেছনে থাকতেন, কখনও ভুলেও আগে বাড়ার চিন্তা করতেন না।
আর তারেক জিয়া? তারেক জিয়ার ইতিহাস আসলে নাতিদীর্ঘ, তার বিষয়ে একটাই বলার মতো কথা আছে আর তা হচ্ছে, এদেশের অত্যন্ত সৎ ও ঈমানদার সৈনিক জিয়াউর রহমান সাহেব মরার সময় একটা ভাঙা ব্রিফকেস আর চল্লিশ টাকা রেখে যাবার পরে জীবনে টাকা কামানোই তার একমাত্র টার্গেট বলে মনেপ্রাণে মেনে চলা মানুষ তিনি, তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী হবার পরে একটা হাওয়া ভবনের জন্ম দেন তারেক জিয়া, যে ভবনের বদৌলতেই তার পকেট ভরে যায় হাওয়া থেকে পাওয়া অজস্র টাকা দিয়ে। এছাড়া বলার মতো তার আরেকটা ইতিহাস আছে ২১শে আগষ্ট। আমি আশা করি, ২১শে আগষ্ট বলার পরে আপনাদের আর কিছু স্বরণ করিয়ে দিতে হবে না। এছাড়া তারেক রহমানের বিষয়ে বলার মতো আপনাদের কারোর জানা ব্যতিক্রম ধর্মী কোনো ইতিহাসের কথা থাকলে শোনাবেন প্লিজ, বিশেষ অনুরোধ রইলো।
দেশ ছাত্র সমাজ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করার পর মূহুর্ত থেকেই শোনা যাচ্ছে সেই তারেক রহমানও নাকি অচিরেই দেশে ফিরে আসছেন! সবাই তার আসার কথা শুনেই আতঙ্কিত হয়ে একটাই কথাই বলাবলি করছেন, “জানি না কি হয়!?” সত্যি কথা বলতে, তাঁর নামের উপরেই সবার এতোটাই ভয় যে তার আসার কথা শুনে তার বিষয়ে এছাড়া আর একটি কথা বলতেও কেউ রাজি নন!
ওদিকে প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে বিলাসীতা আর জৌলুসেল জীবন যাপন বলতে খালেদা জিয়াও কম করেননি মাশাআল্লাহ। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম কিন্তু মনে আছে, খালেদা জিয়া একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তাঁর স্বামী এতোটাই সৎ মানুষ ছিলেন যে তিনি বেঁচে থাকা কালীন সময়ে, একজন আর্মির মেজর জেনারেল ছিলেন বটে কিন্তু কোনোদিন একটা দামি শাড়ি কিনে দেন নি টাকার অভাবে, আর তারেক জিয়া তার বাবার পুরোনো শার্ট পরতেন। উল্লিখিত সেই সাক্ষাৎকারের সময় তারেক জিয়াও ছিলেন , তাঁকে নিরিহ ছেলের মতো ছোট ভাই কোকোকে পাশে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়।
তারপর বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পরে আর দেখে কে!? স্বামীর সংসারে সধবা নারীটি যা পাননি বিধবা হবার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি তার সব খায়েস পুরণ করেছেন আলহামদুলিল্লাহ, তাঁর কাপড়চোপড়, সাজগোজে, পাউডারে, আতরে, সাবানে, মেকাপ-সেকাপে সেকি অবস্থা! তিনি বিদেশে সফরে গেলে তার সাথে ৬০টা সুটকেস যাবার খবর তৎকালীন সময়ে আলোচিত ছিলো!
এছাড়া তারেক জিয়ার কথা তো বললামই। বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা ও বিএনপির জন্ম দানকারী পরিবারের এই পুত্রের বিষয়ে কিছু বলাটা অযথাই সময় ব্যায় বলে আমি মনে করি, আপনাদের কাছে বলার মতো কিছু থাকলে কমেন্ট বক্সে জয়েন্ট করুন। কেননা আমরা অজানাকে জানতে চাই, জানতে চাওয়াটাই আমাদের আজীবনের নেশা।
তাছাড়া তারেক জিয়ার কথা কে না জানেন!? তবে যারা বিএনপি মনা ও তারেক সেনা তাদের বিষয়টা ভিন্ন। কেননা তাদের মতে, ‘সে যা করেছেন এটাই ঠিক, আর এসব নিয়ে কথা শুনতে ভালো লাগে লাগে না, শুনলে গুলি-গালি করে দিতে মন চায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাক্ষুসেপনা, অমানুষের মতো মানুষের সাথে প্রতারনা করার কথা না বলার কারণ, তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে। যেহেতু আলহামদুলিল্লাহ, রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আর আসতে দেয়া হচ্ছে না তাই তাদের কথা বলাটা গিবৎ হবে। আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে ‘কাউয়লীগ’ ক্যাপশনে পত্রিকার প্রথম পাতা জুড়ে ছবি দিয়ে নিউজ করা থেকে শুরু করে, তাদেরকে প্রায় প্রতিদিনই সাপের বিষ ঝাড়ার মতো করে ঝাড়তাম, আর তারজন্য আমরা আমাদের ও পরিবারের জীবনে জন্য কিচ্ছু করতে পারি নাই, যেসব মারাত্মক মারাত্মক আপদ বিপদের মধ্যে বেঁচে ছিলাম সেসব কথা এখন বলে লাভ কি? যা হবার তাতো হয়েছেই, তাছাড়া এককথা, আওয়ামী লীগ বাদ, কথা শেষ।
সে যাই হোক, আবার মূল কথায় ফিরে যেতে চাই। দেখা গেলো সেবার ফকরুদ্দীন আহমেদ সাহেব হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতোন সকল প্রকারের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এদেশের বাতাসে এমন একটা যাদুময়ী সুবাতাস ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যে কারণেই এদেশের মানুষ তাকে ইহজীবনেও ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারবেন না। যা বলছি তার প্রতিটি কথা শতভাগ সত্যি আর সত্য নিরঞ্জন, রসগোল্লা অন্ধকারে খাইলেও মিঠাই লাগে, কেউ লুকিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে খেলেও ভেসে উঠে বলতে পারবেনা যে রসগোল্লা খেতে ঝালও লাগে।
অল্প সময়ের জন্য হলেও সেই সময়টুকু আমাদের বাঙালী জীবনের জন্য একটা স্বপ্নের অনুভুতি কিন্তু তারপর আবার শুরু হয় হারানোর আহাজারি আর ধ্বংসের পর ধ্বংস, মানুষের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই হয় না এদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের জীবনে। তবে এবার আবার অনেক বছর পরে মহামালিকের ইচ্ছায় আমাদের দেশে একটা ওই মতোনই সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আবারও এদেশের মানুষ দেখছেন যে সবকিছু একটা নিয়ম শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার মধ্যে আসা শুরু করে দিয়েছে এবং এর ষোলআনা কৃতিত্ব একমাত্র আমাদের মেধাবী ও সংগ্ৰামী নির্দলীয় ছাত্র সমাজের।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের শোষণ কালের ইতি টেনে আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করে দেশের সকল ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়ে দেশের পরিস্থিতি এখন আবার নিয়ন্ত্রণে আনছেন, এক্ষেত্রে তারা শোষক আওয়ামী লীগকে আজীবনের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত বলে ঘোষণা করলেও ওই আওয়ামী লীগের দোসর, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জমজ মতাদর্শের দল, যেনো একই পয়সার এপিঠওপিঠ সেই বিএনপির বিষয়ে এখনও তারা কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নি। ওদিকে প্রথমেই তাঁরা বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করেছেন। আর এই সুবাদে বিএনপির নেতা কর্মীরা সারাদেশে একটা আধিপত্য বিস্তার করে নির্বাচনে অংশ নিতে অপেক্ষায় আছেন।
গণমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে সারা দেশ থেকে আসা তথ্য মতে বিএনপি জামায়াতের লোকজনরা তাদের আগের চরিত্রে ফিরে এসেছে বহাল তবিয়তে, তারা আবারও ‘যার হোক, ‘ধর-মার-খা’ -এই আদর্শকে তাদের মধ্যে পুনরায় উজ্জীবিত করে আবারও পথে নেমে এসেছেন তারা সবাই। আর এসবের কারণেই সাধারণ মানুষের রাতদিন কাটে একটা মহা আতঙ্কের মধ্যে।
বর্তমানে এদেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা একটাই, আওয়ামী লীগকে তো জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে কিন্তু অবশেষে কি আবার ছাত্ররা বিএনপিকে সুযোগ-টুযোগ দিয়ে বসবে? আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি নির্বাচন করলে তো তারাই একচেটিয়া পাশ করে গদিতে বসবে, আর তাতে করে তো নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার এবারের নির্বাচনের মতো একপেশে, সর্বোপরি দেশে ফিরে আসবে বিএনপির সেই নাশকতা আমল, বরং তারচেয়েও বেশি খারাপ হবে কারণ এখন তাদের পেটে ১৭ বছরের ক্ষুধা এবং আগে তাদের অভিজ্ঞতার কমতি থাকলেও বর্তমানে তা ভরপুর, তাহলে সাধারণ মানুষের কি লাভ হবে?
এতো কষ্ট করে, এতো রক্ত ঝড়িয়ে, এতোগুলো তাজা প্রাণের বিনিময়ে ছাত্রসমাজ একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পেরে শুধু আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে রেখে নির্বাচন দিলে জনগণের কি লাভ হবে?
তবে এতো দুশ্চিন্তার মধ্যেও সাধারণ মানুষ ফকরুদ্দীন আহমেদ সাহেবের সেই কালের পুনরাবৃত্তি দেখে একদিকে মনে মনে খুব আনন্দেও আছেন, কেননা তারা স্বপ্ন দেখছেন, পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের নিরিহ ও নির্দলীয় ছাত্র সমাজ ভুল করবেন না। সবাই মনে করেন, এই ছাত্ররা আওয়ামী লীগ, বিএনপির নেতা কর্মীদের মতো নীতিহীন না, তাদের মস্তিষ্ক এদেশের চরিত্রহীন আমলাদের মতো দুর্নীতি নামক মারাত্মক মানসিক রোগে আক্রান্ত নয়। তারা অত্যন্ত মেধাবী ও মানবতাবাদী, তাদেরকে ডিবি হারুনের মতো মারাত্মক অফিসারও থামিয়ে রাখতে পারেন নাই, অতএব আমরা আশাকরি ইনশাআল্লাহ বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের কোনো অপশক্তি বা শয়তানী কুবুদ্ধিই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারবে না যার কারণে আবার এদেশের মানুষ অপরাধীদের হাতে জিম্মি হয়ে যায়।
সবাই মনে করেন এই ছাত্র সমাজ আগে থেকেই কোন দলীয় মতাদর্শে বিশ্বাসীরা নয়, তাই কুচক্রী মহল এদেশের মানুষের ঘামের পয়সায় বানানো লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবার পরেও তারা কোন কারণেই হাল ছাড়বেন না বরং আবার গড়ে তুলবেন এই মনোবল সম্পন্ন সন্তান তারা। বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো তারাও তাদের ভাইয়েদের রক্ত মারিয়ে, স্নিগ্ধ, আবু সাইদদের কচি তাজা জীবনের বিনিময়ে অর্জিত দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতাটিকে বিক্রি করবে, -এটা তো অনেক দূরের কথা, তাদের কাছ থেকে বাঙালী জাতির এই স্বাধীনতাকে কেউ কেড়েও নিতে পারবে না ততোক্ষণ পর্যন্ত, যতোক্ষণ এদেশের অন্তত একজন শিক্ষার্থীর শরীরে প্রাণ থাকবে।
এই মুহূর্তে বাঙালী জাতির ঘরে ঘরে মানুষ অনেক ভীত ও সন্ত্রস্ত চারিদিকের লুটপাট আর সন্ত্রাসী হামলার কথা জেনে, সেই সাথে দেশের রাজনীতিকদের পাঁয়তারা তো আছেই কিন্তু তবুও জনগণ বিশ্বাস করেন এবং মনে মনে অপেক্ষায় আছেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই সংগ্রামের ফল হিসেবে আমাদের জীবনে এবার মুক্তি আনবেই ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষ ফকরুদ্দীন আহমেদের ছায়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে দেখতে পেয়ে আবারও আশায় বুক বেঁধেছে…
do good don’t be good,
সাফকথা