নিজস্ব প্রতিবেদন : গোপালগঞ্জে উত্তেজিত লোকজন সেনাবাহিনীর গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় সেনা সদস্য, সংবাদকর্মীসহ স্থানীয় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
সেনাবাহিনী এসে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা সেনাবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করেন। তখন স্থানীয় জনতা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এতে চার সেনা সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ ১৫ জন আহত হন
গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান বলেন, “৩-৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে তারা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
প্রত্যক্ষদর্শী গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা গুলি বর্ষণ করেন। এতে শিশুসহ দুজন বিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মারা যাননি। সন্ধ্যার দিকে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।”