ফেইসবুক ভয়েজ : একটি দেশ স্বাধীন হলে প্রথমত একটা নাম পায়। একটা নতুন জাতীয় লোগো পায়, এছাড়াও নতুন জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয়, ফুল, ফল, প্রাণী, মাছ, মুদ্রা ইত্যাদি লাভ করে।
আমরা আশাকরি আমাদেরও এইসব কিছু অচিরেই পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এক্ষেত্রে জাতিসংঘের বরাত দিয়ে সবার আগে দেশের নামটা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত সবকিছুই মুখের কথার কথা হয়েই থেকে যায়।
আর এসব কিছুর পাশাপাশি, আমাদের দেশের রাস্তাঘাট, বাজার ব্যবস্থা ইত্যাদি যেমন পরিস্কার করার মহত উদ্যোগ কার্যকরী হতে দেখা যাচ্ছে ঠিক তেমনি এদেশ থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে এইসব নোংরামি, দালালী, ছোটলোকি বন্ধ করাটা অতি জরুরী।
সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আমাদের সকলের এই জানা কথাটা বুঝতে হবে, এদেশে রাজনীতিকের পরিচয় নিয়ে ছবির এইসব দালালরা আজীবন বাঙ্গালীদের যেসব উস্কানি মূলক কথাবার্তা বলে থাকেন তাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালী বাঙালী দলে দলে বিভক্ত হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় একে অপরের জানের দুশমন, সৃষ্টি হয় খুনা-খুনির পরিস্থিতি। আর যখন আমজনতা তাদের উস্কানিতে মাঠে নেমে একে অন্যকে ধ্বংসের যুদ্ধ করেন তখন এরা ঘরে বসে তা টিভিতে দেখেন আর কড়া করে ভাজা ইলিশ মাছ চিবাতে চিবাতে গ্লাসের স্কচ হুইস্কিতে বরফের কুচি দিতে দিতে মুচকি মুচকি হাসেন! এসব কিছুর ফাঁকে ফাঁকে এরা আবার বিভিন্ন দোকানদার মিডিয়ার টকশো নামক ফালতু কথাকাটাকাটিতে যোগ দিয়ে এমন এমন কথা বলে থাকেন যা শুনলে মানুষের ভিতরের মানুষটা আপনা থেকেই জানোয়ার হয়ে যায়! তাই এসব থেকে আমরা আজীবনের জন্য মুক্তি চাই, আমরা আর পারি না, আমরা বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, রাজনীতিক পরিচয় দানকারী এইসব রাক্ষস-খোক্ষসদের আমরা আর দেখতে চাই না।
এদেশ ও জাতিকে স্বাধীন করতে হলে গত ৩৪ বছর ধরে লাগাতার রাজনীতির নামে যে প্রহসন চলছে তা বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে, নয়তো এইসব মানুষ নামের বিষবৃক্ষ আবার বৃদ্ধি পাবে যা এখনই শুরু হয়ে গেছে এবং একসময় আবার তারা এই স্বাধীনতাকেও নস্যাত করে আরেকটা স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা করবে। এরা আবার এবং বার বার ‘খেলা হবে খেলা হবে’ বলে বলে মানুষ মারার বানিজ্য চালিয়েই যাবেন। তাই সাধু সাবধান।
সবার প্রশ্নঃ এদেশ যদি শিক্ষার্থীই স্বাধীন করেন তবে এহেনো মহিলারা বিভিন্ন চ্যানেলে চ্যালেনে গিয়ে জাতির উদ্দেশে এইসব নোংরা নোংরা কথা কি করে বলেন? বস্তির অশিক্ষিত মহিলাদের মতন হাত-পা নেড়ে নেড়ে অকথ্য ভাষায় যেভাবে কথা বলেন তা কোন ভদ্রলোকের পক্ষে কোনো ভাবেই শোনা সম্ভব নয়। এই বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতা নামক অমানুষেরা আজীবন এসব করে বাঙালী জাতির জীবনটাকে অনেক ভুগিয়েছে, এবার অবসান হোক।
আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো এইসব কালসাপ প্রকৃতির জাতির কীটপতঙ্গ থেকে সাবধান থাকুন। ওরা চায় আবার বিএনপির মারাত্মক আমল ফিরে আসুক, আবার আওয়ামী লীগ এসে রাজনীতির নামে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু করে। ওরা চায় আবার তারেক জিয়ার হাওয়া ভবন চালু হোক, আবার ওবাইদুল কাদেরের মতো পিচাশ মানসিকতারা দেশের মানুষের হত্যা রচনায় চিবিয়ে চিবিয়ে হুমকি ধামকি দিক, আবার এদেশের রিক্সাওয়ালাও গভীর চিন্তায় পরুক তাদের সারা দিনের কামাই ঘরে নিয়ে আসতে পারবেন না বিএনপির গুন্ডারা প্রকাশ্যে কেড়ে নিয়ে যাবেন যেনো তাদের আইনী অধিকার, -এমনটাই বিএনপি আওয়ামীলীগের ইতিহাস!
উদাহরণ স্বরূপ, একটা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর দু’হাতেই পচন ধরেছে দেখার পরেও যারা একটা কেটে আরেকটা রেখে দেয় তারা মানসিক প্রতিবন্ধী, তারা মৃত্যু-প্রেমিক। এছাড়াও খোলা মনের দেশপ্রেমিক মানুষ হওয়া ছাড়া কিছু সময়ের জন্য নেতার খাতায় নাম লেখানো যায়, কিছুদিনের জন্য তথাকথিত হিরো সাজা যায় কিন্তু ইতিহাস হওয়া যায় না, ইতিহাস নিজেই রচিত হয় কারোর পক্ষে রচনা সম্ভব নয়, ইতিহাস হতে হলে ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে মানুষের মতো মানুষ হতে হয়।
আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই, তাই চলুন সবাই সবার অমানবিক চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করি, চলুন সবাই মিলে বদলে যাই 🌹
Do good don’t be good,
সাফকথা