নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ মাহবুব আলম শেখের সাক্ষরে পুলিশ বিভাগে যে রদবদল হোলো এবং তার পর বাংলাদেশ পুলিশ উপর দিয়ে যা বয়ে গেলো তা পিলখানার সেই ঘটনার সাথে অনেকেই তুলনা করেন।
এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতকে কেন্দ্র করে যাদের শান্তি হবার কথা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ আন্দোলন বসে আনতে যা যা করা হয়েছে তা মারাত্মক।
প্রতিটি পুলিশকে ডিউটিতে যোগ দান করার প্রশ্নেও কথা উঠে। যারা নেই তাদের জায়গায় ব্যারাক থেকে নিয়ে নতুন জয়েন্ট করালেও কি যারা নেই তাদের সংখ্যা ও পরিচয় ধামাচাপা দেয়া যাবে? কি ঘটিয়ে কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ বাহিনীকে কর্মে যোগদান করা হয়েছে?
সারাদেশের মানুষের কাছে এই স্বাধীনতার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তো নেতা নয়, এমনকি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের দেশে তারা নিজেদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নেতা বলে দাবি করেন নি।
তাছাড়া তারা শিক্ষার্থী। সরেজমিনে দুই ডঃ এই ঘটনার একমাত্র বৈধ বাদী।
অভিভাবকরা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের ডঃ ইউনুসকে প্রধান বানানোর জন্য রাজপথে ডঃ আসিফ নজরুল সাহেবের সাথে যেতে দেই নি।
একজন শেখ হাসিনার একটি কথা, যা মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশের ১৬ কোটি সাধারণ মানুষের মধ্যে এই দুই গোষ্ঠীর সর্বোমোট ৩ লাখের মতো রয়েছেধ। বাকি ৯৯% এরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশীরা আমজনতা, যারা কোনো ভাবেই নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকারের প্রজন্ম ভাবেন না, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের নিজ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে সন্মান করেন এবং তারা কেউ কোন ভাবেই তাদেরকে রাজাকারের প্রজন্মতো ভাবতেই রাজি নয়, আর যেহেতু ৯৯% জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্মই নয় তবে কে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে রাজাকারের সন্তান এমন কোন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বললেই আমজনতার সন্তানদের গায়ে কেনো লাগবে? এখানে কি ভুলবোঝাবুঝি রয়েছে? ভুল শিক্ষা বা বুঝটা কে দিলেন? আমাদের শিক্ষাদের উপর আমাদের আস্থা আছে, তবে ঢাবির কিছু শিক্ষার্থীরা, তোমাদের নেতা কে ছিলো? তারপর …
আমি কে, তুমি কে রাজাকার রাজাকার, মিছিলে ও শ্নোগানে মধ্যরাতে বের হলেন!
যেসব শিক্ষার্থীরা বের হয়েছিলেন তাদেরকে কে নেতৃত্ব দিয়েছিলো? আমাদের এই সমন্বয়করাই!? প্রশ্ন এসেছে।
তাদের কাছে প্রশ্ন করা যেতে পারে? শেখ হাসিনা কথাটায় তাদের কেনো মনে হয়েছে যে তারা রাজাকারের সন্তান? তারা তো আম জনতার সন্তান, তাহলে তাদের কি? তাদের সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন কোটার বিষয়ে প্রশ্ন, যার উত্তর কিছুদিন পরে আদালত দিবেন বলে মহামান্য আদালত আগেই তারিখ দিয়ে রেখেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতা নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণায় নিয়োজিত একজন বিশিষ্টজন বলেন, বাংলাদেশের সহজ-সরল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুলত: ডঃ আসিফ নজরুলকেই পাওয়া গেছে সরেজমিনে।
একটি কথাকে কেন্দ্র করে ডঃ ইউনুস বাংলাদেশর মসদনে বসতে যাচ্ছেন, একদিনের জন্য হলেও, এতো রক্ত, লুটপাট ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে আপাতত এটুকুই করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষক তার ছাত্রদের নিয়ে, এর বাইরে যা ঘটেছে বিএনপি জামায়াতের ফিরে আসা। আর এই ফিরে আসতে গিয়ে এখন চলছে বিএনপি জামায়াতের আগের রাজনৈতিক আচরণ। কিন্তু বিষয়টা মারাত্মক, দেশের সাধারণ মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে কেউ ভুল পথে যাচ্ছে কিনা এই মুহূর্তে সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন!