নিজস্ব প্রতিবেদন : টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জেলার আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, মেয়র, চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি এবং দলের যেসব নেতা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সোমবার রাতের মধ্যে পরিবারসহ টাঙ্গাইল ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর থানার সামনে দিয়ে বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। এছাড়াও ধনবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সমন্বয়করা। তবে তারা নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বক্তারা। তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিজয় মিছিল করারও ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান কবির, কামরুল ইসলাম, আল আমিন, আকরাম হোসেন, নবাব আলী প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালিয়েছে। তারা দোষী পুলিশদের বিচারের দাবি জানান এবং দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাদেরও বিচারের দাবি তোলেন।
ওদিকে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার দাবি প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর রাতে জানান, পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায় নাই।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, “আমাদের সাথে জুলুম করা হচ্ছে। দখলদারিত্ব বজায় রাখতে এবং গুলিতে তিনজনের নিহত হবার ঘটনার কথা যে বলছে, কারা মারা গেছে প্রমাণ দেখাক!”