যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাকিকুল ইসলাম খোকন : বাংলাদেশে চলমান জামায়াত-শিবির-বিএনপি’র সন্ত্রাস বন্ধের জন্য যথাযথ সহযোগিতার আবেদন সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সমীপে গত সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। (খবর বাপসনিউজ)
জামাত-বিএনপি’র সন্ত্রাস ও বর্বরতা রুখে দিতে গত ২৯ শে জুলাই নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছে কয়েকশত বাঙ্গালী।
গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিতব্য উল্লেখিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে নিউইয়র্ক, নিউজারসী, কানেকটিকাট, মায়ামী সহ অন্যান্য অঙ্গ রাজ্য থেকে আসা যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগসসহ অন্যান্য সহযোগী অঙ্গ সংগঠন তথা যুক্তরাষ্ট্র মহিলা লীগ, যুবলীগ, মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত সকল সংগঠন ও আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি সমুহ
৪৭ নং স্ট্রিট এন্ড ফাস্ট এ্যভেনিউ, ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক এসে জমায়েত হয়।
বাংলাদেশে জামায়াত-বিএনপি-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে ডাকা এ সমাবেশস্থলে মহাসচিবের পক্ষ থেকে পদস্থ কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি এসে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড. প্রদীপ করের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্ৰহন করেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা হাজী সফিকুল আলম, উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, উপদেষ্টা রমেশ নাথ, সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার, আওয়ামী লীগনেতা আসাফ মাসুক সহ নেতৃস্থানীয়রা।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর মহাসচিবের প্রতিনিধি ও পদস্থ কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি জানান, বাংলাদেশের ব্যাপারে জাতিসংঘের গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
আমরা সকলে সবসময় বাংলাদেশের সাথে নানা ইস্যুতে কাজ করছি। সে আলোকে এই স্মারকলিপির ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলা হবে।
উল্লেখিত স্মারকলিপিতে বিভিন্ন সংগঠনের মোট ৬২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবি সমূহ মেনে নেয়ার পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণের সমন্বয়কারিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে সমস্ত কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বলে এ সম্মেলনের জানানো হয়। এমতাবস্থায় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্রকারী-জঙ্গিরা নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থীগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
শিক্ষার্থীদের নাম ভাঙিয়ে যারা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি উত্থাপণ করে চলেছে সেই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির-রাজাকাররা, যারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এবং তারা আজও দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার দায়ে অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয় এই কর্মসূচি থেকে।
এ সমাবেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফরাসত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল খান আনসারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ বাতেন, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আবুল হাসিব মামুন, আব্দুর রহিম বাদশা, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গির, যুব বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, আওয়ামী লীগনেতা দেলওয়ার হোসেন মোল্লা। এছাড়াও কানেকটিকাট টি. মোল্লা, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ূন কবির চেীধুরী, সিরাজউদ্দিন সোহাগ, সাখাওয়াত আলী, আকতার হোসেন, শেখ রাসেল সংসদের সভাপতি গোলাম খান লিপটন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, সেক্রেটারি ফরিদা ইয়াসমিন, যুগ্ম সম্পাদক রুমানা আক্তার, বিউটি, মিনা ইসলাম। আরোও বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনামঞ্চের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুল হক খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কিবরিয়া জামান, সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া, সহ-সভাপতি শেখ আতিক, সাধারন সম্পাদক শাহীন আজমল, ছাত্রলীগের নেতা শহিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।