🔴 জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া এই বক্তব্যের সাথে কোনো প্রকার দ্বিমত পোষণ না করে অধিকাংশ জনমনেই প্রশ্নের উদয় হয়েছে, “আলোতে থাকলে রাজনীতিক আর অন্ধকারে গেলেই রাক্ষস-খোক্ষস, ওরা আসলে কারা যারা বাঙ্গালীদের সাথে এই সর্বনাশা খেলা খেলছে?”
🔴 একথা অনস্বীকার্য যে আসল চরিত্র মুখোশে ঢেকে রেখে দুর্বৃত্তরা বর্তমান সরকারের আমলে এদেশে যেসকল উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছু ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেপরে মাঠে নেমেছে কিন্তু দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ জানতে চায়, “এদেশের হাজার হাজার কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর পশুর মত ঝাপিয়ে পরে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে কেনো? এটা ৭১ সালের বাঙালী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি নয়তো!?”
🔴 যেহেতু এদেশের পুলিশ কিংবা যেকোনো বাহিনীর সদস্যরাও বাঙালীই এবং তাদের সাথে স্বজাতির সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সাথে যেহেতু কোনো প্রকারের কোনো দ্বন্দ্ব অথবা স্বার্থের যুদ্ধ থাকার প্রশ্নই আসে না বরং রাজপথে যারা তারাও তাদেরই সন্তান অথবা কেউ না কেউ, তাহলে কার নির্দেশে তাদের মধ্যে থেকে কারা বাঙ্গালীদের ঘামের পয়সা দিয়ে কিনে দেয়া পোশাক পরে, বাঙ্গালীদের কিনে দেয়া অস্ত্র দিয়ে বাঙ্গালীদের উপরেই গুলি চালাচ্ছে?”
🔴 এছাড়াও দেশের বর্তমান ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির জন্য সাধারণ জনগণ যতোটা না প্রধানমন্ত্রীকে দ্বায়ী বলে মনে করেন তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশী অপরাধী ও দ্বায়ী বলে মনে করেন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে চলা দাপুটে আওয়ামী নেতাদেরকে এবং দেশের প্রবীণদের অনেকেই শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের রাক্ষুসে নেতাদের কবলে পরেছেন। তাঁদের মতে, আবারও রাজনীতিকের মুখোশ পরা চরিত্রহীন দালালরা আরেকটা ১৫ই আগষ্টের পথেই হেঁটে চলেছেন।
🔴 সেবারও যে বা যারা দেশের সবকিছু লুটেপুটে খেয়ে পেট ভরে যাবার পরে চক্রান্ত করে দেশের মানুষের উপর যেমন নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, অতঃপর সবকিছু বঙ্গবন্ধুর কাঁধে চাপিয়ে দিতে ১৫ই আগষ্ট খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে যা ঘটিয়ে যেভাবে নিজেরা উধাও হয়ে গিয়েছেন এবারও আবার তাদেরই দলের লোকেরাই বাংলাদেশের টাকা লুটেপুটে বিদেশে পাচার করে ঠিক সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলেছেন বলে অনেকেই মনে করেন।
🔴 একাধিক তৃণমূল পর্যায়ের বঞ্চিত আওয়ামী রাজনীতিকরা মনে করেন, দেশে যারা আওয়ামী ব্যানারে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন তারা কেউই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক নয়, অধিকাংশই হাইব্রিড আওয়ামী লীগ আর হাতেগোনা ক’জন শীর্ষ স্থানীয় আওয়ামী দালাল চক্রের নেতারা ছাড়া অন্য কেউ ফ্রন্ট লাইনে আছেন বলে কোনো রেকর্ড নাই।
🔴 একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী নেতা বলেন, “মানছি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যা কিন্তু তিনি জীবনে কোনদিন ডাকসু’র নেতা ছিলেন না তবে বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের ছিলেন। সেই মর্মে দেশের প্রধানমন্ত্রী না হলেও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তাঁর রাজনৈতিক বন্ধু শক্র, সৈন্য সামন্ত বেশী থাকাই স্বাভাবিক এবং কম আছে বলে কেউ যদি ভেবে থাকেন তবে সে বোকার স্বর্গে বাস করেন।”
🔴 বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে প্রায় সকলেই মনে করেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চলেছে আওয়ামী লীগ। আবারও আওয়ামী হায়নারা যারা দেশের সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে শেখ হাসিনাকে গদিতে বসিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন তাদের ৭৫-এর মতো উধাও হয়ে যাবার সময় হয়েছে। এসব ক্ষমতাধরদের পুর্ব প্রজন্ম যেমন সকল পাপের বোঝা বঙ্গবন্ধুর কাঁধে চাপিয়ে দেশে একটা মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল যে ১৫ই আগষ্টের পর এদেশে ‘ইন্না লিল্লাহ…’ পড়ার মতোও কোনো লোক ছিলো না, আবারও দেশের পরিস্থিতি ঠিক তেমনই সৃষ্টি করা হয়েছে। আবারও আওয়ামী ক্ষমতাধরেরা দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে তাতে করে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নাম শুনলেই ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এখন শুধু বাকি আরেকবার আরেকটি ১৫ই আগষ্টের কার্যক্রম চালানো, যা সংঘটিত হবার পরে সকল দোষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরেই বর্তাবে এবং আবারো আওয়ামী হায়েনারা দেশের মানুষের সাথে বেঈমানি করে অন্ধকারে হারিয়ে যাবেন।
🔴 নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ত্যাগী ও প্রবীণ আওয়ামী নেতা সারা দেশের সকল মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে করজোড়ে মিনতি করে একই সুরে বলেন, “প্রিয় বাঙালী ভাই-বোনেরা যা হবার তা তো হবেই তবে এবারও আবার যেনো দেশের শক্রদের সাথে তলে তলে আঁতাত করে আওয়ামী রাক্ষস খোক্ষসরা অঘটন ঘটিয়ে হারিয়ে যেতে না পারে তার জন্য সারা দেশের ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন। আপনাদের মধ্যে যারা প্রবীণ তাদের সাথে নবীনরা আলাপ আলোচনা করে আগে জেনেবুঝে নিন যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আর ১৯৭৫ সালের পরিস্থিতি, রাজনীতি ও রাজনীতিকরা একই সুতায় বাঁধা কিনা? তারপর চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিন। তবে এবারও যেনো ওরা বাঙালীর সম্পদ লুটেপুটে নিয়ে অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করে দিয়ে, এদেশের ছেলেদের তাজা রক্ত খেয়ে হারিয়ে যেতে না পারে সেই দিকে দৃষ্টিপাত করুন। সারা দেশে যারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেষ তারা আসলেই বাঙালী কিনা তার দিকেও কড়া নজর রাখুন, কেননা যারা দেশের জন্য জীবন দিয়ে যাচ্ছেন তারা যে আমাদের বাঙালী সন্তানরাই, একথা বলাই বাহুল্য। তাই সকলের কাছে আকুল আবেদন, নিজেদের নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে পথ চলুন আর আবারও বলি, কোনো ভাবেই যেনো বাঙালী যুবাদের হত্যা করে, বুকের তাজা রক্ত ঝড়িয়ে আবারও যেনো পালিয়ে যেতে না পারে তথা আবারও পালিয়ে বাঁচার পথ যেনো খোলা না থাকে আপনারা সেদিকে খেয়াল রাখুন, ইনশাআল্লাহ একদিন শান্তি ফিরে আসবেই…”