নিজস্ব প্রতিনিধি : কসবায় শিশু মিয়ার ছেলে আরিফ (২০) কর্তৃক জালাল মিয়ার মেয়ে মরিয়ম (৫) ধর্ষিতা।
কসবা থানার সিমরাইল, সাতপাড়া গ্ৰামের এলাকাবাসী জানান, পাঁচ বছরের মরিয়মকে (শিশু) ধর্ষণ করেছে বিশ বছরের আরিফ (যুবক), এঘটনায় কসবা থানায় বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা শিশুটির মা শুকতার। ওদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একলোক একটি ছোট্ট চিরকুটে লিখেছেন, “তথ্য হিসেবে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারটি মেয়ের মায়ের, তিনিই ধর্ষন মামলার হতভাগী বাদীনী, দেশে থানা পুলিশ রাখা হয়েছে আসলে কি কারণে এটা ভাবার সময় হয়েছে”।
এরপর সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া তথ্য মতে, উক্ত ধর্ষণ মামলাটি যদিও একটি শিশু ও নারী নির্যাতনের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার যোগ্য মারাত্মক ও পাশবিক ধর্ষণ অপরাধ মামলাও বটে, তবে অজানা রহস্যে মামলাটি কসবা থানাতে প্রকৃয়াধীন আছে, ধীর লয়ে।
জানতে চাইলে ওসি রাজু আহমেদ এ মামলাটির বিষয়ে নিজে স্বশরীরে তদন্ত করে এসেছেন বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের।
সুত্র জানায়, “এটার পেছনেও একটা মহল চাইতেছে থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে আগের মতোই ধামাচাপা দিতে, ‘বোঝেন তো এখানে টাকাই সব, কসবা থানা এলাকা মানেই মাদক আর চোরাচালানের রুট অতএব কালো টাকার খনি, এই অপরাধ জোনে চাকুরিতে নিয়োজিত পুলিশ ও প্রশাসনের প্রায় সব লোকজনের সাথেই টাকা ছাড়া কথাই চলে না বললে ভুল বলা হবে না’।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, কসবা থানাধীন সাতপাড়া গ্ৰামের পাঁচ বছরের ধর্ষিতা শিশুটার পরিবারটি অত্যন্ত নিরিহ, গবীব টাইপের বলে এ মামলাটিরও অগ্ৰগতির করুন পরিস্থিতি বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের দল সরেজমিনে দেখে এসে জানায়, কোন একটা রহস্যজনক কারণে ধর্ষিতার পরিবারটি কারো কাছে মুখ খুলতেই সাহস পাচ্ছে না, ধর্ষক আরিফ পরিবারের পেছনে রয়েছে দাপুটে ও কালো টাকার পাহাড় পর্বতের একাধিক মালিক পক্ষ যারা আজীবন থানার মেইনটেইন করে চলে।
এছাড়াও অনুসন্ধান চলা কালে সরেজমিনে দেখা যায়, সবার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে একটা অদৃশ্য ভৌতিক অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে দিনের পর রাত, রাতের পরে দিন অতিবাহিত করে চলেছেন সাতপাড়া গ্ৰামের ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা। তারা কাউকে কিছু বলেন না, চোখেমুখে একটা বোবাকষ্ট নিয়ে ধর্ষিতা শিশু কন্যাটিকে বুকে নিয়ে অসহায় মা নিরজনে শুধু কাঁদেন।
এই ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ওসি মোঃ রাজু আহমেদ অত্যন্ত কেতাবি স্বরে জানান, “এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষজন প্রতিনিয়তই আমার থানা পুলিশের কাছে আসা যাওয়া করছে, এটা স্বাভাবিক, আমরা মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেবে পরিচালনা করছি।”
ওদিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর পাঁচ বছরের শিশুকে বিশ বছরের যুবকের এই ধর্ষণ মামলাটির বয়সও দিনের পর দিন বাড়তে থাকলেও এর তেমন কোন অগ্ৰগতির তথ্য কোনো পক্ষের কাছ থেকে না পাওয়ার কারণে সাংবাদিকদের দল আজ কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদের কাছে পুনরায় ফোন দিয়ে দুই মিনিট সময় নিয়ে তিনটি প্রশ্ন রাখেন:
১) সাতপাড়া গ্ৰামে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলাটি এই মুহূর্তে কোথায় ও কোন পর্যায়ে আছে?
২) মামলাটি কি দ্রুত ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছে কি না?
৩) ধর্ষিতা পাঁচ বছরের শিশু কন্যাটির অসহায়, ভীত সন্ত্রস্ত পরিবারটির পক্ষে ন্যায্য বিচার সুনিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ, -এই মর্মে কতোটা আশাবাদী তিনি ও তার কসবা থানা পুলিশ?
কসবা থানা এলাকার সাতপাড়া গ্ৰামের পাঁচ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিতা হবার সপ্তাহখানেক পরে সর্বশান্ত হয়ে পরা হতদরিদ্র পরিবারটির বর্তমান পরিস্থিতি, মামলাটির বর্তমান অবস্থাসহ উপরোক্ত তিনটি প্রশ্নের উত্তরে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদের বক্তব্যসহ বিস্তারিত প্রতিবেদনটি পত্রিকার পাতায় প্রকাশের পথে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেদন প্রকাশকারী প্রতিবেদক।