ফেসবুক ভয়েজ : আজ ৬ জুলাই, ২০২৪, গত ২০২১ সালের আগস্টে মতিঝিল থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন মোল্লাকে ডিএমপি শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পদে বদলি করে আনার পরেও এই মারাত্মক নোংরা ব্যাধিটি থানা পুলিশের মধ্যে তেমন ভাবে ছিলো না বলে এলাকাবাসীর দাবি। তাদের মতে, অতঃপর মনির মোল্লাকে বদলি করে গত ২০২৩ সালের মে মাসে খিলগাঁও থানা থেকে মো. ফারুকুল আলমকে এই থানার ওসির দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় মানসিক রোগাক্রান্ত এইপ্রকারের পুলিশী রাহাজানি!
এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানা পুলিশ ধরে নিয়ে যায় রিকভারি ছাড়া কিন্তু থানা থেকে হেরোইন নয়তো প্রচুর পরিমাণে ইয়াবার রিকভারি দেখিয়ে মামলা দিয়ে চালান করে দেয়!
তাদের প্রশ্ন, এতো হেরোইন বা ইয়াবা ওসি সাহেবরা পান কোথা থেকে?
সরেজমিনে ডজনখানেক মামলার আসামিদের পরিবারের সদস্য ও ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাহজাহানপুর থানায় পুলিশ হিন্দি সিনেমার গাব্বার সিং -এর মতো আচরণ করে বেড়ায়। তথ্য মতে, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র অথচ এই এলাকার লোকজন পুলিশের কাছে জিম্মি। তারা ধরার পরে ডিমান্ড করে যা পূরণ না হলে ইচ্ছামতো ইয়াবা বা হেরোইনের রিকভারি দেখিয়ে মামলা দিয়ে চালান করে দেয়।
ওদিকে এবিষয়ে কথা বললে থানা পুলিশ অত্যন্ত নাখোশ! তাদের প্রশ্ন, তাহলে কি মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের ধরার পরে ছেড়ে দেয়া উচিৎ?
এমতাবস্থায়, পুলিশের এই স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণেই প্রশ্ন আসে, তাই বলে কি পুলিশের এহেনো রিকভারি বানিয়ে মামলা দায়ের করাকে কি জাতির জন্য একটি মহান কাজ করা হয়েছে বলে গণ্য করা উচিৎ?
ওদিকে ২৩ সালের মে মাসে শাহজাহানপুর থানা থেকে ওসি মনির হোসেন মোল্লাকে বদলি করার পর থেকে গত এক বছরে এই থানায় নতুন নতুন ওসি আসেন আর যান! মনির মোল্লার পরে ফারুকুল আলম, তাকে বদলি করে মো. হাফিজুর রহমান, তাকেও বদলি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহজাহানপুর থানার (বর্তমান) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে সুজিত কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেয়া হয় কিন্তু ‘রিকভারি বানিয়ে মামলা দায়ের করার মতো দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধিগ্ৰস্ত পুলিশীর হাত থেকে এলাকাবাসীর মুক্তি মিলে নাই!
উল্লেখ্য, ডিএমপি শাহজাহানপুর থানা এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১১ ও ১২ নং এই ওয়ার্ড দ্বয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং এই ওয়ার্ড দু’টিতে দুজন কাউন্সিলরও রয়েছেন যারা যথেষ্ট যোগ্য, বিশেষ করে ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র, যিনি বাংলাদেশে রাজনীতিক হিসেবে একজন ‘মডেল পুরুষ’ বলে সকলের কাছে সমাদ্রিত, তবুও এখানে পুলিশের মনমানি চলছেই! যেনো ঐতিহ্যবাহী শাহজাহানপুর এলাকাটি বর্তমানে মুরুব্বি ছাড়া একটা আউট’ল এরিয়া!
এলাকাবাসী এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়, তারা বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। তাদের দাবি, “মামলা হবে কিন্তু যেভাবে যা নিয়ে ধরা পরে তাই দিয়ে। পুলিশের ডিমান্ড পূরণ করতে না পারলে বা না করলেই যে তারা ইচ্ছা মতো রিকভারি দেখিয়ে মামলা দায়ের করে চালান করে দেবে এটা কোনো কথা হতে পারে না। এরজন্য নিশ্চয়ই আমরা আমাদের ঘামের পয়সা দিয়ে পুলিশের পোশাক কিনে দেই না, তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে পালন করি না।”