FB IMG 1719644501841

বিশেষ প্রতিবেদন : ফাঁকা পরে আছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হাকিমপুরী জর্দার প্রতিষ্ঠাতা কাউছ মিয়ার ৩০টিরও বেশি ভবন! কি এমন কারণ থাকতে পারে যে তার কোটি কোটি টাকা মূল্যের ওই বাড়িগুলো আজীবন জনমানবশূন্য হয়ে আছে!?

চলতি মাসের ২৫ তারিখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশের সেরা করদাতা। ওদিকে শুধুমাত্র ঢাকা শহরের‌ বিভিন্ন জায়গাতেই হাকিমপুরী জর্দার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এই কাউছ মিয়ার ৩০টিরও বেশি ভবন ফাঁকা পরে আছে। কেনো কি করণে অব্যবহৃত অবস্থায় এসব ভবনগুলোতে কোন লোকজন বসবাস করেন না? এই রহস্যজনক প্রশ্নের উত্তর কেউ জানেন না! কেবলমাত্র ঢাকাবাসীরাই জানেন যে লোকে লোকারণ্য, ঘিঞ্জি বাড়িঘর আর কোলাহলে পরিপূর্ণ এই শহরে একটা মনের মতো বাসাবাড়ি খুঁজে পাওয়া যে কতোটা মুশকিল, অথচ রোজকার যাওয়া-আসার পথে প্রাণহীন নিস্তব্ধয় বিশাল বিশাল অট্টালিকা পরে থাকতে দেখা যায় তবে তা নিয়ে লোকের মনে সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক।

প্রথমেই ঢাকার ইস্কাটনে অবস্থিত প্রকাণ্ড যে বাড়িটির কথা বলছি তা বেশ দূর থেকে দেখলেই যেকোনো লোকের নজর কাড়বে কিন্তু কাছে গেলে মিলবে না কোনো সাড়াশব্দ! শুনশান নীরবতার চাদরে আবৃত ভবনটি যেন কোনো রহস্য গল্পের লোকেশন। এদিকে বিশালাকার এই অট্টালিকা সম্পর্কে কারোর যদি কিছু জানার আগ্রহ থাকে তবে তার হতাশ না হয়ে কোনো উপায় থাকে না। কেননা কোথাও কেউ নেই, বাইরে থেকে অধিকাংশ সময়‌ই তালাবদ্ধ অবস্থায় পরে থাকা এই বাড়িটির বাইরের মতো ভিতরেও কেউ থাকে না।

জানা যায় স্থানীয়রা বাড়িটিকে ‘ভূতুড়ে বাড়ি’ বলে ডেকে থাকেন। ভাবতেই অবাক লাগে, ব্যস্ত কোলাহলে মুখরিত এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে এহেনো একটা বিশাল স্থাপনা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে অদ্ভুত ভাবে খালি পরে আছে এবং তার থেকেও কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় হলো, বাড়িটির মালিক একজন ব্যবসায়ী ও দেশের শ্রেষ্ঠ করদাতা। তিনি টানা ১৪ বছর ধরে দেশের সেরা করদাতাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন।

এছাড়াও তথ্য মতে কাউছ মিয়ার ইস্কাটনের এই বাড়িটি ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তার আরো প্রায় ৩০টির অধিক ভবন রয়েছে যেগুলোও এমন‌ই ফাঁকা অবস্থায় পরে থাকে। তিনি ২০০৮ সাল থেকে সেরা করদাতাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন, এছাড়াও তিনি সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে ১৮টি রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারও লাভ করেছেন।

সামান্য পান খাওয়ার জর্দা বানানোর ব্যবসা থেকে শুরু করে আজ দেশের এক নম্বরের করদাতার স্থান লাভ করা কাউছ মিয়ার ফাঁকা পরে থাকা ভবনগুলোতে রয়েছে এছাড়াও একটি বিশেষ বিষয় যা চোখে পরার মতো, ভবনগুলোর কোনোটিতেই নামফলক, চিহ্ন, এমনকি বাড়ির হোল্ডিং নম্বর বা ঠিকানা পর্যন্ত লেখা নেই। কাউস মিয়ার এমন রহস্যজনক ৩০টি ভবনের মধ্যে একটির অবস্থান ইস্কাটন গার্ডেন রোডের পাঁচবাড়ির এই বাড়িটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা বাড়িটিকে ‘ভুতের বাড়ি’ নামেই চিনে। স্থানীয়দের মতে, যতদূর পর্যন্ত মনে করতে পারেন, বাড়িটি নির্মিত হবার পর থেকেই তারা ফাঁকাই দেখে আসছেন।

অনুসন্ধানে মিলেছে, উক্ত ভবনটিতে দায়িত্বরত যেসব কেয়ারটেকাররা আছেন তাদের মধ্যে নাঈম একজন। নাঈমের সাথে কথা বললে জানান, কনস্ট্রাকশনের কিছু কাজ এখনও বাকি থাকায় ভবনটি খালি পরে আছে। মালিকপক্ষ অসম্পূর্ণ অবস্থায় পরে থাকা বাড়িটা কাউকে লিজ বা ভাড়া দিতেও চান না।

এছাড়াও কেয়ারটেকার নাইম জানান, ভবন মালিকের পক্ষ থেকে তদারককারীরা নিয়মিত ভাবেই খোঁজ নিয়ে যান। তিনটি ভবনকে সংযুক্ত করে বৃহদাকার এই স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে, যার প্রতিটি ভবনে পাঁচটি করে ফ্লোরে চারটি করে ইউনিট আছে এবং একদম নিচে গ্রাউন্ড ফ্লোরটি পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ আছে। “আমরা শিফট অনুযায়ী ভবনের দেখাশোনা করি”, নাঈম বলেন।

কাউছ মিয়ার এই রহস্যজনক ভবনটির পাশেই রয়েছে মাহতাব রানা নামক এক ব্যক্তির একটি চায়ের দোকান। দোকানদার রানা প্রায় ১১ বছর ধরে এই এলাকায় আছেন। মাহতাব রানা সাংবাদিকদের জানান, “আমি এখানে আসার পর থেকে ভবনটিতে কাউকে কোনোদিন দেখিনি। এমনকি এখানে কোনো কাজও চলে না।”

শুধু তাই নয়, অনুসন্ধানে জানা যায় কেউ যদি এই ভবন ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে তাকে সাথে সাথে মানা করে দেওয়া হয়।

ওদিকে বাড়িটির নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত কেয়ারটেকার নাইমের বক্তব্যকে চায়ের দোকানদার মাহতাব এক কথায় উড়িয়ে দেন! তিনি বলেন, “আমি গত ১১ বছর ধরে এই বাড়িটি দেখে আসছি, এখানে বড় কোনো নির্মাণ কাজ দূরে কথা, ১১ বছরে এখানে কোনো প্রকারের মেরামতের কাজও হয়নি।”

কেবলমাত্র পাঁচবাড়ির এই বাড়িটিই নয়, ঢাকায় এরকম আরও অন্তত ৩০টির মতো বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স আছে কাউছ মিয়ার অধীনে। যদিও রমনা, মগবাজার, দিলু রোড, ইস্কাটন, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকার বিভিন্ন আকর্ষণীয় জায়গায় অবস্থিত তার ওইসব বাড়িগুলো কিন্তু রহস্যজনক কারণে সবগুলো বাড়িই ফাঁকা পরে আছে!

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুসারে, কাউছ মিয়া প্রতি বছর ৪৩-৪৫ কোটি টাকার আয়কর দিয়ে থাকেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ব্যবসায়ী বিভাগে শীর্ষ স্বতন্ত্র করদাতা হিসেবে স্বীকৃত কাউছ মিয়া গত ৬১ বছর ধরে আয়কর দিয়ে আসছেন। রেকর্ড অনুযায়ী তিনি পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন এবং ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান আমলেও তিনি একবার সর্বোচ্চ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমকে কাউছ মিয়া একবার জানিয়েছিলেন যে তাঁর মোট সম্পত্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এই বিশাল অর্থসম্পদের মালিক মৃত কাউছ মিয়া সামান্য জর্দার ব্যবসা দিয়ে শুরু করে আজ ৪০-৪৫টি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত হন। তিনি আজ নাই কিন্তু তাঁর ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান।

এরপর অনুসন্ধানী দল ১০ ইস্কাটন রোড গাউসনগরে কাউছ মিয়ার অপর একটি ছয়তলা ভবনের সন্ধান পেয়ে সেখানে গিয়েও একই অবস্থা দেখে অর্থাৎ এটিও যথারীতি নির্মাণের পর থেকেই খালি পরে আছে। কথা হয় প্রায় আট বছর ধরে ভবনটির দেখাশোনা করছেন রিজিয়া বেগম নামক যে নারী তার সঙ্গে। রিজিয়া জানান, ভবনটি অন্তত দশ বছর আগের নির্মিত।

সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে রিজিয়া বলেন, “এখানে আসার পর থেকেই জানি যে কোনো অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বা লিজ দিতে নিষেধ করে রেখেছেন মালিক পক্ষ।” তবে শুরু থেকেই তাকে কেন এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই রাজিয়া। এছাড়াও রিজিয়ার কাছ থেকে আরও জানান যে তার স্বামী দাউদ মিয়াও একজন কেয়ারটেকার। সে মগবাজারে কাউছ মিয়ার অপর একটি ফাঁকা ভবনের দেখাশোনা করেন। রিজিয়ার‌ কাছ থেকে জানা যায় তার স্বামী দাউদ মিয়া তার অনেক আগে থেকেই কাউছ মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দাউদ মিয়া প্রায় ১৬ বছর ধরে কাউছ মিয়ার একটি আট তালা ভবনের কেয়ারটেকারের দায়িত্বে পালন করে আসছেন।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের দল মগবাজার যায় এবং কথা প্রসঙ্গে দাউদ মিয়া বলেন, “আজ পর্যন্ত এখানে কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি, কোনও অফিস চালানোর অনুমতিও ছিল না।”

এই দম্পতি তথা স্বামী দাউদ মিয়া আর স্ত্রী রিজিয়া যদিও দীর্ঘ বছরের পর বছর দেশের শ্রেষ্ঠ করদাতা কাউছ মিয়ার দুটি ভবনের কেয়াটেকারের চাকরিতে নিয়োজিত আছেন কিন্তু তারা কেউ জানেননা কি রহস্য!? কেনো কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতো বিশাল বিশাল ভবন বানিয়েও এভাবে ফাঁকা ফেলে রেখেছেন তাদের কর্তৃপক্ষ তথা কাউছ মিয়া!

এরপরে সরেজমিনে গেলে রাজধানী ঢাকার গ্রিনরোডে অবস্থির ‘গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’-এর সন্নিকটেই কাউছ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা অপর একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের সন্ধান মিলে। শোনা যায়, ২০১০ সালে কলেজ স্থাপনের আগে সংস্কার কাজের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটিতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা প্রথমে কাউছ মিয়ার কাছ থেকে ভবনটি প্রথমে কিনে নেবার প্রস্তাব রাখি কিন্তু তিনি আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে আমাদের কাছে ভাড়া দেওয়ার অনুরোধও করি কিন্তু তিনি প্রতিবারই আমাদের নিষেধ করে দেন।”

প্রতিবেদকের দল এরপর কাউছ মিয়ার ম্যানেজারদের একজন মোহাম্মদ রাসেলের সাথে যোগাযোগ করেন। এই রাসেল‌ই কাউছ মিয়ার ফাঁকা ভবনগুলো তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তার হাত গলেই কেয়ারটেকারদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সরবরাহ হয়।
জানতে চাইলে রাসেল বলেন, “ঢাকায় কাউছ মিয়ার ৩০টির অধিক এরকম ফাঁকা বাড়ি আছে কিন্তু এই বিশাল ভবনগুলো ফাঁকা কেনো থাকে তার কারণ আমিও জানি না। এসব অ্যাপার্টমেন্টে কেন কাউকে থাকতে দেওয়া হয় না, সে সম্পর্কেও আমার কোনো ধারণা নেই। আমাদের মালিক কাউছ মিয়ার পরিবার ধানমন্ডি এবং পুরান ঢাকার দু’টি ভবনে বাস করেন।”

তথ্য মতে রাসেল এবং কাউছ মিয়ার অন্যান্য অধিনস্তরা যারা ওইসব বিল্ডিংগুলোর দেখভালের কাজ করছেন, তাদের সবাইকেই কেবলমাত্র ভবনগুলো যেমন আছে তেমনি রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে, এছাড়া অন্যকিছু করা বা জানতে চাওয়ার‌ও কারো কোন অধিকার নাই।

কোটি কোটি টাকার ভবনগুলো একজন ব্যবসায়ী কোনো কাজেই ব্যবহার না করে, এমনকি বিক্রি না করে কেনো ওভাবে ফেলে রেখেছেন? -এই রহস্যজনক প্রশ্নের উত্তর কোথাও না পেয়ে অবশেষে অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের দল ছুটে যায় কাউস মিয়ার কাছে তার পুরান ঢাকার ঠিকানায়। উল্লেখ্য পুরান ঢাকার চকবাজারে কাউছ কেমিক্যাল ওয়ার্কসের প্রধান দপ্তর।

প্রতিবেদক দল সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবার পরেও কাউছ মিয়ার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেনি, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ অসুস্থ ছিলেন বিধায়। অতঃপর তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আলী আহমেদের সাথে তাদের কথা হয়। এবিষয়ে জানতে প্রশ্ন করলে আলী আহমেদের দাবি, অধিকাংশ ভবনের কাজই অসম্পূর্ণ। তবে তাকে ভবনগুলোর প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানানো হলে তিনিও অজানা রহস্যজনক কারণে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। আলী আহমদ এবিষয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে বরং কাউছ মিয়ার নিজের লেখা সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনীর একটি ব‌ইয়ের কথা উল্লেখ করেন। বইটি থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, কাউছ মিয়া নব্বইয়ের দশকে তার অপ্রকাশিত কিছু কালো টাকা সাদা করেন।

কিন্তু কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিশাল বিশাল বাড়িগুলোর খালি পরে থাকার রহস্য অজানাই থেকে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর অফিসের এক কর্মচারী বলেন, “কাউছ মিয়া হয়তো শখের বশে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি ভাড়া কিংবা লিজের ঝামেলা থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই তিনি বাড়িগুলো ফাঁকা রেখেছেন। একইসাথে স্থাপনাগুলো তার প্রতিষ্ঠার স্বাক্ষর বহন করছে।”

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, “স্থান বিবেচনা করলে ভবনগুলোর মূল্য আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার বেশি হবে। যদিও এটা কোনো অপরাধ না, তবে তিনি ভবনগুলো ফাঁকা না রাখলে, ঢাকা শহরে আবাসস্থলের হাহাকার সামান্য হলেও কমতে পারতো।”

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “যে জমিগুলো কেনা হয়েছিলো সেগুলো আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যেত। সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার আওতায় আনলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নেও যথাযথ ভূমিকা রাখতো।”

স্থাপত্যের দিক থেকে পরিত্যক্ত কাঠামোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আয়োটিকের সদস্য স্থপতি মুমতাহিনা কবির বলেন, “কোনো কমপ্লেক্স বা আবাসিক ভবন প্রায় এক দশক ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হলে আর্দ্রতার কারণে কাঠামোতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।”

এধরনের ভবনগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“এমনকি দীর্ঘ সময় পর সেখানে বসবাস শুরু করলে সেটাও বিপজ্জনক হতে পারে,” যোগ করেন মুমতাহিনা।

হাকিমপুরী জর্দার প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ করদাতা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া ১৯৬১ সালে বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং চলতি মাসের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৫ জুন তারিখে বার্ধক্য জনিত অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে এদেশের শত শত মানুষ আজও তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একজন শ্রেষ্ঠ করদাতাই নয়, তিনি ছিলেন একজন অত্যান্ত উন্নত ও দয়ালু প্রকৃতির মানুষ। তিনি নেই কিন্তু তাঁর জীবনের আজব রহস্য হয়ে রাজধানী ঢাকা শহরে গোটা ত্রিশেক বিশাল বিশাল অট্টালিকা মানবশূন্য অবস্থায় ভুতের বাড়ি বলে আখ্যায়িত হয়ে এখনও মাথা উঁচু করে একটি অজানা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যে রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর জানা সম্ভব হয়নি আজও। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *