নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে গরু আনেন ইমরান হোসাইন। সেজন্য তার স্তরে স্তরে রাখা আছে দালাল। এছাড়াও তার নানা জাতের বিভিন্ন বিদেশি গরুসহ অন্যান্য পশু রাখার জন্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে গোপন ডেরা, থাইল্যান্ড থেকে চোরাই পথে আনা ব্রাহমা জাতের গরু রাখা হচ্ছে নরসিংদীর শেখ ক্যাটল ফার্মে, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালানের রুটটিও নিয়ন্ত্রণ করেন সাদিক এগ্ৰো ফার্মের মালিক ইমরান হোসাইন নিজেই, তার সঙ্গে যুক্ত আছেন সেখানকার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস।
যদিও এসব কথা মিডিয়ার অনেক আগে থেকে জানা ছিলো কিন্তু তারা তা প্রকাশ না করার কারণ হিসেবে সুত্র বলছে, আগে মিডিয়া ইমরানের আপ্যায়নে নিজেদের পেট ভরে নিয়েছে, পরে তার বিষয়টিও প্রকাশ করার একটা গোপন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘সাপও মরে আর লাঠিও না ভাঙ্গে’ পুরোনো এই কথাটিকে মাথায় রেখে!
তাই বিভিন্ন মিডিয়ার সর্বশেষ প্রকাশ, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তার করেছেন সিন্ডিকেটের ডন, দেশের গরু চোরাচালানের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এই ব্যক্তি মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন…, -এমন আরোও বিভিন্ন বিশেষণের পর বিশেষণ যোগ করে সবার শেষে বিভিন্ন মিডিয়া বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেয় মূলত দু’টো লাভ হবে এই কারণে,
১) সাদিক এগ্ৰো ফার্মের মালিকের সাথে একত্রিত হয়ে প্রথমে ১২ লাখ টাকা দিয়ে কোরবানীর ছাগল কেনার বিষয়টি প্রকাশ করার মাধ্যমে একজন উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে কুরবানী দিয়ে দেয় কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে একটা সুপার হিট ক্রাইম আইটেম প্রকাশ করে দেশের অন্যান্য সেক্টরের অগণিত দুর্নীতিবাজসহ ওই ফার্মের আরোও আরোও যারা বড়ো বড়ো দুর্নীতিবাজ কাষ্টমারা আছেন তাদের তালিকাটি আড়াল করতে, কেননা তাদের মধ্যে প্রায় সবাই ইমরানের মতোই মাস মাস মিডিয়াকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে থাকেন আগে থেকেই।
২) বলা হচ্ছে, ছাগল নিয়ে প্রকাশিত রমরমা প্রতিবেনগুলোর শেষ রচনা হয়েছে ইমরানকে দিয়েই ‘কাউন্টার ফায়ার’ পদ্ধতিতে মিডিয়ার আত্মরক্ষার নিশ্চিত করতে। সুত্র বলছে, মতিউর রহমান পরিবার পর্যন্তই রেখে ইতি টানা হবে মিডিয়া প্রথমে এই আশ্বাস দিয়ে অপ্রকাশিত অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও ইমরানের শেষ রক্ষা হোলো না! কেননা চতুররা কখনও পাপের সাক্ষী রাখতে চায় না। তাই কথা দিয়ে মোটা অংক খেয়েও কথা না রেখে ইমরানকেও কালার করে দিয়েছে মিডিয়াই, তার কারণ সাদিক এগ্ৰো ফার্মের এই মালিক ভবিষ্যতে যদি মতিউর রহমানের মতো তাদের কথাও একদিন ফাঁস করে দেয় অন্যকারো কাছে!?
এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করার মতোই মিডিয়া প্রথমে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ পথে পশু এনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে যে বিক্রেতা তার সাথে মিলকে-ঝিলকে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শিকার করার মাধ্যমে কোরবানীর ক্রাইম নিউজ কোটা পূর্ণ করে এবং পরে সেই পশু বিক্রেতা তথা সাদিক এগ্ৰো ফার্মের মালিক ইমরানকেও শিকারে পরিণত করে ওই ফার্মের অন্যান্য রাঘববোয়াল কাষ্টমারসহ অন্যান্যরা আসলে কারা কারা? -ওই রাঘববোয়ালের তথ্য উপাত্ত ধামাচাপা দেবার উপায়ও তৈরি করতে! সর্বোপরি মিডিয়ার নিজেদের গায়ে যেনো কাঁদা না লাগে সে বন্দোবস্তটা হয়ে গেছে বোনাস হিসেবে ফ্রিতে!