1159 720x403 1

নিজস্ব প্রতিবেদন : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে ঢুকতে পারে? ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পারে? ঢুকবে কেন? আপনার যা জানার, সব ওয়েবসাইটে দেয়া আছে; আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?’

গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

এক সাংবাদিক জানতে চান, দেশের রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কিনা। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‌কে বলল ১৩ বিলিয়ন ডলার? কোন নিউজে বলছে? আমাদের কাছে হিসাব আছে।’

এ সময় এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন যে ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে।’ তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞাসা করুন যে কী কারণে রিজার্ভ এ পর্যায়ে এল? আমরা তো এটা জানি না। আমরা জানি ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।’

এক সাংবাদিক দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কী কী কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সে নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজ মেনে নেয়া কঠিন। বিএনপি যখন যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি!’

বাকশাল নিয়ে করা বিএনপির সমালোচনার জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বাকশাল কোনো একক দল নয়, ছিল জাতীয় দল। বঙ্গবন্ধুর কাছে অফিশিয়ালি আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এখন সেই বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি নেতারা।’

বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, বিএনপি ভারতবিরোধিতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। তারা দেখবে বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কিনা। তাদের সামনে কোনো ইস্যু নেই। কিন্তু তারা যে মাঠে আছে, সেটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *