সম্পাদকীয় : একজন ভালো মানুষের উদাহরণ, প্রিয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার চমৎকার একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। ঢাকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুন্দর একটি ভবন তিনি তৈরি করতে পেরেছেন বটে কিন্তু বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেলো প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ ছাড়া আর কোনো সাহিত্যিক জড়িত নন এবং থাকলেও তারা অত্যন্ত নগণ্য!
প্রতিবেদকের দাবি, “একজন দু’জন থাকলে থাকতেও পারেন, নাও থাকতে পারেন। এই ব্যাপারটি খেয়াল করে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হলো, সাহিত্য নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে কোন ব্যাপারটি আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে সাহিত্যিক বিমুখ হতে প্ররোচিত করলো?
১) আমলা নির্ভর হতে উৎসাহিত করলো?
২) টাকা?
৩) যোগ্যলোকের অভাব?
৪) অন্যকোনো প্রতিবন্ধকতা?
যেহেতু ভবন ও অন্যান্য জৌলুস তৈরি করতে অনেক টাকা লেগেছে সেহেতু হতে পারে টাকা জোগাড় করতে করতে তিনি আমলাদের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে প্রতিষ্ঠানটি আমলাদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছেন, নয়তো বদলের অভাবে ছাগল দিয়ে জমি চাষের অপচেষ্টার মতো কিছু, তথা জেনেশুনে যাকে তাকে নিয়ে বসে আছেন, নয়তো কি?
প্রতিবেদক আরোও বলেন, “দ্বিতীয় আরেকটি মারাত্মক ব্যাপার খেয়াল করলাম।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অধিকাংশ রুমে এসি আছে কিন্তু বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখবেন সেখানে এসি নেই। এমনকি লাইব্রেরিতে বসে পড়ার জায়গাও খুব কম।”
প্রতিবেদকের প্রশ্ন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল তো এর বই পড়া কর্মসূচি। নানাভাবে বই পড়ানোই এর লক্ষ্য, তাই নয় কি? তাহলে লাইব্রেরীতে না দিয়ে অফিসে এসি লাগানোর কি মানে!?”
উল্লেখ্য যে এই একই ঘটনা দেখা যায় বাংলা একাডেমিতেও!
লক্ষ্য করলে মনে হবে, বাংলা একাডেমির লাইব্রেরি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন দিনের বেলা সেখানে বসে কেউ কাজ করতে না পারে! সেখানে আরাম করে বসার কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই। এছাড়াও বাংলা একাডেমিতে আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয়, ওখানে কোনো বইয়ে হাত দিতে গেলে লাইব্রেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তেড়ে আসেন, অনেকেই বলেন, “হৈ হৈ করে ওঠেন”।
এছাড়াও প্রতিবেদক মত প্রকাশ করে বলেন, “কথা বলে যেটা বুঝেছি সেটা হলো, বই নামিয়ে দেখলে বা পড়লে সে বই তো আবার তাদের গুছিয়ে রাখতে হবে। পারতপক্ষে এই পরিশ্রমসাধ্য কাজটি তারা করতে চান না।”