যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাকিকুল ইসলাম খোকন : কমিউনিটি সার্ভিস, নান্দনিক ও মানবিক কাজের জন্য সম্মাননা পেলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির জনপ্রিয় মুখ গোলাম ফারুক শাহীন। গত এক দশকের বেশী সময় ধরে এই সংগঠক নানাভাবে কমিউনিটির মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে।
সুত্র জানায়, কোভিড থেকে শুরু করে রমজান এবং বিভিন্ন সময় কমিউনিটির মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করায় এবার নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট লং-আইল্যানড এলাকার নিউইয়র্কের ফোর্থ সিনেট ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর মনিকা আর মার্টিনেজের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে গোলাম ফারুক শাহীনকে।(খবর বাপসনিঊজ)
নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডের হাগপ্যাক সিটিতে নিউইয়র্ক স্টেট বিল্ডিংয়ে এক আড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। কমিউনিটিতে অবদান রাখায় লং আইল্যান্ডের সাফোক কাউন্টিতে প্রথমবারের মত কোন বাংলাদেশী নিউইয়র্ক স্টেটের এমন সম্মাননা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোভিডের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কমিউনিটির মানুষকে সেবা দিয়েছিলেন এই গোলাম ফারুক শাহীন। তাছাড়া প্রতিবারই তিনি পবিত্র রমজানে লংআইল্যান্ডের ব্যাবিলন সিটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করে থাকেন গোলাম ফারুক শাহীন ও তাঁর সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো পবিত্র রমজানে মুসল্লীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন।
এছাড়াও তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছেন বলে জানা যায়। এসব কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অব ডিস্ট্রিক্ট অপারেশন্স এন্ড প্রোগ্রামস মিস আডিনা বিডেনবেন্ডার। এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনেটরের সহকর্মীবৃন্দ।
এমন অসাধারণ মুহুর্তে সবার কাছ থেকে অভিনন্দিত হয়েছেন গোলাম ফারুক শাহীন। এক প্রতিক্রিয়ায় এই সম্মাননা পর গোলাম ফারুক শাহীন জানান, এই সম্মাননা পাওয়ার পর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো মানবিক কাজ করুতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এই সম্মাননা।
উল্লেখ্য যে এছাড়াও আগেও তিনি সেন্সাস অর্থাৎ আদম সুমারীর কাজও করেছেন, মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসলমানদের নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যেগে ফ্রি ফুড বিতরন করে প্রচুর সুনাম অর্জন করেন। লংআইল্যান্ড বাংলাদেশীদের প্রথম ফেসটিভ্যাল উপলক্ষ্যে চমৎকার স্মরনিকা প্রকাশিত হয় “হদয়ে লাংআইল্যান্ড” নামে। এর সম্পাদক ছিলেন গোলাম ফারুক শাহীন নিজেই। প্রতি বছর বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ নিয়ে স্ট্রিট ফেয়ার করে থাকেন গোলাম ফারুক শাহীন।