মঞ্জুর মোর্শেদ : অধুনায় বাংলা সাহিত্যের মোস্ট মর্ডান বাঙালী কালচার্ড মাইন্ড, অতিপ্রাকৃতিক কলমী শক্তিধর হুমায়ূন আহমেদ -এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালিত ‘ঘেটু পুত্র কমলা (২০১০-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় এবং কোনোরূপ কর্তন ছাড়াই ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তির জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করে।)’র কথাও যোগাযোগ মাধ্যমে উদাহরণ হিসেবে চলে এসেছে বাংলা সাহিত্যের অপর একটি, ৮০ বছরের পুরোনো “রূপান্তর’ নামক বাংলা নাটকের লেটেস্ট প্রশ্নবিদ্ধ রুপায়নের কারণে।
উল্লেখ্য,, গত ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ইং তারিখ রোজ বুধবার “ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক ‘রূপান্তর’ নাটক ঘিরে যে নাটকীয়তা“, -এই শিরোনামে বিবিসি বাংলা একটি নিউজ প্রকাশ করে এবং এর আগে পিছে এদেশের প্রথম শ্রেণীর গণমাধ্যমের প্রায় সকলেই বিভিন্ন শিরোনামে, মেকাপে ও ভাষায় নিউজটা প্রকাশ করে ভাইরাল করে দেয়! ফলে রীতিমতো উকিল-নোটিশ থেকে মামলার পথ তৈরি হয়, হয়ে দাঁড়ায় ‘টক অফ দা টাউন’ এবং নিরবে সমাজের উপর প্রভাবও বিস্তার করে যা বাঙালী সভ্যতায় বিশেষ করে শিশু থেকে যুব সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরও বটে এবং এখনও বাঙালী জীবনে ট্রান্সজেন্ডার অবশ্যই নিষিদ্ধ বলে গণ্য এবং বিবেচিত একটি অধ্যায়।
হঠাৎ করেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভারতে ছেলে ছেলেকে, মেয়ে মেয়েকে বিয়ে করছে! নিজেই নিজেকে বিয়ে করছে! বিয়ে না করেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করে বসবাস করছে, পেট ভাড়া দিচ্ছে-নিচ্ছে অর্থাৎ মানুষের সামাজিক জীবনের কবর রচনা করে অসামাজিক জীবন ব্যবস্থার বিষয়বস্তুগুলা বাংলাদেশের কিছু প্রথম শ্রেণীর মিডিয়া আধুনিক মেকাপে সাজিয়ে গুছিয়ে, রমরমা ও “হট” বানিয়ে উপস্থাপন করে চলেছে, ওদিকে সাধারণ মানুষ তা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না…
এদেশের প্রায় সকল সংবাদ মাধ্যমই বিভিন্ন শিরোনামে কিছুদিন পর পর সমকামীতা বিষয়ক একটা না একটা নিউজ প্রকাশ করাটা (দেশের বা বিদেশের) অনেকটা রুটিন মাফিক চালিয়ে যাচ্ছে এবং এটা একশ্রেণীর দেশের শক্রদের অপকর্ম বলে সাধারণত মানুষ মত প্রকাশ করেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নিউজ ধামাকা ‘রূপান্তর’ নামক নাটকের লেটেস্ট ভার্সনটি, যা ১৫ই এপ্রিল, সোমবার সন্ধ্যায় ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছিলো কিন্তু দর্শকদের সমালোচনার মুখে পরদিন সকালে তা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একান্ন মিডিয়া’র ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত ‘রূপান্তর’ নাটকটিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলেও এর কপি এখন বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রমাণ মিলছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এমতাবস্থায় দেশের হাতে গোনা কয়েকজন লোকেরা হয়তো দেখেছেন মাত্র, আর তখনই মিডিয়ার সুবাদে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার কারণে বাকিরা অর্থাৎ দেশের প্রায় সবাই না দেখে থাকলেও সবার মনে এখন প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে, এই নাটকে কি এমন আছে যার জন্য সেটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিতে হল? কেনই-বা এই ইস্যুকে ঘিরে ওয়ালটনকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হল?
এছাড়াও এবিষয়কে কেন্দ্র করে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকরা ‘ওয়ালটন’ এর পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এর মাধ্যমে ‘ট্রান্সজেন্ডার প্রচারণা’ করা হচ্ছে। ওদিকে ওয়ালটন তাদের নিজেদের বিজ্ঞাপন বিভাগের অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানোর কথা জানায় সাংবাদিকদের কিন্তু নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদেরও যে দায়িত্ব অবমাননা বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনোভাব আছে, -একথা স্বীকার না করে কেবলমাত্র বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের অবস্থান নেয়াটাকে অনেকেই রহস্যজনক বলে দাবি করেন।
রূপান্তর নিয়ে সমালোচনার এছাড়াও বিভিন্নতা
সেখানেও দেখা যায়, কে বা কারা যেনো সমালোচনা’র জন্যই বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়গুলো বিভিন্ন রংয়ে ঢংয়ে, মেকাপ দিয়ে ছুঁড়ে দিচ্ছেন, এখানে সমালোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ আবার অকাল পক্ক পন্ডিতের সন্মানও অর্জন করছেন, বিচিত্র তথ্য দিচ্ছেন…! তবে এ বিষয়টিকে কেউই ভালো চোখে দেখছেন না।
এদিকে যোগাযোগ মাধ্যমে রূপান্তর নাটক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে আবার ভিন্ন দিকে মোড় নিয়ে বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিতও দিচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন হুমায়ূন আহমেদ কোনো ভাইয়ের মতো নয়, তার কোনো ভাই এমনকি মাও তাঁর মতন নয়, অযথাই পিপীলিকার পাখা গজালে যা হয়, জাফর ইকবালের মানসিকতাকে টেনে হিঁচড়ে আগাতে হুমায়ূন আহমেদকেও টেলে ধরতে চাচ্ছ, কেননা সভ্যতা একটা চলমান ধারাবাহিকতা যা ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ সহ বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কালপুরুষগণ, এখানে জাফর ইকবাল যা ভাবছেন তা হলিউডের সাইন্স ফিকশন সিনেমার পরিচালকের মতো হতে পারে, ড. ইউনুসের সাথেও ড. জাফর ইকবালের কি খুব বেশী পার্থক্য আছে কিনা তা প্রশ্ন বিদ্ধ।”
একজন বলেন, “নয় কেনো, দুই ড. সাহেব মিলে, ‘১) সাধারণ মানুষের অর্থ; ২) সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা’ এই দুই অবস্থাকে দুই দড়ি দিয়ে বেঁধে চালাচ্ছেন, তাই নয় কি!? ঠাকুর ঘরে কে রে…? বাংলা একাডেমীর দার্শনিক কে? কবি? সাহিত্যিক? প্রধান দশজন কারা? বাংলা একাডেমী তো বাঙালী জাতির মহান কবি, সাহিত্যিক আর দার্শনিকের প্রধান অধিদপ্তর হবার কথা, ওখান থেকে জাতিকে ভালোবাসার অঙ্গীকার আর পথ প্রদর্শন থাকার কথা, বাংলা একাডেমী কি করে? শিশুদের পাঠ্য পুস্তকগুলো তারা কে কে পড়েছেন?…”
তিনি আরোও উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করেন, “আর ঐ বাংলা একাডেমীর সামনেই ওভাবে তিন নেতার ত্রিমূখী সাপের মতো বিশাল ছায়া ঘেরা বানাতেই হোলো? তারা তিনজন এতোই বড়ো, আর ওদিকে জাতীয় কবি নজরুলের কবর খুঁড়ে বেড় করতে হয়!?”
কথা হচ্ছিলো রূপান্তর নাটক যা “ট্রান্সজেন্ডার” শব্দটির সাথে সম্পৃক্ত বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যদিও এর পরিচালক বলেছেন যে তার থিমটা তারা হয়তো বুঝতে পারে নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এরই মধ্যে সাধারণ মানুষ ড. ইউনুস ও ড. জাফর ইকবালের উপর কেনো যেনো খুব ক্ষেপা!
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপরোক্ত লোকটি আরোও বলেন, “আর তাদের দুজনের যদি আত্মবিশ্বাস থাকে তবে আসুক, আমরা রেসকোর্সের ময়দানে বসে ভরাট সমাবেশে আলোচনা করে প্রকাশ্যে ফয়সালা করবো, আসলে বলেন।”
গণ ও যোগাযোগ মাধ্যম ‘রূপান্তর’ নামক যে নাটকটি খুব গরম! এটা একটি ভিন্ন দর্শনের উপর ভিত্তি করে রচিত বলে দেশের সকল গণমাধ্যম মত প্রকাশ করে (জনগণের কাছ থেকে জেনে)। এদিকে বাঙালী সাহিত্যের ইতিকথা যা হয়তো অনেকেরই অজানা কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক ‘রূপান্তর’ নাটক ঘিরে যে নাটকীয়তা চলছে তা অবশ্যই মারাত্মক। যদিও রূপান্তর আসলে বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত পুরোনো ও জনপ্রিয় নাটক কিন্তু একালে এসে সময়ের কারণে সকলে কাছে এটি একটি বদ-আলামত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা হোমো সেক্সুয়ালিটি, সিঙ্গেল মাদার, লিভ টুগেদারের মতো মানবসভ্যতা বিধ্বংসী মনোভাব সারা বিশ্বে দুরারোগ্য ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পরেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতও তার হাজার হাজার বছরের সভ্যতাকে গলা টিপে হত্যা করে এসব অসভ্যতাকে আইনের আওতায় এনে বৈধতা দিয়েছে, এর প্রভাব আমাদের দেশেও পরেছে। এমনকি দেশের নতুন শিশু শিক্ষাক্রমের মধ্যেও আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। দেখা গেছে, শিক্ষাক্রম থেকে নৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিমাণ হ্রাস করে শূন্য স্থান তৈরির পর ও তা পূরণ করা হচ্ছে যৌন শিক্ষা ব্যবস্থা পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করে। অথচ এসব বাঙালী জাতির জন্য সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ও সভ্যতা বিধ্বংসী ব্যবস্থার নামান্তর। এমতাবস্থায় যখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পুস্তকে শরীফ থেকে শরীফার গল্পটি দিয়ে তা পক্ষান্তরে ট্রান্সজেন্ডারকেই উস্কে দেবার পায়তারা বলে বিবেচিত হয়েছে তখন বাঙালী জাতির প্রায় সকলেই তাদের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত। আর এর রেশ কেটে উঠতে না উঠতেই পুণরায় এবার রূপান্তর নামক ইউটিউবে প্রকাশিত একটি নাটক আবারও সকলের জন্য অশুভ লক্ষণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
রূপান্তর নাটকের ইতিকথা:
নুরুল মোমেন (১৯০৬-১৯৮৯) শিক্ষাবিদ, নাট্যকার। জন্ম ফরিদপুর (তৎকালীন যশোর) জেলার আলফাডাঙ্গায় ২৫ নভেম্বর ১৯০৬। তাঁর পিতা নুরুল আরেফিন ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।
নুরুল মোমেন ঢাকা মুসলিম হাই স্কুল থেকে ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিক, ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজ থেকে ১৯২৬ সালে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বিএ পাস করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল ডিগ্রি লাভ করে ১৯৩৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন।
রূপান্তর {রচনা, মঞ্চায়ন এবং সম্প্রচার – ১৯৪১। বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে, প্রকাশক- শেখ ব্রাদার্স, ঢাকা। আনন্দবাজার পত্রিকা শারদীয়া (গ্রন্থাকার) সংখ্যায় ৪৩ পৃষ্ঠাব্যাপী পাইকা হরফে (রবীন্দ্রনাথের পর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনা হিসেবে) প্রকাশ করে ১৯৪৩ সালে।}
এছাড়াও নুরুল মোমেনের নিজের হাতে প্রথম নাটকটি রূপান্তরিত হয়ে ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়। তিনি নিজে নাটকটি পরিচালনাও করেন।
এছাড়াও নুরুল মোমেনের ‘নেমেসিস’ নাটক (চোরাকারবারীর শিকার সুরজিত নন্দীর অনুশোচনা,যন্ত্রণা,দ্বন্দ্ব এবং এর থেকে আত্মমুক্তির বিষয়বস্তু। সম্পূর্ণ নাটকটি এক চরিত্র বিশিষ্ট।) ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৪৫ সালে, যা গ্রন্থরূপে প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। নাটকটি পঞ্চাশ-দশকের মন্বন্তরের পটভূমিতে রচিত। তখনকার জন্য নাটকটির রচনাশৈলী ও পরিকল্পনা ছিলো অভিনব। একটি মাত্র চরিত্রের মাধ্যমে দীর্ঘ সংলাপের ভিতর দিয়ে পুরো নাট্যকাহিনী বিবৃত হয়েছে যার মধ্যে একটি পরিপূর্ণ ছবি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। ফলে নাটকটি নাট্যামোদীদের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয় এবং এ নাটকের মাধ্যমে তিনি বাংলা নাট্যসাহিত্যে অধিষ্ঠিত হন।
নুরুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে যোগ দেন ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৮ সালে তাঁর বহুরূপা নামে একটি রম্যরচনা প্রকাশিত হয়। ১৯৪৮ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি ইংল্যান্ড গমন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি (১৯৫১) লাভ করেন। লন্ডন অবস্থানকালে তিনি বিবিসি-র বাংলা অনুষ্ঠানে ‘কাকলী’ নামে শিশুদের আসর পরিচালনা করেন। এ সময় লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাসে তিনি এক বছর শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট (১৯৫৭) ছাড়াও তিনি আইন বিভাগের ডিন (১৯৬৩), প্রক্টর ও ট্রেজারার ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সমকালীন সমাজের অসঙ্গতি ও দ্বন্দ্বসমূহ তিনি ব্যঙ্গরসের মাধ্যমে নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেন। নাট্যশিল্পী হিসেবে এটা তাঁর বড় কৃতিত্ব। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত নাটক যদি এমন হতো (১৯৬০), নয়া খান্দান (১৯৬২), আলোছায়া (১৯৬২), আইনের অন্তরালে (১৯৬৬), শতকরা আশি (১৯৬৭), রূপলেখা (১৯৬৯) ও যেমন ইচ্ছা তেমন (১৯৭০)।
সাহিত্যকর্মে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি কলকাতায় সংবর্ধনা (১৯৫৪), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬১), যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়-এর ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার্স সংগঠনের সংবর্ধনা (১৯৬৪), ব্রিটেনের থিয়েটার ব্যক্তিত্বগণ কর্তৃক সংবর্ধনা (১৯৬৬), বাংলাদেশের থিয়েটার নাট্যদল কর্তৃক সংবর্ধনা (১৯৭৭) ও একুশে পদক (১৯৭৮) লাভ করেন। মৃত্যু ঢাকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯।