ইমরান হোসেন, কেশবপুর (যশোর), প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ সকালে কেশবপুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকতার্ সজীব সাহার সভাপতিত্বে ও উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু’র সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তৌহিদুজ্জামান, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মছিহুর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কিরণময় সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতার্ অলোকেশ কুমার সরকার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলোক কুমার সিকদার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজন কুমার চন্দ্র, সহকারী উপজেলা প্রোগ্রামার আব্দুস সামাদ, কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক এনায়েত হোসেন, কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশীদ বুলবুল, সদস্য আব্দুল মোমিন সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা—কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১০ এপ্রিল জনগণের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগর) আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপ—রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী সংগঠন, সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যার ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।